আমরা আমাদের বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান পাঠ্যবইয়ে এসিড সম্পর্কে জেনেছি। কিন্তু হয়তো অনেকের মনে আছে আবার অনেকের মনে নেই।
আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অনেক কাজেই এসিড ব্যবহার করি। কিছু এসিড আমাদের শরীরের স্পর্শে কোন ক্ষতি হয় না, কিন্তু কিছু এসিড আমরা স্পর্শ করতে পারিনা।
তাই চলুন আমরা আজকের পোস্ট এর মাধ্যমে এসিড সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিই…
• এসিড (Acid) কাকে বলে?
যেসব যৌগ জলীয় বা পানীয় দ্রবণে আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে বিয়োজিত হয়ে হাইড্রোজেন আয়ন (H+) যুক্ত হয় তাকে এসিড বলে (যেমন সালফিউরিক এসিড, হাইড্রোক্লোরিক এসিড)।
• এসিড এর ব্যবহার:
১. বিভিন্ন ধরনের টক স্বাদযুক্ত ফলে (যেমন: কমলা, লেবু, টমেটো ইত্যাদি) এসিড থাকে। এই ফলগুলো আমাদের মুখের রুচি বৃদ্ধি করে, এছাড়া এই ফলগুলো আমাদের শরীরের ভিটামিন সি এর অভাব পূরণ করে।
২. আমাদের পাকস্থলীর খাদ্য পরিপাকে হাইড্রোক্লোরিক এসিডের প্রয়োজন।
৩. টয়লেট বাথরুম পরিষ্কার করার জন্য যে পরিষ্কারক ব্যবহার করা হয়, সেগুলোও মূলত এসিড দিয়ে তৈরি।
৫. সাপের উপদ্রব কমানোর জন্য কার্বলিক এসিড ব্যবহার করা হয়। এতে করে সাপের উপদ্রব অনেক কমে যায়।
৬. ডিটারজেন্ট, ঔষধ, কীটনাশক, বিভিন্ন ধরনের বিস্ফোরক ইত্যাদি তৈরিতে এসিডের ব্যবহার হয়।
৭. ইস্পাত ও চামড়া কারখানায় এসিড ব্যবহৃত হয়।
৮. সার কারখানা, খনি থেকে মূল্যবান ধাতু উত্তোলন এবং রকেটের জ্বালানিতেও এসিডের ব্যবহার হয়।
• এসিড এর প্রয়োজনীয়তা:
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এসিড এর প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি। যেমন, যদি এসিড না থাকতো তাহলে বিভিন্ন ব্যাটারি, ডিটারজেন্ট, ফসলি জমির জন্য সার, আমাদের বহু পরিচিত স্বর্ণ, এছাড়া আমাদের শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় ঔষধ এবং আমরা যে বিল্ডিংয়ে থাকি সে বিল্ডিং তৈরিতে ব্যবহৃত ইস্পাত তৈরি করা যেত না। এছাড়া আরো অনেক কাজ এসিড না থাকলে করা যেত না।
এতে করে আমাদের জনজীবন অনেকটাই ব্যাহত হতো। হয়তো আমরা এগুলো ছাড়া বেঁচে থাকতে পারতাম, তবে এগুলো কিন্তু আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে অনেকটাই সহজ করে তুলেছে।
আশা করি আজকের পোস্ট এর মাধ্যমে আপনার কিছু জানতে পেরেছেন।
সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।