রাসায়নিক শব্দটির সাথে আমরা প্রায় সবাই পরিচিত। বিশেষ করে যারা বিজ্ঞান নিয়ে পড়ালেখা করেন তারা অবশ্যই রাসায়নিক শব্দটির সাথে পরিচিত।
আজকে আমরা জানবো রাসায়নিক বন্ধন কাকে বলে এবং এর প্রকারভেদ। তাহলে চলুন শুরু করি…
• রাসায়নিক বন্ধন কাকে বলে?
কোনো রাসায়নিক বিক্রিয়ার সময়ে দুটি পরমাণুর বহিঃস্তরে এক বা একাধিক ইলেকট্রন গ্রহণ বা বর্জন বা শেয়ার করার দ্বারা উভয় পরমাণু নিকটবর্তী নিষ্ক্রিয় গ্যাসের স্থিতিশীল দীত্ব ও অষ্টক কাঠামোর ধার করলে, পরমাণু গুলোর মধ্যে সৃষ্ট যে শক্তি তাদেরকে যুক্ত করে অনু গঠন করে তাকে রাসায়নিক বন্ধন বলে।
• রাসায়নিক বন্ধন এর প্রকারভেদ:
রাসায়নিক বন্ধন সাধারণত দুই প্রকার-
১. আয়নিক বা তড়িৎযোজী বন্ধন: ধাতু ও অধাতুর মধ্যকার বন্ধন কে বলা হয় আয়নিক বা তড়িৎযোজী বন্ধন।
২. সমযোজী বন্ধন: এটিও ধাতু ও অধাতুর মধ্যকার বন্ধন। একে আবার ৩ টি ভাগে বিভক্ত করা হয়-
* ধাতব বন্ধন
* হাইড্রোজেন বন্ধন
• রাসায়নিক বন্ধন গঠনের কারণ:
মৌল পরমাণু তার কাছের নিষ্ক্রিয় মৌলের ইলেকট্রন বিন্যাস লাভ করে স্থিতিশীল অবস্থায় যেতে চায়। এই স্থিতিশীল অবস্থা অর্জনের জন্য প্রতিটি মৌল রাসায়নিক বন্ধনে আবদ্ধ হয়। তারা কখনও ইলেকট্রন আদান প্রদান অথবা শেয়ারের মাধ্যমে রাসায়নিক বন্ধন গঠন করে। ইলেকট্রন আদান প্রদানের মাধ্যমে সোডিয়াম ক্লোরাইড আয়নিক বন্ধন গঠন করে।
আশা করি বন্ধুরা আজকের পোস্ট এর মাধ্যমে আপনারা রাসায়নিক বন্ধন সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।