শ্রীলঙ্কার ইতিহাস ও পূর্বে তাদের সরকারের পরিকল্পনাঃ
শ্রীলঙ্কা পূর্বে Ceylon নামে পরিচিত ছিল।এটি ব্রিটিশদের কাছ থেকে ১৯৪৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি স্বাধীনতা লাভ করে।১৯৭২ সালে দেশটির নাম Ceylon থেকে পরিবর্তন করে Srilanka হিসাবে নামকরণ করা হয়।৬৫৬১০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই দেশটির জনসংখ্যা ২ কোটি ৩০ লক্ষের বেশি ও শিক্ষিতের হার ৯৫%।দেশটির মাত্র ১৯% মানুষ শহরে বাস করে ও urbanization rate মাত্র ১.২২%।যদিও বিগত কয়েক বছর ধরে দেশটিতে চলছে নানানরকমের উন্নয়ন প্রকল্প।দেশটির উল্লেখযোগ্য মেগাপ্রজেক্টগুলো হলো→ Hambantota সমুদ্রবন্দর,Hambantota Airport, wind power generator project,Bandaranaike International Airport etc.
চারদিকে সমুদ্রবেষ্টিত ও ট্যুরিজমের জন্য অত্যন্ত
সম্ভাবনাময় দেশটি দুবায় সিঙ্গাপুরের মতো মেরিনা, Financial centre,Residencial Area সম্বলিত কলোম্বো হাইটেক পোরসিটির মাধ্যমে ট্যুরিজম ইন্টারন্যাশনাল বিজনেসকে attract করতে চেয়েছিল।
Srilanka এর বর্তমান অবস্থাঃ
Central bank of Srilanka এর একটি তথ্যসূত্রে ২০১৯ সালে Srilanka এর মোট export এর পরিমাণ ছিল প্রায় ১২ বিলিয়ন ডলার যা মহামারীকালীন সময়ে ২০২০ সালে কমে দাড়ায় ১০ বিলিয়ন ডলারের কিছুটা বেশি।তবে ২০২১ সালে দেশটির বিগত সময়ের তুলনায় সবচেয়ে বেশি ১২.৫ বিলিয়ন ডলারের পণ্য এক্সপোর্ট করতে সক্ষম হয়েছিল।এছাড়া রেমিট্যান্স এর দিক থেকে খেয়াল করলে দেখা যায় ২০১৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত প্রতি বছরে দেশটির রেমিট্যান্স এর পরিমাণ ছিল ৭ বিলিয়ন ডলারের বেশি যা ২০১৯ সালে কমে দাড়ায় ৬.৭ বিলিয়ন ডলারে।তবে ২০২০ সালেও দেশটির রেমিট্যান্স এর পরিমাণ ছিল ৭ বিলিয়ন ডলারের বেশি যা ২০২১ সালে আবারো কমে ৫.৪ বিলিয়ন ডলার হয়ে যায়।অন্যদিকে আরেকটি বৈদেশিক মু্দ্রা আর্নিং সোর্স ট্যুরিজম যা থেকে ২০১৮ সালে ৪.৩ বিলিয়ন ডলার আয় করেছিল।যদিও ২০১৯ সালে তা কমে ৩.৬ বিলিয়ন ডলার হয়।অন্যদিকে ২০২০ ও ২০২১ সালে দেশটির ট্যুরিজম থেকে আর্নিং এর পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ৬৮২.৪ ও ৫০৬.৯ বিলিয়ন ডলার।Srilanka এর বর্তমান অর্থনৈতিক দু্র্দশা করোনা মহামারীর আগে থেকেই লক্ষ করা গিয়েছিল তবে মহারীর প্রকোপে তা আরো ভয়াবহতা ধারণ করেছে।বিশ্বব্যাংকের তথ্যসূত্রে আজ থেকে ১ দশক পূর্বে ২০১২ সালেও Srilanka এর GDP গ্রোথের পরিমাণ ছিল ৯%, এর বেশি।তবে ২০১৩ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত দেশটির GDP গ্রোথরেট কমে দাড়ায় গড়ে প্রায় ৪%।২০২০ সালে করোনা মহামারীর প্রভাবে Srilanka এর GDP গ্রোথরেট -৩.৬ শতাংশে নেমে আসে।যদিও ADB(Asian Development Bank) এর একটি তথ্যসূত্রে ২০২১ সালে দেশটির GDP তে ৩.৭ শতাংশ পজিটিভ গ্রোথ হয়েছিল এবং ২০২২ সালে ২.৪% পজিটিভ গ্রোথ forecast করা হয়েছিল।IMF(International Fund Monetary) এর একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে Foreign Exchange এর shortage এর কারণে Srilanka এর GDP এর গ্রোথে negative effect পড়েছে।২০১৪ সালেও যেখানে দেশটির Foreign Reserve এর পরিমাণ ছিল ৮.২ বিলিয়ন ডলার।পরবর্তী বছরগুলোতে তা উঠানামা করতে থাকে এবং BBC এর তথ্যসূত্রে সর্বশেষ ২০২২ সালের মার্চ মাসে দেশটির Foreign Reserve এর পরিমাণ ছিল ১.৯৩ বিলিয়ন ডলার।তাছড়া ২০২২ সালের মার্চ মাসের শুরুর দিকে Srilanka এর রুপির মূল্য ডলার প্রতি প্রায় ৪৫% fall করেছে।বর্তমানে প্রতি ডলারের বিনিময়ে ৩০৭ Srilankan রুপি বিনিময় হচ্ছে।এমন পরিস্থিতিতে দেশটির খাদ্য থেকে শুরু করে ভোজ্য তেল গ্যাস ও জ্বালানি তেলে বিপুল সংকট দেখা দিয়েছে।দেশটিতে প্রতিদিন অন্তত ১০-১৩ ঘন্টা মিলছে না বিদ্যুৎ।জ্বালানির অভাবে যেখানে সেখানে বন্ধ হয়ে পড়ছে যানবহন।রান্নার গ্যাসের দাম ১১৩০ শ্রীলঙ্কান রুপি থেকে ৪০০০ ছাড়িয়ে গেছে।দাম বাড়ছে ছোট শিশুদের গুড়া দুধ থেকে শুরু করে প্রতিটি নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যের।ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাড়িয়ে থেকেও মিলছেনা রেশন, তেল ও গ্যাস।এমনকি দেশটির দুই শহরে তেলের লাইনে দাড়িয়ে থেকে ২ জন ব্যক্তি নিহত পর্যন্ত হয়েছে।নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের সংকট মেটাতে দেশটির সরকার একজন মিলিটারি জেনারেলের নেতৃত্বে কঠোর নজরদারি সংস্থা কন্ট্রোলার অব সিভিল সাপ্লাইসের মাধ্যমে অবস্থা সামাল দিতে পারছে না।বরং সম্প্রতি Srilankan সরকার অর্থনৈতিক জরুরী অবস্থা ঘোষণা করেছে।
।
Srilanka এর অর্থনীতির এরকম অবস্থার মূল কারণ কি?
Srilanka এর এমন অর্থনৈতিক দূর অবস্থার মূল কারণের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন অলাভজনক প্রকল্পের জন্য বৈদেশিক ঋণ গ্রহন।কৃষি খাতে বাধ্যতামূলক অর্গানিক ফার্মিং করতে গিয়ে দেশটির ফুড সিকিউরিটি কমিয়ে আনা।
করোনা মহামারীর ইফক্ট কাটিয়ে উঠতে না পারার মতো বেশ কিছু ঘটনা প্রবাহ।বিগত কয়েকবছর ধরে Srilanka বেশ কয়েকটি মেগা প্রজেক্ট বাস্তবায়নের লক্ষে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে সাহায্য নিয়েছে।কিন্তু Srilanka এসব সাহায্য Foreign Direct Investment হিসাবে না নিয়ে লোন হিসাবে নিয়েছে।এসব প্রজেক্টের মধ্যে বেশকিছু প্রজেক্টেরই কোনো ইকোনোমিক ভায়বেলিটি ছিল না বিধায় প্রজেক্টগুলো সম্পন্ন হওয়ার পর সেসব প্রজেক্ট থেকে দেশটি কোনো রেভিনিউ জেনারেট করতে পারছিলো না।ফলে প্রজেক্টগুলো থেকে নেওয়া ঋণও দেশটি পরিষোধ করতে পারছিলো না।যেমন- Hambantota তে সমুদ্রবন্দর নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পরও আশানুরুপ কার্গোশিপ না আসায় ও পোর্ট থেকে কোনো রেভিনিউ জেনারেট না হওয়ায় দেশটি ১.২ বিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে ৯৯ বছরের জন্য চীনের কোম্পানি China Marchant Port Holdings Company Limited(CM Port) এর কাছে Hambantota পোর্ট লিস দেয়।একইভাবে ২৫৩ মিলিয়ন ডলারে নির্মিত Hambantota Airport ও সেভাবে কোনো Airport আনতে পারেনি বিধায় খালিই পড়ে থাকে।দেশটির নেওয়া বেশিরভাগ প্রকল্পেরই নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর দেখা যায় যে,প্রজেক্টগুলোর জন্য এখনও দেশটিতে পর্যাপ্ত চাহিদা নেই নয়তো যথাযথ প্রকল্প মূল্যায়ন করে নির্মাণ না করার ফলে সেগুলো থেকে পর্যাপ্ত রেভিনিউ জেনারেট হচ্ছে না।শুধু মেগা প্রজেক্টগুলোর জন্য অপ্রয়োজনীয় লোন নিয়েই খ্যান্ত থাকেনি Srilanka সরকার।২০০৭ সাল থেকে ফান্ডিং এর জন্য শ্রীলঙ্কান সরকার ইন্টারন্যাশনাল সোভারেইন বন্ড ইস্যু করে আসছিল।মূলত একটি দেশের আয়ের তুলনায় ব্যয় বৃদ্ধি পেলে এধরনের সোভারেইন বন্ড আআন্তর্জাতিক পূজি বাজারে ইস্যু করে অর্থের জোগান দেওয়া হয়।তবে একাজ করার আগে Srilanka এটা চিন্তা করেনি যে,ইস্যুকৃত বন্ডগুলো ম্যাচিউরড হওয়ার পর কিভাবে এই টাকা পরিষোধ করা হবে।বর্তমানে এই বন্ড বাবদ ১২.৫ বিলিয়ন ডলারের ঋণ রয়েছে দেশটির।BBC এর একটি তথ্যসূত্রে Srilanka কে এবছরই প্রায় ৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ বাধ্যতামূলক পরিষোধ করতে হবে যেখানে Sovereign Bond এর ১.৫ বিলিয়ন ডলার পরিষোধ করতে হবে।পর্যাপ্ত Foreign Reserve না থাকায় এই ঋণ পরিষোধ করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে।এদিকে দেশটির বর্তমান সরকার ২০১৯ সালে নির্বাচিত হওয়ার পরেই ভ্যাট ট্যাক্স এর পরিমাণ ১৫% থেকে ৮% করে।এর পেছনে দেশের ইকোনোমির গতি বাড়ানোর কথা বলা হলেও আদতে দেশের সরকারি তহবিলে আয়ের পরিমাণ কমতে শুরু করে।এদিকে ২০১৯ সালের শেষ দিকে বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারীর প্রভাবে লকডাউন শুরু হলে Srilanka সরকারের অন্যান্য আয়ের উৎস যেমন-ট্যুরিজম,রেমিট্যান্স ও অন্যান্য খাতের আয় বন্ধ হয়ে পড়ে।Vat,Tax কমানোর ফলে সরকারের রাজস্ব আয় ২৫% পর্যন্ত কমে যায় ও ফলস্রুতিতে Srilanka সরকারও আরো বেশি ঋণ নিতে বাধ্য হয়।করোনা মহামারীকালীন দেশটিতে মৃত্যুহার তুলনামূলক কম থাকলেও দেশটির পর্যটন খাত একেবারে গুড়িয়ে দেয়। ২০১৯ সালে star sunday কে ঘিরে জঙ্গি হামলা Srilanka এর ট্যুরিজম fall করতে শুরু করে যা মহামারীর সময় আরো বেড়ে যায়।যদিও বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের একটি উৎস পর্যাটন বা ট্যুরিজম সেক্টর।পর্যটন বন্ধন হওয়ায় দেশটির Foreign Currency ইনফ্লো বন্ধ হয়ে যায়।অন্যদিকে প্রবাসে কর্মরত অনেক Srilankan কর্মচারীর চাকরি মহামারীর কারণে হারানোই তারা দেশে ফিরে আসে।Srilanka তে মহামারী মারাত্মক আকার ধারণ করলে বাধ্য হয়ে দেশটির বেশিরভাগ গার্মেন্টস, কারখানা ও চা বাগান বন্ধ ঘোষণা করা হয়।এর ফলে দেশটির এক্সপোর্ট সেক্টরও কলাপস করতে শুরু করে।এছাড়া দেশটির প্রধান দুটি রপ্তানি পণ্য এলাচি ও দারুচিনি মহামারীর সময় বেশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।ফলে বৈদেশিক মুদ্রা আয় Srilanka এর জন্য প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে বলা যায়।তাছাড়া দেশটির GDP তে প্রতি বছর গড়ে ৮% contribute করা কৃষি খাতে হটাৎ পরিবর্তনও দেশটির অর্থনৈতিক বিপর্যস্ততার অন্যতম একটি কারণ।২০১৯ সালে ক্ষমতায় এসেই নতুন president Srilanka তে অর্গানিক কৃষি শুরু করার সিদ্ধান্ত নেন।যার প্রেক্ষিতে কৃষিজাত যেকোনো পণ্যের চাষে রাসায়নিক সার ও কীটনাশকজাত বিভিন্ন দ্রব্যতির ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়।এর পাশাপাশিতে দেশটিতে কীটনাশক আমদানিও নিষিদ্ধ করা হয়।ফলে দেশটির কৃষিখাতে উৎপাদনের পরিমাণ ২০%, হ্রাস পায়।ফলে একসময় চাল উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ শ্রীলঙ্কা তখন বিদেশ থেকে ৪৫০ মিলিয়ন ডলারের চাল আমদানি করতে বাধ্য হয়।ফলে চালের দাম আকর্ষিক বেড়ে যায়।এছাড়া চা উৎপাদনও ব্যাপকভাবে কমে যায়ও রপ্তাানি কমে যায়।কৃষকদের এই ক্ষতির জন্য srilankan সরকার ২০০ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দিলেও দেশজুড়ে খাদ্য ঘাটতি প্রকট আকার ধারণ করেছে।
সংক্ষেপেঃ
1.Loan Repayment Foreign Remittances 2.Decrease Failure to Attract Foreign Direct 3.Investment The Collapse of Tourism Export 4.Earnings Decrease
…
বাংলাদেশের পরিণতি কি কখনো শ্রীলঙ্কার মতো হয়ে যেতে পারে???
বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক অবস্থা:
Srilanka | Bangladesh |
শ্রীলঙ্কার মোট ঋণ ৩৩ বিলিয়ন ডলার।যেহেতু দেশটির মোট জনসংখ্যা ২ কোটি ২০ লাখ।সেই হিসাবে Srilanka এর মাথাপিছু ঋণ এর পরিমাণ ১৬৫০$ | অন্যদিকে বাংলাদেশের মোট ঋণ ৪৯.৪৫ বিলিয়ন ডলার।যেহেতু বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯৩ লাখ।সেই হিসাবে বাংলাদেশের মাথাপিছু ঋণের পরিমাণ ২৯২.১১ ডলার।বাংলাদেশের থেকে শ্রীলংকার মাথাপিছু ঋণের পরিমাণ ৬ গুণ বেশি। |
করোনার মধ্যে ২০২০-২০২১ অর্থবছরে দেশটির রেমিট্যান্স ছিল ৮.৫ বিলিয়ন ডলার। | ঐ অর্থবছরে বাংলাদেশের রেমিট্যান্স ছিল ২৪.৭৮ বিলিয়ন ডলার।যা শ্রীলংকার থেকে ৩ গুণ বেশি |
ঋণ পরিষোধের দায়ের দিক থেকেও বিপদজনক অবস্থানে বাংলাদেশ নেই।অর্থমন্ত্রণালয়ের হিসাব মতে বাংলাদেশের ঋণের পরিমাণ GDP এর ৩৮%।গত জুন পর্যন্ত হিসাবে বাংলাদেশের মোট দেনার পরিমাণ ছিল ১১ লাখ ৪৪ হাজার ২৯৭ কোটি টাকা।এর প্রায় ৩৭% এসেছে বিদেশী উৎস থেকে।পরিমাণ ৪ লাখ ২০ হাজার ৩৫৮ কোটি টাকা।বাংলাদেশের বিদেশী ঋণের হার GDP এর ১৩%।সুতরাং আপাতত চিন্তিত হওয়ার তেমন একটা কারণ নেই মনে হচ্ছে।কেননা IMF এর হিসাবে এই হার ৫৫% এর বেশি মানেই মহা বিপদ। | |
বর্তমানে শ্রীলংকার রপ্তানি আয় ৮.৫ বিলিয়ন ডলার | বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ৩৮.৭৫ বিলিয়ন ডলার।যা শ্রীলংকার প্রায় ৫ গুণ বেশি। |
মার্চ ২০২২ পর্যন্ত শ্রীলংকার রিজার্ভের পরিমাণ ২ বিলিয়ন ডলার। | বাংলাদেশের এটি ৪৪.৪০ বিলিয়ন ডলার।যা শ্রীলংকার প্রায় ২২ গুণ বেশি। |
——————————————————————————————
Source:
prothomalo: https://bit.ly/3roudwd
cbsl: https://bit.ly/3xk4A3v
timesofindia: https://bit.ly/3xmKEgk
aljazeera: https://bit.ly/3xmKG7W
treasury: https://bit.ly/3rJ6jfh
CIA: https://bit.ly/3LZ3XQN
Erd: https://bit.ly/3LWSiSI
BBC: https://bbc.in/3rpPjKD
Worldbank: https://bit.ly/3M4x71d
Adb: https://bit.ly/3xnOaa9
IMF: https://bit.ly/3vdkIRI
Thediplomat: https://bit.ly/3O6Eve8
Banglatribune: https://bit.ly/3vdxYpw
Tbsnews: https://bit.ly/3O6W8up
Reuters: https://reut.rs/3xk5tcl
Independent TV
Channelionline: https://bit.ly/3Ob4UHF
Statista: https://bit.ly/3O6PN1U
——————————————————————————————
Video Credit:
Business Today: https://bit.ly/3Eciaar
BBC News: https://bit.ly/3E9YIvd
DW News: https://bit.ly/3uAAHtM
World Bank: https://bit.ly/3rk8uWG
SLIITtube: https://bit.ly/3KH8YNY
WION: https://bit.ly/3JzNAZt