ফোসকা পড়া জায়গাতে জমে থাকা পানি বের না কতটা যুক্তিযুক্ত?
আমাদের ত্বকের বেশ কয়েকটি স্তর আছে, সে গুলোর মধ্যে প্রথম যে দুইটি স্তর সেগুলো হলো- এপিডার্মিস এবং ডার্মিস। আর ফোস্কা সাধারণত ত্বকের উপরিভাগের দুটি স্তরের প্রথম স্তর অর্থাৎ এপিডার্মিস (সম্পূর্ণভাবে) এবং পরবর্তী স্তর অর্থাৎ ডার্মিস (আংশিকভাবে) ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ফলে। আর ফোস্কার ভিতরকার পানিগুলোকে সেরাম বলা হয়। ক্ষতগ্রস্থ স্থানের আশেপাশের কোষগুলো হতে এই পানি নিঃসৃত হয় এবং ক্ষতকোষগুলোকে সুরক্ষা দিয়ে থাকে।
তাই যেকোনো ধরনের ফোস্কা-ই হোক না কেনো। সেটা আগুন পুড়ে হোক বা নতুন জুতা পড়ে, ভিতরকার পানি বের করা বা ফোটা করে বের করা নেহাৎ বোকামি ছাড়া কিছুই না। এতে ক্ষতির উপর আরো বড় ক্ষতি। এতে করে আবার ধুলোবালি পড়ে ক্ষত স্থানের অবস্থা আরো খারাপ হওয়ার ঝুঁকিও অনেকটা বেড়ে যায়।
ডাবে পানি কিভাবে আসে?
কোষ বিভাজিত হয় তা তো আমরা সবাই জানি। এই কোষ বিভাজনকে আমরা দুই ভাগে ভাগ করতে পারি।
- নিউক্লিয়াসের বিভাজন ( ক্যারিওকাইনেসিস)
- সাইটোপ্লাজমের বিভাজন ( সাইটোকাইনেসিস)
ডাবের ক্ষেত্রে ক্যারিওকাইনেসিস চলতে থাকে কিন্তু সাইটোকাইনেসিস হয় না। মানে নিউক্লিয়াস বিভাজিত হয়ে নতুন নিউক্লিয়াস তৈরী হয় ঠিকই কিন্তু কোষের সাইটোপ্লাজমটা বিভাজিত হয় না। যার ফলে বহু নিউক্লিয়াস সৃষ্টি হয়। আর একে বলে “মুক্ত নিউক্লিয়ার বিভাজন”।
যেহেতু ডাবের কোষে নিউক্লিয়াস বিভাজিত হতেই থাকে হতেই থাকে। তাই বেচারা কোষটা নিউক্লিয়াসকে জায়গা দিতে গিয়ে তার ভেতরে থাকা পানি কে বের করে দেয়। আর এটাই ডাবের পানি। ?
যেকোনো তরল পদার্থকে তাপ দিলে তা বাষ্প হয়ে যায় কিন্তু ডিমকে তাপ দিলে তা কঠিনে পরিনত হয় কেনো?
পানি সহ যেকোনো তরলকে তাপ দিলে তা বাষ্পে পরিণত হয়। এই কথাটি তরলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হলেও কি ডিমের জন্য প্রযোজ্য?
সাধারণত আমরা যখন তরলে তাপ দিয় তখন তার ভৌত অবস্থার পরিবর্তন হয়। তরল থেকে সাধারণত বাষ্পে পরিণত হয়। কিন্তু ডিমে কি কেবল এক ধরণের তরল পদার্থই রয়েছে?
না। ডিমে বিভিন্ন প্রোটিন এর মিশ্রণ থাকে। যেমন : অ্যালবুমিন, গ্লোবিউলিন, ফসভাইটিন সহ আরও নানা ধরনের প্রোটিন আছে। তাপ প্রয়োগের ফলে প্রোটিনগুলো জমাট বেঁধে যায়। সেজন্যই আমরা ডিমকে শক্ত হতে দেখি। এখানে ডিম এর ভৌত অবস্থার পরিবর্তন হয় না বরং প্রোটিন এর রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটে।
ট্রাকের পিছনে সাধারণ পরিবহন লিখা থাকে কেন?
আমরা দেখি যে মালবাহী গাড়ি তে “সাধারণ পরিবহণ” কথা লেখা থাকে। এইটা সকল মানুষ তাদের প্রয়োজনে বাংলাদেশের সব জায়গাতে ব্যবহার করতে পারবে। গণপরিবহন গুলো নির্দিষ্ট জেলা বা এরিয়ায় সীমাবদ্ধ থাকে। কিন্তু এই মালবাহি পরিবহণ গাড়িগুলো মানুষের প্রয়োজনে যেকোনো স্থানে চলা চল করতে পারে। তাই গাড়ি গুলোর পেছোনে না পাশে সাধারণ লিখা থাকে।
কারেন্ট দিয়ে পানি গরম করার পাত্রে। পানি গরম করে তা পান করা স্বাস্থ্যের জন্য কী নিরাপদ?
একদমই নিরাপদ না । উপরের এই রকম পাত্রগুলো সাধারণত প্লাস্টিকের। আর প্লাস্টিককে উত্তপ্ত করলে তা থেকে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী পদার্থ বের করে যা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্নক হুমকিস্বরূপ। শুধু মাত্র প্লাস্টিকের পানি গরম করা পাত্রে পানি গরম করা নয়, প্লাস্টিকের পাত্রে খাবার গরম করা অথবা গরম খাবার প্লাস্টিকের পাত্রে রাখা সমানভাবে বিপজ্জনক।
লিখার মধ্যে কোনো প্রকার ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
আল্লাহ হাফেজ।