Site icon Trickbd.com

ট্রিকবিডিতে আমার পোস্ট করার সিক্রেট এবং আমার ব্যাবহৃত ট্যাগসমূহ, নতুনদের জন্য একটি গাইডলাইন

Unnamed

Trickbd তে আমার পোস্ট করার সিক্রেট এবং আমার ব্যাবহৃত ট্যাগসমূহ


আপনি যদি ট্রিকবিডির লেখক হয়ে থাকেন এবং মানসম্মত পোস্ট করতে চান তাহলে আপনার লেখার গুণগত মান বাড়ানোর পাশাপাশি সৌন্দর্যের দিকটিও লক্ষ্য রাখতে হবে। Bb code, html কোড ইত্যাদি ব্যাবহারের মাধ্যমে আপনি আপনার পোস্ট এর সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে পারেন। নতুন যখন ট্রিকবিডির লেখক হই ক্লাস ৮ এ ছিলাম হয়ত আমি। তখন শুধুমাত্র ট্রিকবিডির পোস্ট সেকশনে উল্লেখ করা কিছু bb কোড ইউস করা হয়। লেখা বোল্ড করা, হাইপারলিংক ইত্যাদি কয়েকটি জিনিসই জানতাম। কিন্তু তখন কার সময়ে এই হালকা পাতলা জিনিস দিয়ে লেখকরা অনেক সুন্দর করে পোস্ট করত। আজকের পোস্ট হচ্ছে আমি কিভাবে ট্রিকবিডির মধ্যে পোস্ট করি সে বিষয় নিয়ে এবং সাথে হালকা পাতলা কিছু ট্রিকস শেয়ার করব।

STEP 1: TOOLS


আমি লেখালেখির জন্য ব্যাবহার করি গুগল কিবোর্ড এবং গুগল নোটস। এর সুবিধা হল নোটস এ লেখার কারণে সেটি আমার সব ডিভাইসের সাথে সিংক থাকে এবং গুগল কিবোর্ড ব্যাবহারের একমাত্র কারণ আমার ভিন্ন ভিন্ন ইউজফুল ফিচার পছন্দ। একদা একসময় আমি রিদমিক কিবোর্ড ব্যাবহার করতাম কিন্তু এখন গুগল কিবোর্ড ব্যাবহার করি এর ফিচার গুলোর জন্য। স্টেপ ১ হচ্ছে মূলত আমি পোস্ট করার আগে কি করি সে বিষয় নিয়ে। প্রথমত পোস্ট করার আগে আমি আমার পোস্ট এর বিষয় সিলেক্ট করি কি নিয়ে পোস্ট করব। তারপরে গুগলে যাই এবং সার্চ করি

(আমার পোস্ট এর বিষয়) trickbd
Ex: pubg trickbd 

এতে করে ট্রিকবিডির কীওয়ার্ড ব্যাবহার করার কারণে এবং আমার বিষয়বস্তু দিয়ে সার্চ করার কারণে ট্রিকবিডির মধ্যে যদি এই বিষয় নিয়ে আগে কোনো পোস্ট থাকে তাহলে সবগুলো সার্চ রেজাল্ট এর মধ্যে চলে আসে। ট্রিকবিডির মধ্যে যদি আগে এই বিষয় নিয়ে কোনো পোস্ট করা থাকে তবে আমি আর সে বিষয়ে পোস্ট করি না কিন্তু যদি পোস্টগুলো ২-৩ বছর পুরোনো হয় বা এর মধ্যে নতুন কোনো কিছু সংযোজন করা যায় তাহলেই কেবল সেই বিষয়ে পোস্ট করি।


STEP 2: TEMPLATE

পোস্ট করার জন্য আমি আগে থেকে কিছু টেমপ্লেট এর মত করে এডিট করে সাজিয়ে নিয়েছি। যদি কোনো অ্যাপ রিভিউ বা গেইম রিভিউ হয় অথবা কোনো এডুকেশনের ভিডিও এই সবগুলোর জন্য গুগল নোটস এর মধ্যে কোড গুলো সাজানো আছে। যদি অ্যাপ রিভিউ দেই তবে আমার অ্যাপ এর নাম সাইজ, লিংক, স্ক্রিনশট এবং পোস্ট এর মধ্যে রিভিউ সহ হালকা পাতলা কিছু লিখলেই পোস্ট কমপ্লিট হয়ে যায়। এতে করে আমি কম সময়ে অনেক বড় পোস্ট লিখতে পারি এবং পোস্ট এর মধ্যে কোনো প্রকার ডিটেইলস মিস যাওয়ার সুযোগ থাকে না। অনেক লেখক কে দেখেছি আমি নিজের ইচ্ছেমত দুনিয়ার সব কোড ইউস করে লাল নীল , সাদা লেখা দিয়ে পোস্ট গুলোকে একদম বিশ্রী করে ফেলে। সাজেস্ট করব নিজের পরিমাণ মত এবং পছন্দ মত কোড ব্যাবহার করতে। আপনার টার্গেট থাকবে ভিজিটর যেন আপনার পোস্ট পড়তে পড়তে বিরক্ত না হয়। একটি উদাহরণ দেই কাল ব্যাকগ্রাউন্ড এর মধ্যে সাদা লিখা পড়তে ভাল লাগে। তাই eye catch করে এইভাবে আপনার পোস্টগুলো সাজানোর অনুরোধ রইল। যদিও বর্তমানে লেখকরা আমার চেয়ে হাজারগুণ সুন্দরভাবে পোস্ট করে, তারপরেও কেউ যদি নতুন লেখক হতে চান বা কেউ এলোমেলো ভাবে পোস্ট করে থাকেন তাহলে আমার এই সাজেশন কাজে লাগাতে পারেন।

STEP 3: DIGITAL FILES

আমি আমার লাস্ট বেশ কিছু পোষ্ট এর মধ্যে স্ক্রিনশট এর পাশাপাশি gif এর ব্যাবহার করেছি এবং এগুলো দেখতে বেশ ভালই দেখায়। আমি যে বিষয় নিয়ে পোস্ট করি সে বিষয়ের কোনো ছবি, স্ক্রিনশট কিংবা কোনো কিছু পোস্ট এ যুক্ত করার জন্য আমি গুগলের সাহায্য নেই। এতে অবশ্যই আমি কপিরাইট আইন লঙ্গন করছি কিন্তু আমি যত সম্ভব চেষ্টা করি স্ক্রিনশট গুগল এবং ডিজিটাল ফাইলগুলো যাতে আমার নিজের হয়।

STEP 4: PIRACY

যদি কোনো অ্যাপস রিভিউ বা গেইম রিভিউ হয় সেক্ষেত্রে আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করি অ্যাপস বা গেইম এর অরিজিনাল প্লে স্টোর লিংক দিতে। আমার শেষের পোস্ট গুলো পড়লে আপনি হয়ত খেয়াল করবেন আমি কোনো mod apk, বা cracked apk ইত্যাদি সাপোর্ট করি না। অবশ্যই আমার যদি কোনো কাজে দরকার পরে এবং এইসব কেনার সামর্থ না থাকে তবে আমি নিজের ব্যাবহারের জন্য এগুলো ডাউনলোড করে থাকি। কিন্তু কখনো আমি কাউকে এইসব এর লিংক দেই না বা শেয়ার করি না। কারো দরকার পড়লে সে নিজে ডাউনলোড করে নিবে। আমার প্রয়োজনীয় কোনো অ্যাপস বা গেইম থাকলে আমি সেটি ক্রয় করে ব্যাবহার করি যেমন: poweramp, 1dm. আমার পুরাতন পোস্ট গুলোতে হয়ত আমি প্রচুর পরিমাণে এইসব পাইরেসি করা জিনিসপত্র শেয়ার করেছি এবং সে কারণে আমি দুঃখিত এবং trickbd ও এই জিনিসগুলো সাপোর্ট করে না।

STEP 5: POST PUBLISH

আমার পোস্ট টি সম্পূর্ন লেখার পর ট্রিকবিডির মোবাইল ভার্সন থেকে স্ক্রিনশট আপলোড দেই এবং এর কোডগুলো কপি করে পোস্ট এর বিভিন্ন জায়গায় বসিয়ে দেই। এই কারণে মূলত আমি গুগল কিবোর্ড ব্যাবহার করি। কারণ গুগল কিবোর্ড এর মধ্যে একসাথে ৫ টি পর্যন্ত লিখা কপি করা যায় এতে আমার কপি পেস্ট এর কাজটি সহজ হয়ে যায়। ট্রিকবিডির পোস্ট লিখা, এডিট করা, স্ক্রিনশট আপলোড করা সবকিছু আমি ট্রিকবিডির মোবাইল ভার্সন থেকে করি। ট্রিকবিডির নতুন ভার্সন এবং অ্যাপ ব্যাবহার করে আমি পোস্ট লিখতে মজা পাই না একারণে মোবাইল ভার্সন ব্যাবহার করি। ব্রাউজ করতে গুগল ক্রম এবং স্ক্রিনশট এডিট করতে ফোনের এডিটর ব্যাবহার করি।

STEP 6: SURVEY

পোস্ট পাবলিশ করা শেষে আমি সম্পূর্ন পোস্টটি নিজে একবার পড়ি এবং দেখি কোনো লেখা, দাড়ি, কমা,স্ক্রিনশট, ট্যাগ ইত্যাদি মিসিং আছে কিনা। যদি থাকে তাহলে সাথে সাথে আমি সেটি এডিট করে ঠিক করে দেই । এ কারণে আমি পোস্ট করার ১৫-২০ মিনিট পর্যন্ত মাঝে মাঝে আমার পোস্ট এর আগামাথা ঠিক থাকে না । পোস্ট শেষে আমি অপেক্ষা করি আপনাদের কমেন্ট এর জন্য এবং অনুপ্রেরণা মূলক কমেন্টগুলা পড়তে খুবই ভাল লাগে। দিনশেষে আমি চেক করি আমার পোস্ট এর মধ্যে কতগুলো ভিউ এসেছে এবং আমার পোস্ট এর পরের এবং আগের পোস্ট গুলোর ভিউ কম্পেয়ার করি। এতে আমার একটি আইডিয়া তৈরি হয় ট্রিকবিডির ভিজিটর গুলো কোন ধরনের পোস্ট বেশি পছন্দ করে এবং আমার কোন বিষয়ে লিখা উচিত। আমার সার্ভে থেকে যা বুজলাম, অপারেটর অফার, গেইম রিভিউ, হ্যাকিং টিপস, এই পোস্টগুলো ট্রিকবিডির মধ্যে বেশ জনপ্রিয় এবং পাইরেসি জাতীয় যা আছে আরকি যেমন মাগনা অ্যাপস, মাগনা Netflix আইডি ইত্যাদি।
আপনাদের ভিউ, কমেন্ট, চাহিদা এইসব কিছুর প্রভাব পরে আমার পোস্ট এর উপর।

এইত দেখালাম আমি পোস্ট কিভাবে করি ট্রিকবিডির মধ্যে, এবং এতটুকু আসতে আমার ৫-৭ বছর লেগেছে। আমি নিয়মিত লেখক না আমার ফ্রি টাইমেই কেবল মাত্র আমি পোস্ট করি। এই কারণে আমার শিখতে ও শিখাতে অনেক সময় লাগে। আমি ট্রিকবিডির কাছে কৃতজ্ঞ কারণ আমার টেকনোলজির প্রতি ভালবাসা জন্মাতে এবং আমার অনেক বিষয়ে শিক্ষালাভ করতে ট্রিকবিডির অনেক সাহায্য পেয়েছে। আমি পোস্ট করার সময় যে কোডগুলো ব্যাবহার করি আজকে সেগুলো শেয়ার করছি আপনাদের সাথে।

এই ট্যাগ গুলো এবং ট্যাগ এর এট্রিবিউট গুলো অনেক ঘাটাঘাটি করে নিজের মত করে সাজিয়েছি। কারণ ট্রিকবিডির মধ্যে অনেক কোড সাপোর্ট করে না এবং html এবং css নিয়ে আমার বেশি ধারণা না থাকায় কাজটি আমার পক্ষে কঠিন হয়ে যায়। উপরের ট্যাগ এর মধ্যে p দিয়ে ট্যাগ টি হল আমার পোস্ট এর একদম উপরে টাইটেল নির্ধারণ করে এটি। এবং আমার পোস্ট শুরুর সময় একটি বক্স এর মধ্যে অ্যাপ কিংবা গেইমের সকল ডিটেলস থাকে সে জিনিসটি করার জন্য div এই কোডটি ব্যাবহার হয়েছে। এট্রিবিউট এর মধ্যে বর্ডার সাইজ, কালার সবকিছু আমি আগেই সেট করে নিয়েছি আপনি চাইলে নিজের মত সেট করতে পারেন।

<b><u><font size="5">
স্টেপ ১
</font></u></b>

হেডিং এর জন্য h2,h3 এই ট্যাগ গুলো ব্যাবহার না করে নিচের ট্যাগ গুলো সাজিয়েছি আমি। ঐগুলোর চেয়ে আমার সাজানো কোডটি দেখতে সুন্দর লাগে বেশি। যদি পোস্ট এর কোনো অংশ পয়েন্ট আকারে হয় তবে আমি লিস্টেড, আনলিস্টেড এই কোডগুলো ব্যাবহার করি।
আজকের পোস্ট এর একটি মজাদার পার্ট হল আমি কোড শেয়ার করার জন্য কোন ট্যাগ টি ব্যাবহার করি।

<pre> ABCD code </pre>

কোড শেয়ারের জন্য আমি pre ট্যাগটি ব্যাবহার করি।

TIPS 1

এই pre ট্যাগ ব্যাবহারের ক্ষেত্রে অনেক সতর্ক থাকতে হবে বিশেষ করে ট্রিকবিডির মধ্যে। কারণ আপনি এই ট্যাগ এর ভেতরে এই চিহ্নগুলো ব্যাবহার করতে পারবেন না। কারণ এগুলো ব্যাবহার করলে html মনে করবে এগুলো তার কোনো ট্যাগ ফলে তার মাথা নস্ট হয়ে উল্টা পাল্টা আউটপুট দিবে। এর জন্য আপনি একটি কাজ করতে পারেন সেটি হল less than ( < ) এই চিহ্ন এর পরিবর্তে ব্যাবহার করতে পারেন নিচের স্ক্রিনশট এর দেখানো ছোট সিম্বল গুলো।



TIPS 2

আপনি যদি কোড শেয়ার এর জন্য pre ট্যাগ ব্যাবহার করেন এবং ট্রিকবিডির মধ্যে পোস্ট এডিট করার প্রয়োজন পড়ে আমি বলব আপনি গুগল নোটস বা যেখানে আপনার পোস্ট লিখেছেন সেখানে এডিট করে তারপর সেটি ট্রিকবিডির মধ্যে পোস্ট দেন। কারণ আপনি যখন পোস্ট এডিট করবেন তখন আপনার এই সিম্বল গুলোর পরিবর্তে যে কোডগুলো লিখেছিলেন সেগুলো ট্রান্সফর্ম হয়ে এই চিহ্ন তে চলে আসবে। এবং যখন পোস্ট পাবলিশ করবেন তখন দেখবেন pre ট্যাগ এর ভেতর এই সিম্বল আর শো করছে না।
তাই বলব সবসময় আপনার মূল পোস্ট এর একটি বেকাপ রাখুন। এবং ট্রিকবিডির মধ্যে পোস্ট এডিট করবেন না যদি আপনি pre ট্যাগ ব্যাবহার করেন।

কোনো প্রশ্ন বা সাজেশন থাকলে কমেন্ট করতে ভুলবেন না। আজকের পোস্ট এখানেই শেষ।