তো শুরু করা যাক
বর্তমানে আপনি যেকোনো ধরণের device, computer, smartphone, electronics সহ আরো বিভিন্ন ধরনের জিনিস গুলোতে লিনাক্স (Linux) ব্যবহার করি। এবার আপনারা জানেবেন লিনাক্স কাকে বলে। আসলে লিনাক্স হলো একটি অনেক জনপ্রিয় ও বিখ্যাত অপারেটিং সিস্টেম (operating system) যেটাকে gadgets, cars, smartphone, super computer, home application ইত্যাদি গুলোতে ব্যবহার করা হয়।এক কথায় লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম প্রায় সকল জায়গায় ব্যবহার করা হয় বললে কোনো ভুল হবে না।আবার, আমাদের মধ্যে অনেক মানুষরা প্রতিদিন Linux OS ব্যবহার করছেন কিন্ত এই বিষয়ে আমরা ভালো বুঝতে পারি না। মনে রাখবেন, লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম অনেক আগে থেকে ব্যবহার হয় আসতেছে। এটা প্রায় ৩০ বছর এর অধিক সময় থেকে ব্যবহার হয়ে আসছে। তখন থেকে এই পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের ডিভাইস এবং কম্পিউটার গুলোতে লিনাক্স ব্যবহার করা হচ্ছে।তাহালে, চলুন নিচে থেকে জেনে আসি লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম (Linux OS) এর সম্পর্কে বিস্তরিত।
Linux কি? (What is Linux)
-
একটি কম্পিউটার ডিভাইসে শুরু থেকে কাজ করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে থাকে একটি অপরেটিং সিস্টেম (OS)। operation system হলো এমন একটি সিস্টেম সফটওয়্যার যার কাজ হলো কম্পিউটার এর হ্যার্ডওয়্যার্ক এবং software components গুলোকে পরিচালনা করা।কম্পিউটার মেমোরির মধ্যে অপোরেটিং সিস্টেম লোড হওয়ার পর, কম্পিউটার উপলব্ধ থাকা তথ্য বা ডাটা গুলোর উপর ভিত্তি করে নির্দেশ প্রদান করে। যেভাবে windows এবং Mac অপারেটিং সিস্টেম রয়েছে ঠিক সেই ভাবে Linux OS যেটাকে Linux kernel এর উপর বেসিক ভাবে তৈরি করা হয়েছে। লিনাক্স এমন একটি open source software, এজন্য সম্পর্ন ফ্রী operating system যেটা অনেক সহজে যেকেউ ব্যবহার করতে পারে।যেকোনো ব্যাক্তি সম্পর্ন ফ্রীতে ইন্টারনেট থেকে Linux coding modify করে সেটাকে ব্যাক্তিগত এবং ব্যবসার কাজের জন্য তৈরি করতে পারেন।মনে রাখবেন, Unix operation system এর একটি বিখ্যাত ভার্সন হলো Linux এটা open source হওয়ার কারণে অনেক ডেভেলপাররা একে নিজের মনের মতো কাস্টমাইজড করে নিতে পারেন। মূলত এর অপারেটিং সিস্টেম বিকশিত করা হয়েছিলো পার্সোনাল কম্পিউটার গুলোর জন্য।পরে বিভিন্ন সময়ে অন্যান্য প্লাটফার্ম গুলোতে যেমন স্মার্টফোন, স্মার্টফোন টিভি, গেমিং কনসোল সহ আরো বিভিন্ন ধরনের অপারেটিং সিস্টেম গুলোতে এর ব্যবহার শুরু করা হয়। তবে, Linux OS বেশি সংখ্যাক ব্যবহার করা হতো সুপার কম্পিউটার গুলোতে।
লিনাক্স (Linux) এর মালিক কে?
- আমি আগেই বলেছি লিনাক্স একটি open source license তাই এটাকে যেকেউ ইন্টারনেট থেকে সম্পর্ন ফ্রীতে ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারবেন। তবে, এটার trademark অবশ্যক মালিক Linus Torvalds এর কাছে থাকছে। Linus Torvalds হলো একজন software engineer. তাছাড়া, Linux OS এর source code এর কপিরাইট (copyright) একাধিক লেখকদের কাছে রয়েছে।তাই, সম্মিলিত ভাবে Linux কে GPLv2 license অন্তগত রাখা হয়েছে।
Linux এর ইতিহাস | History of Linux
Linus Torvalds ১৯৯১ সালে Linux তৈরি করেন। তিনি ছিলেন একজন Finnish American Software Engineer. মাত্র ২১ বছর বয়েছে তিনি যখন ছাত্র ছিলেন তখন Linux এর master thesis লিখেছেন।সেই সময় থেকে এই সময় পর্যন্ত Linux kernel নরন্তরে বিকশিত হতে থাকে। ১৯৯১ সালে তিনি যখন computer science নিয়ে পড়াশোনা করা অবস্থায় একটি প্রোজেক্ট এর উপর কাজ শুরু করেন, যেটা পরবর্তীতে Linux kernel হয়ে দাঁড়িয়েছে।মনে রাখবেন, Linus Torvalds যখন প্রথম লিনাক্স তৈরি করেন তখন তার নাম ছিলো Freax কিন্ত পরবর্তীতে এটার নাম পরিবর্তন করে Linux রাখা হয়েছে।
লিনাক্স ও উইন্ডোজ এর পার্থক্য
- 1. লিনাক্স হলো একটি open source operating system যেটাকে যেকোনা মানুষরা ফ্রীতে ব্যবহার করতে পারবেন। কিন্ত উইন্ডোজ (windows) open source operating system না এজন্য এটার licence কিনে ব্যবহার করতে হয়
2. Windows এর মধ্যে administrator, standard, guest এই তিন ধরনের user account থাকে। কিন্ত লিনাক্স এর ক্ষেত্রে root, regular ও service account থাকে।
3. উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম কেবল single user এর ক্ষেত্রে থাকে, কিন্ত Linux OS multi user সার্পোট করে থাকে।
4. উইন্ডোজ এর তুলনায় লিনাক্স অনেক বেশি সুরক্ষিত। কারণ এখানে ভাইরাস আক্রমন করার সুযোগ থাকে।
5. Windows OS পার্সোনাল কম্পিউটার গুলোতে অনেক বেশি ব্যবহার করা হয়। তবে, developers, programmers, coders এবং government organization গুলো লিনাক্স ব্যবহার করা হয়।
6. কোডিং এর প্রয়োজন এর ফলো একজন সাধারণ ব্যাক্তির জন্য লিনাক্স ব্যবহার করাটা কঠিক হয়ে যায়। কিন্ত Windows এর ক্ষেত্রে কোডিং (coding) এর ব্যবহার করতে হয় না।
7. Windows এর মধ্যে আলদা আলদা ড্রাইভ থাকে সেখানে প্রচুর ফোল্ডার রাখার সুযোগ থাকে। কিন্ত লিনাক্স এর মধ্যে কোনো ড্রাইভ দেখানো হয় না।
লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম এর বৈশিষ্ট্য
- 1. Open Source – Linux source code freely available রয়েছে।এটা একটি community based development project. multiple teams গুলোর সাথে কাজ করে লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম এর ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
2. Portable – Portable মানে হলো এমন একটি বিশেষ ধরনের সফটওয়্যার যার মাধ্যমে সব ধরনের hardware সমান ভাবে কাজ করতে পারবে।
3. Multiprogramming – লিনাক্স হলো একটি Multiprogramming system যেখানে multiple application গুলো একাত্রে run করতে পারে।
4. Security – লিনাক্স তার ইউজার দের অনেক ভালো রকম Security প্রদান করে থাকে। যেমন নিদিষ্ট কিছু ফাইল এর মধ্যে password protection, encryption of data প্রদান করা।
5. Shell – Linux এর মধ্যে বিশেষ interpreter program থাকে, যার মাধ্যমে operating system এর commands গুলোকে execute করা যায়।এটার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ক্রিয়াকলাপ গুলো করা সম্ভব। যেমন- application programs গুলো থেকে কল করা যায় এমন ইত্যাদি কাজ।
6. Multi User – লিনাক্স এমন একটি multi user system যার মানে হলো বিভিন্ন সিস্টেম যেমন মেমোরি, রেম, এপ্লিকেশন প্রোগ্রাম গুলোকে multi user এক সাথে এক্সেস করতে পারে।
7. Hierarchical File System – Linux এমন একটি standard file structure প্রদান করে যেখানে system files / user files গুলোকে অনেক সহজে সাজানো যায়।
আজ এই পর্যন্তই সবাই ভালো থাকবেন।আর ট্রিকবিডির সাথে থাকুন।