আসসালামুআলাইকুম
সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। Trickbd এর সাথে সবাই নিয়মিত থাকবেন,যাতে সকল প্রকার আপডেট পেতে পারেন।
পড়ালেখা ছাড়া ভাল কোনো চাকুরি পাওয়া যায় না,এছাড়া ও পড়ালেখা না করলে নিজেকে ভালভাবে প্রতিষ্ঠিত হওয়া যায় না।
আমাদের মাঝে অনেকে আছে অনেক পড়ালেখা করে ও সফল বা ভাল রেজাল্ট করতে পারে না। আবার অনেকে আছে অল্প পড়ে সে অনেক ভাল সফল।
তাই কার্যকারভাবে পড়ালেখা করা উচিৎ। কারন সারাদিন পড়ে যদি সেই পড়ার মুল বিষয় না বুঝতে পারেন,তাহলে সে পড়ার কোনো দাম নেই।
পড়ালেখা আসলে কিভাবে করলে ভাল করা যায়, এমন কোনো উপায় নেই, যে যার যার ইচ্চামতো পড়ে সফলতা অর্জন করে।
তারপর ও বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে এমন কিছু কৌশল বের করেছেন,যে কৌশল বের করেছেন,যে কৌশল অবলম্বন করে পড়লে, সফলতা অর্জন করতে অনেক বেশি সক্ষমতা রাখে।
অনেক ছাত্র-ছাত্রী অনেক রাত্র জেগে পড়ালেখা করে থাকে৷ আসলে এটা ঠিক না,কারন এতে অনেক ছাত্র-ছাত্রীর অনেক ক্ষতি হয়।
সকাল অনেক ভোরে উঠে পড়লে সে পড়া সবথেকে বেশি মনে থাকে। তাই বেশি রাত জেগে পড়া উচিৎ না।
কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক,
সঠিকভাবে পড়াশোনা করার বৈজ্ঞনিক কিছু উপায়ঃ-
১) পড়ার সময় একটানা না পড়ে, পড়ার মধ্য মাঝে মাঝে একটু বিরতি নেয়া উচিৎ। কোনো এক গবেষণায় দেখা গেছে পড়ার সময় বিরতি নিয়ে পড়লে সে পড়া সহযে মনে থাকে ও অনেক বেশি কার্যকারি হয়। পড়ার সময় বিরতি নিলে পড়া যেমন ভাল মনে থাকে তেমনি ক্লান্তি ও দূর হয়। তাই একটানা না পড়ে পড়ার সময় বিরতি নেয়া উচিৎ।
২) বড় লক্ষ্য পৌছানোর চিন্তাভাবনা না করে পড়া চালিয়ে যেতে হবে৷ কারন অনেক সময় পড়ার সময় এসব নিয়ে ভাবলে পড়া মনে থাকে না। প্রতিদিন লক্ষ্য বড় করার পর পড়তে বসলে ধৈর্য হারিয়ে যায়৷ তাই আমাদের মুল কাজ হলো ভালভাবে পড়ালেখা করা৷ কোনো সময় ই আমাদের লক্ষ্যকে বড় করে দেখা উচিৎ না। হ্যা! লক্ষ্যকে তো বড় করে দেখতে হবে, তবে সেটা সফলতার দ্বারপান্তে গিয়ে।তাই পড়ার আগেই কখনো এসব লক্ষ্য বড় করে দেখা উচিৎ না। ছোট লক্ষ্যকে আগে বড় করে দেখার চেস্টা করুন,মনে রাখবেন ছোট ছোট লক্ষ্য ই বড় লক্ষ্যে পৌছাবে।
৩) প্রতিটি অধ্যায় ভালভাবে পড়ে শেষ করার পর সারসংক্ষেপ তৈরি করা। যে অধ্যায় পড়লেন, সে অধ্যায় মুলত কিসের জন্য লিখেছে,মুল বিষয় এর দিকে গুরুত্ব দিতে হবে। যে অধ্যায় পড়লেন সে অধ্যায় সারসংক্ষেপ বার বার মনে করুন ও চর্চা করুন।বিজ্ঞানীরা এই পদ্ধতিকে সামারাইজিং অ্যান্ড আ্যক্টিভ রিকল বলে। তাই এ কাজ টি বেশি করে করুন৷ এটি পড়ালেখা মনে রাখার কার্যকারি উপায়।
৪) পড়াশেষ করার একটা সময় নির্ধারণ করুন। এবং সে সময় অনুযায়ী পড়া শেষ করুন৷ তার পর অন্য পড়া পড়ুন। এতে আপনি পড়ার প্রতি ক্লান্ত হবেন না। সঠিকভাবে পড়ার এটিও একটি বিজ্ঞানিক উপায়।
৫) পড়ার জন্য সুন্দর ও মনোরম পরিবেশের স্থান নির্বাচন করুন। যেখানে আল,বাতাস প্রবেশ করতে পারে।সে পরিবেশ টা যেন একদম নিরব থাকে। সকল দিক বিবেচনা করে পড়ার স্থান নির্বাচন করতে হবে। তাহলে আপনার পড়াটি ভালোভাবে সম্পন্ন হবে।
উপরের বিষয়গুলো লক্ষ্য রেখে পড়লে আমাদের সফলতা অর্জন করতে একটু হলেও সাহায্য করবে। সঠিকভাবে পড়ালেখার বৈজ্ঞনিক উপায় কিন্তু সকলে জানতে পারলেন।
আজকে এপযন্ত, আবারো দেখা হবে নতুন কোনো আপডেট নিয়ে।
ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
- যেকোন প্রয়োজনে,
- ফেসবুকে আমিঃ-
ধন্যবাদ।