Site icon Trickbd.com

এইচএসসিতে জিপিএ ফাইভ পাওয়ার শর্টকাট ও পূর্নাঙ্গ গাইডলাইন

আসসালামু আলাইকুম,

দীর্ঘদিন পরে ট্রিকবিডিতে লিখতে বসলাম।ভাবলাম উচ্চ মাধ্যমিকে ভালো রেজাল্ট করার গাইডলাইন দেওয়ার মাধ্যমেই নতুনভাবে লিখা শুরু করি।কথা না বাড়িয়ে মূল লিখায় চলে যায়।

এইচএসসি’র গুরুত্ব:

যারা জীবনে পরিবর্তন আনতে চাই বা জীবনে নতুন কিছু দেখতে চাই তাদের জন্য এইসএসসি’র সময়টা খুব গুরুত্বপূর্ণ।সদ্য এসএসসি পাস করে কলেজে উঠে অনেকেরই আসমান চুয়ে ফেলার মতো অবস্থা হয়।হবেই না কেনো?স্কুলের গন্ডি ফেরিয়ে টগবগে রক্ত শরীরে,চারদিকে তাকালেই রঙিন আর রঙিন। আর এই রঙিনতায় ঠেলে দে সবাইকে নিচের দিকে।এই সময়কে ভালোভাবে ব্যাবহার করলে যেমন অনেক উচুতে যাওয়া যায় ঠিক তেমনি ভালোভাবে ব্যাবহার করতে না পারলে পড়ে যেতে হয় অনেক নিচে।তাই জীবনে ভালোকিছু করতে এই সময়ের সদ্ব্যাবহার গুরুত্বপূর্ণ।আজকের লিখা শুধুমাত্র গ্রুপ সাবজেক্ট(সাইন্স) এ সীমাবদ্ধ রাখবো।

যেভাবে পড়লে ভালো রেজাল্ট করা যাবে :

এইচএসসিতে সবছেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো “সময়”।উচ্চমাধ্যমিকের সিলেবাসটা এমনভাবে সাজানো যে,সময় কম কিন্তু পড়া অনেক বেশি।তাই এই সময় কি পড়তে হবে তার ছেয়ে কি পড়তে হবেনা তা বুঝা বেশি গুরুত্বপূর্ণ

এইচএসসি পরবর্তী আন্ডারগ্রেড ভালো মেডিকেল, বিশ্ববিদ্যালয়ে,ইঞ্জিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়তে জিপিএ ফাইভ অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।বিশেষ করে ইঞ্জিনিয়ারিং যাদের পড়ার ইচ্ছে তাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে ভর্তি পরিক্ষা দিতে জিপিএ ফাইভ এবং গ্রুপ সাবজেক্ট (PCM) এ ভালো মার্কস প্রয়োজন হয়।

নিচে জিপিএ ফাইভ(গ্রুপ সাবজেক্ট) পাওয়ার শর্টকাট দেওয়া হলো:

উপরের দেওয়া প্রত্যেকটা পয়েন্ট শেষ করলে আপনার জিপিএ ফাইভ পাওয়া নিশ্চিত।আমি এটা ফলো করে গ্রুপ সাবজেক্ট এ ৯৩ শতাংশ মার্ক অর্জন করেছি।

সাবজেক্ট ভিত্তিক প্রস্তুতি:

পদার্থবিজ্ঞান:

পদার্থবিজ্ঞানে ভালো করতে অবশ্যই মূল বইয়ের প্রত্যেকটা টপিক ভালোভাবে বুঝে পড়তে হবে।এক্ষেত্রে ইউটিউব অনেক সাহায্য করবে।ইউটিউবে টপিক সার্চ দিয়ে একই টপিকের উপর কয়েকজনের টিউটোরিয়ালে দেখলে ভালোই আইডিয়া পাওয়া যায়।টপিক বা অধ্যায় শেষ করেই গাণিতিক অংশ প্রচুর প্র‍্যাক্টিস করতে হবে।

হায়ারম্যাথ:

ম্যাথ এ পুর্নাঙ্গ মার্ক পেতে প্র‍্যাক্টিস এর বিকল্প নেই।যেকোনো একজন লেখকের মুল বইয়ের সব (অন্তত বিগত বিশ বছরের বোর্ড+ইঞ্জিনিয়ারিং ভর্তি পরিক্ষায় আসা ) ম্যাথ অবশ্যই ভালোভাবে আয়ত্ত করতে হবে।

রসায়ন:

রসায়নে ভালো করতে অবশ্যই মুল বই শেষ করতে হবে।গুরুত্বপূর্ণ বিক্রিয়া এবং মুখস্ত রাখার জিনিসগুলো ভালোভাবে আয়ত্ত করতে হবে।এছাড়া গাণিতিক রসায়ন অংশ প্র‍্যাক্টিস করতে হবে।

বায়োলজি:

বায়োলজিতে ভালো করার জন্য সবার আগে শুধু একটা শব্দ বলবো।সেটা হলো “মুখস্ত”। আপনি বুঝেন আর না বুঝেন আপনাকে অবশ্যই বায়োলজি মুখস্ত করতেই হবে।তবে বুঝে মুখস্ত করলে অনেকদিন মনে থাকে।বায়োলজিতে অনেক টপিক বারবার এসে থাকে,সেগুলো ভালোভাবে মুখস্ত করলে ভালোই মার্কস আসে।

এমসিকিউ আর সৃজনশীল ক,খ :

এমসিকিউতে ভালো করতে মুল বই রিডিং পড়ার বিকল্প নেই।বায়োলজিতে ২৫ এ ২৫ আসবে মূল বইয়ে থেকেই।পদার্থে ১০টি এমসিকিউ আসবে রিডিং থেকে,রসায়নে ১৭-২০টি আসবে রিডিং থেকে।পদার্থে এবং রসায়নে বাকি এমসিকিউ আসবে গাণিতিক অংশ থেকে।আর,ম্যাথ এ অবশ্যই প্রত্যেকটা টপিক ভালোভাবে আয়াত্ত করতে হবে।

শুধু মাত্র বিগত বছরের এমসিকিউ প্র‍্যাক্টিস করলেই সব বিষয়ে ২০/২২ পাওয়া সম্ভব।

ক,খ তে ভালো মার্কস পেতে বিগত বছরে আসা ক,খ এবং মুল বই রিডিং এর গুরুত্ব অনেক।

“সবশেষে, শুধু মুল বই আর বিগত বছরের সব প্রশ্ন পড়ে গেলেই গ্রুপ সাবজেক্ট এ A+ পাওয়া সম্ভব”

 

অনেকদিন ধরে লিখা হয়না,তাই হাতে জড়তা চলে আসছে।বানান এবং অন্যান্য ভুল থাকলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।হাতে সময় থাকলে অবশ্যই,”অন্যান্য সাবজেক্ট”, “গ্রুপ সাবজেক্ট এর মূল বই কোন রাইটারের বই পড়া উচিত” তা নিয়ে বিস্তারিত লিখবো।

যেকোনো বিষয়ে জানতে এবং আমার সাথে যোগাযোগ করতে আমার ফেসবুকে নক করতে পারেন।

Sabbir (CUET)