প্রিয় বন্ধুরা, যারা ৬ষ্ঠ থেকে ১০ শ্রেণীতে পড়ো।তাদের জন্য ইস্পাহানি মির্জাপুর এক বিশেষ উদ্যোগে শুরু করেছেন বাংলাবিদ ৫ম পর্বের আয়োজন।যারা অংশ নেও নি, তারা দ্রুত রেজিস্টার করে নেও।কারণ সময় আগামী ১৯ জানুরায়ী পর্যন্ত।আমি দুঃখিত যে এতো দেরীতে পোস্ট লেখার জন্য।অনেকেই হয়তো পূর্ব থেকেই জানেন, আজকে বিস্তারিত আলোচনার সাথে কোথায় অডিশন শুরু হচ্ছে তা নিয়ে লেখবো।উদ্দেশ্য অডিশনের বিষয়টি নিয়ে কথা বলা, তবে আরো বিস্তারিত একটু জানানো।শুরু করি তাহলে,
বাংলাবিদ কি?
বাংলা ভাষা তথা বাঙালির মাতৃভাষার ব্যবহার, সঠিক বানান শেখা, শুদ্ধ করে উচ্চারণ করতে পারা, বাংলা ব্যাকরণ ভালো ভাবে শিখার নতুন প্রয়াসে এর জন্ম।আমাদের অনেকেরই বাংলায় কথা বলে মাঝে মাঝে অসুবিধা হয়, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আঞ্চলিক ভাষা দিয়ে চালিয়ে দেই।কখনো বা আমরা বাংলা শব্দের বিকৃত রূপ দিয়ে থাকি।কিছু শব্দ আমরা সঠিক উচ্চারণ পর্যন্ত করতে পারি না।তাই তো চ্যানেল আই ও এদেশের এক অন্যান্য কোম্পানি ইস্পাহানি আমাদের বাংলা ভাষা নিয়ে ২০১৭ সাল হতে টিভি রিয়েলিটি শো চালু করেছেন বাংলাবিদ।যেখানে মেধাভিত্তিক বিজয়ীদের জন্য করেছে পুরষ্কারে ব্যবস্থা।
কেন তাদের এমন আয়োজন?
বাংলা শব্দের শুদ্ধতার জ্ঞান চর্চা ও বানান সচেতনতা বৃদ্ধির জন্যে দেশব্যাপী তারা এ প্রতিযোগীতার আয়োজন করেছে।পরবর্তী প্রজন্মের কাছে ভাষার উপযুক্ত ব্যবহার, উচ্চারণে সাবধানতা ও বানান ঠিকভাবে বলা ও লেখা যেন পৌঁছে যায়, সেটাই এদের প্রত্যাশা।বাংলাদেশের সমাজে হিন্দি মুভি বা ইংরেজি মুভি দেখে শিশু ও কিশোর, কিশোরীরা নিজ ভাষা ভুলে যাচ্ছে।এতে দেশের সংস্কৃতিতে যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে তার লক্ষ্যে এটি এখন সময় উপযোগী এক পদক্ষেপ।এছাড়া আমাদের প্রচারপত্র, লিপলেট কিংবা বইতেও আজ চোখ মেলে ধরলে বানান ভুল।ভুল আমাদের সকলেরই কম বেশি হয়।কিন্তু এর সঠিক উত্তর জেনে, এরপর তা সংশোধন করা অবশ্যই আমাদের কর্তব্য।এজন্য আর বসে না থেকে মাতৃভাষার আর অপব্যবহার না করে সঠিক অবস্থানে নিয়ে যাই।
কিভাবে অংশগ্রহণ করবো?
উঃ তুমি যদি এসএসসি পরীক্ষার্থী ২০২৩ শিক্ষার্থী না হয়ে দশম শ্রেণি অথবা এর নিম্ন শ্রেণি ষষ্ঠ শ্রেণির মধ্যে থাকতে পারো।তবেই একজন প্রতিযোগী হতে পারবে।এক্ষেত্রে তাদের অফিশিয়ালে ওয়েবে নিবন্ধ করে নেও।
এবার ঢাকায় স্টুডিও বা ২য় ধাপে বা মূল পর্বে অংশ নেওয়া পূর্বের তাদেরকে একের অধিক আকর্ষণীয় সব ধাপের মাধ্যমে মনন, মেধা, দক্ষতা ও জ্ঞান যাচাইয়ে নির্বাচিত হতে হবে।
আগামী ২০ শে জানুয়ারি বরিশাল প্রথম বাছাইপর্বের সূচনা, যার শেষ হবে ঢাকায় আগামী ১৮ ই মার্চে।এবার বরিশাল, ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রামসহ মোট নয়টি স্থানে পঞ্চম বর্ষের আয়োজন করা হয়েছে।
এই প্রতিযোগিতার লক্ষ কি?
আমরা শিক্ষার্থীরা শ্রেণিতে বা বিদ্যালয়ে ভালো ফলাফল করার জন্য মুখস্ত বিদ্যা কাজে লাগাই।তাই এসব শ্রেণিকক্ষের বিদ্যান এবং বিদেশী সংস্কৃতি ও ভাষার আগ্রাসন হতে আমাদের মুক্ত করে শিক্ষার্থীর কাছে শিক্ষাকে আরো একটু আনন্দের করে তোলা ও সঠিক মেধাভিত্তিক মানুষের খুঁজা।
মূল পর্বে বিচারক হিসেবে থাকছেনঃ কথাসাহিত্যিক ও কবি আনিসুল হক। বিশিষ্ট্য শিক্ষাবিদ ও ভাষাচিন্তক অধ্যাপক ডক্টর সৌমিত্র শেখর এবং গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বের অধিকারী ত্রপা মজুমদার।
কেন অংশগ্রহণ করবে তাদের প্রতিযোগীতায়?
এ প্রতিযোগিতার উদ্দেশ্য হচ্ছে, তোমাদের মধ্য থেকে মেধা ও মননের শ্রেষ্ঠ ব্লেন্ডের মানুষদের খুঁজে বের করা, যারা বাংলা ভাষা, বানান এবং বাংলা শব্দের ব্যবহারে দক্ষতা দেখাতে পারবে। মেধা ও মননভিত্তিক ভিন্ন ভিন্ন বাছাই প্রক্রিয়া পার হয়ে যারা সত্যিকার ভাষা সৈনিক হতে চাও তারা নিবন্ধন করো। তোমাদের মধ্য থেকেই কেউ হবে দেশসেরা বাংলাবিদ। চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় শীর্ষস্থান অধিকারী প্রতিযোগী পাবে ১০ লক্ষ টাকার মেধাবৃত্তি এবং দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারী পাবে যথাক্রমে ৩ লক্ষ টাকা ও ২ লক্ষ টাকার মেধাবৃত্তি। এছাড়াও প্রথম দশ জন প্রতিযোগী প্রত্যেকে পাবে ১টি ল্যাপটপসহ ব্যক্তিগত লাইব্রেরি করার জন্যে ৫০ হাজার টাকা সমমূল্যের বাংলা বই ও বইয়ের আলমারি। শীর্ষস্থান অধিকারীদের স্কুলের জন্যেও থাকছে বিশেষ সম্মাননাপত্র ও স্মারক। বাছাই পর্বের প্রতিযোগীদের মধ্য থেকে ৩ জন পাবে হাতের লেখার ওপর বিশেষ পুরস্কার।
নিবন্ধন করুন এখানে
আজকের লেখালেখি এখানেই সমাপ্ত আগামীতে অন্য আর্টিকেলে দেখা হচ্ছে।লেখায় কোনো প্রকার ভুল বানান লিখে থাকলে কিংবা বাক্য গঠনে ভুল করলে দয়া করে ধরিয়ে দিবেন।চলুন ভুল থেকেই শিখে ফেলি।