আসসালামু আলাইকুম! আশা করি সবাই ভাল আছেন!
আমি এতদিন লিখাপড়া নিয়ে বিজি থাকায় ট্রিকিবিডিকে সময় দিতে পারিনি!
এত গুলি মানুষের টানে সময় পেলেই ফিরে আসি এইখানে!
কিন্ত আশ্চর্য হলেও সত্যি আমাদের মাঝে অনেকেই আছেন যারা ইলেক্ট্রনিক্স এ অভিজ্ঞ বা পারদর্শী! কিন্ত আমরা ইলেক্ট্রনিক্স নিয়ে কোনও পোস্ট পাইনা!
তাই আমি আশা করছি সবাইকে এই বিষয়ে কিছু উপহার দেবার!
আমি এই পোস্টের মাধ্যমে ট্রিকবিডি কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করে বলব আমার কাজ যদি ভাল লাগে পছন্দ হয় তবে উৎসাহ দিতে আর পছন্দ না হলে তাও বলে দিতে! কারন একটা প্রোজেক্ট বানাতে মোট সময় যায় ৪-৫ ঘন্টা! যদি সাড়া পাই তবে আমার এসময় দিতে আপত্তি নেই!
আর আমার মতে “ইলেক্ট্রনিক্স” নামে একটা “ক্যাটাগরি” খোলা হোক, তাতে পারদর্শী রা পোস্ট করতে চেস্টা করবে! আর পোস্ট গুলি খোজে পেতে সহজ হবে!
আমার প্রোজেক্ট গুলির জন্য আমি নাম চয়েজ করেছি “Electrigic”
Electric+Logic=Electrigic অথবা
Electric+Magic=Electrigic
অর্থাৎ যারা আগে থেকে জানেন তাদের জন্য প্রোজেক্ট গুলি হবে Logic!
আর যারা একদম নতুন তাদের জন্য হবে ম্যাজিকের মত!
আর কথা না বাড়িয়ে পোস্টে চলে যাই!
এই প্রোজেক্টের নাম
Electrigic 1:
.
.
.
Electronics এর প্রতি মানুষের আগ্রহের শেষ নেই! আবার এর চাহিদাও প্রচুর!
আর এই চাহিদা+আগ্রহ আমাদের এর প্রতি গবেষনার প্রেরনা যোগায়! তাই এসব গবেষকরা নিত্যনতুন “নতুনত্ব” সৃষ্টি করে চলেছে! তেমনি একটি হচ্ছে আজকের টা:
নামঃ ১২/১৮ ভোল্ট চার্জার (DC):-
আমাদের বক্সের ব্যাটারি বা মসজিদের ব্যাটারিই হোক তা চার্জ দিতে হয় টানাহেঁচড়া করে বাজারে নিয়ে গিয়ে! কিন্তু আমরা একটু কষ্ট করেই তা ঘরে বসে চার্জ করতে পারি! হয়ত অনেকে এরকম চার্জার কিনে নেয়ার কথা ভাবতে পারেন তবে আমি বলব ওসব চার্জারের মুল্য বেশি আর আয়ুষ্কাল কম! তাই আজ দেখাতে চেস্টা করব কিভাবে কম খরচে অধিক সুবিধা সহ এই চার্জার তৈরি করা যায়!
এর জন্য আপনার কিছু উপকরন প্রয়োজন হবে!
উপকরনঃ
1 Casing ;
যা আপনি কোনও রিকশাওয়ালার কাছ থেকেই নিতে পারবেন(যদি উনার এটা থেকে থাকে).
আর তা না, হলে ভাংগারির(যেখানে পুরাতন, ভাংগা মালামাল বিক্রি হয়) দোকান থেকে নিতে পারবেন!
2 Adapter: ১টি ১৮ ভোল্টের এডাপ্টার প্রয়োজন হবে। যা আপনি পুরাতন সাদা কালো টিভির ভেতর থেকে পাবেন। এটা পেতেও ভাংগারির দোকানের সাহায্য নিতে পারেন! না পেলে ইলেক্ট্রনিক্স এর দোকানে যান(এতে খরচ কিছুটা বাড়বে).
3 Rectifier :
আপনাকে ৪ টি (Rectifier) কিনতে হবে ৫w. ক্ষমতার, যা আপনাকে ইলেক্ট্রনিক্স এর দোকান থেকে নিতে হবে।
চিত্রঃ রেকটিফায়ার ৫ ওয়াট
Aluminium Frame: আপনাকে কিছু এলুমিনিয়াম এর টুকরা দিয়ে একটা ফ্রেম বানাতে হবে যার ভেতরে খুব আটোসাটো ভাবে এডাপ্টার টী থাকবে! এটা আপনি এলুমিনিয়াম শপেই পাবেন।
Switch: আপনাকে স্টিলের তৈরি একটা তিন তার বিশিষ্ট সুইচ কিনতে হবে। এটা ইলেক্ট্রনিকস শপে পাবেন।
Capacitor: 12/18 v ক্ষমতার (DC) ক্যাপাসিটার কিনতে হবে যার মুল্য হতে পারে ৫০ টাকা। এটা আপনি ইলেক্ট্রনিক শপে পাবেন।
কার্যপ্রণালী
প্রথমে কেসিং এর যেদিকে কুলিং ফ্যান আছে তার সামনে এলুমিনিয়াম ফ্রেম সহ এডাপ্টার টি স্ক্রু অথবা গ্লু দিয়ে আটকিয়ে দিতে হবে!
তারপর Rectifier চারটি নিচের চিত্রের মত পেচান।
পেচানোর সময় লক্ষ রাখবেন Rectifier একপ্রান্ত সাদা বোল্ডিং করা।
নিচের চিত্রে তা কালো করে বোল্ডিং করা হয়েছে!
লাগানোর সময় কানেকশন এভাবে হতে হবেঃ
(B+B)=Output (+)
(U+U)=Output( – )
(U+B)=Input(~)
(B+U)=Input(~)
এবার Output (+) & (-) চিহ্নিত করে ক্যাপাসিটর এর + ও – এ তা লাগিয়ে দিন!
এবার দেখেন Rectifier আরো ২ প্রান্ত বাকি আছে এগুলির একটাকে এডাপ্টারের আউটপুট এর একটার সাথে আর অপরটাকে সুইচ এর মাঝেরটার সাথে জুড়ে দিন।
এখন দেখেন এডাপ্টার ও সুইচ এর ২টি করে প্রান্ত বাকি! এগুলিকে আপনি আলাদা আলাদা করে কানেকশন দিয়ে দিন।
এবার আপনার আউটপুট তারকে ক্যাপাসিটর এর + ও – এ লাগিয়ে দিন! এই তারই আপনাকে আউটপুট দেবে।
এবার এডাপ্টারের ইনপুট প্রান্তে সকেট লাগানো তার লাগিয়ে দিন, এটাই ২২০ ভোল্ট এডাপ্টারকে সরবরাহ করবে।
এবার কুলিং ফ্যানকে আউটপুট এর + ও – লক্ষরেখে জুড়ে দিন!
চিত্রঃ কানেকশন গ্রাফ
এবার আপনি সকেটটিকে ঘরের প্লাগে দিন আর সুইচ দিন দেখবেন কুলিং ফ্যান ঘুরছে!
এখানে সুইচ এর প্রান্ত বদল করলে ১২ বা ১৮ ভোল্ট সরবরাহ করবে।
এখন কাজ হলো এটাকে সুন্দর করে তোলা! এর জন্য আপনাকে কয়েকটি বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে।
১/ সবকিছুকে কেসিং এর ভেতর সুবিধাজনক জ্যগায় স্থাপন করতে হবে!
২/ এডাপ্টর+ক্যাপাসিটর+Rectifier এগুলার কানেকশনে যতসম্ভব তার কম ব্যাবহার করা। আর যদি পারেন তবে একদমই ব্যাবহার না করে সরাসরি কানেকশন দেয়া। কারন এগুলি শর্টসার্কিট থেকে বাচায়।
৩/ এলুমিনিয়াম ফ্রেমটা পাতলা হলে ভাল। আর অবশ্যই যেন তা (এডাপ্টার সহ) কেসিং এর ভেতর নাড়াচাড়া না নেয়।
৪/ কানেকশন গুলি হাতে না দিয়ে আয়রন শীটের জালা দেবেন।
৫/ আউটপুট এ একটা LED দিতে পারেন যা ইন্ডিকেটর হিসেবে কাজ করবে।
।
।
।
Calculation
এবার আপনাদের বেশি সুবিধা আর কম খরচের হিসেব দেই।
সাধারণত DC Adapter দিয়ে চার্জার বানালে তা অত্যাধিক গরম হয়ে যায়, আর ততা একসময় পুড়ে যায় তাতে অগ্নিকান্ডের আশংকা বাড়ায়।
তাই আমি এই কুলিং সিস্টেম পদ্ধতি দিলাম যাতে Hot Reaction এর সম্ভাবনাও নেই।
এরকম একটা চার্জার কিনতে গেলে দাম পড়বে ৮০০ টাকা আর এইখানে দেখেন কত গেল।
বিঃদ্রঃ হিসেবের চিত্রে Resistance এর জায়গায় Rectifier হবে।