বাতাসের ভেতর নাকি জ্বীন পরী থাকে কথাটা কতোটুকু বিশ্বাস করেন সেটা আপনার ব্যাপার তবে বাতাসের ভেতর অবশ্যই আয়ন আছে [আয়ন হলো আধানযুক্ত বিভিন্ন চার্জিত পরমাণু]। এটা হয় ক্যাটায়ান এবং অন্যায়ন; ক্যাটায়ন মানে পজেটিভ আয়ন আর অ্যানায়ন মানে নেগেটিভ আয়ন। এই বিষয়টা বিভিন্ন রেডিও ওয়্যেভ ইত্যাদির কারনে হয়ে থাকে।আবার ওয়েদারের ওপরও বিষয়টা নির্ভর করে যেমন ভেজা বাতাসে এর পরিমান বেশী হয় [ ঠিক এই কারনটাতেই বৃষ্টি হলে আগে এন্টেনাওয়ালা টিভিতে মেট্রো চ্যানেল আসতো….২০০০ সালের লিজেন্ড ছাড়া এই বিষয়টা ইতিহাস]।
যাই হউক আজ আমরা বাতাস হতে কিভাবে বিদ্যুৎ তৈরী করা যায় সেটি শিখবো।
উপাদান:
(১) চারটি 1N4148 ক্রিস্টাল ডায়োড
(২) একটি 100uf 50v পোলারিক ক্যাপাসিটর
(৩) এলুমিনিয়াম ফয়েল
(৪) কিছু কপার ওয়্যার বা তামার তার
(৫) একটা মোটা লোহার রড
আসুন ফটোতে দেখি কম্পোনেন্টগুলা কেমন হবে….
ডায়োড:
ক্যাপাসিটর:
কাজ:
চারটি ডায়োড একত্রে একটি রেকটিফায়ার ব্রীজ তৈরী করুন [ দুইটা ডায়োডের লাল প্রান্ত একসাথে যুক্ত করুন ; অপর দুটি ডায়োডের কালো প্রান্ত একসাথে যুক্ত করুন। এবার বাকি থাকা দুটি প্রান্ত যেকোনো দিক একসাথে যুক্ত করে একটা চতুর্ভুজ তৈরী করুন]
আসুন ফটোতে দেখি….
এইবার পোলারিক ক্যাপাসিটার’টি + প্রান্তটি লাল প্রান্তযুগলের সাথে এবং ক্যাপাসিটরের – প্রান্তটি কালো প্রান্ত যুগলের সাথে যুক্ত করুন তাহলে ক্যাটাসিটারের পোল অনুযায়ী ডিসি ভোল্টেজ পজেটিভ এবং নেগেটিভ আইডিয়েন্টিফাইড হয়ে যাবে।
এবার সবশেষ বাকি থাকা লাল কালো যুগলের যেকোনো একটি প্রান্তে এলুমিনিয়াম ফয়েলটি এন্টেনা এবং অপর প্রান্তটি লোহার রডের সাথে যুক্ত করে মাটিতে গ্রাউন্ড করে দিন। মনে রাখবেন বাতাস যতোটা কম ড্রাই হবে এবং মাটি যতো ভেজা থাকবে ও অলুমিনিয়াম ফয়েল যতোটা উপরে থাকবে ততোই ভালো ফলাফল লাভ করবেন। একইসাথে এটি শহর অঞ্চলে গ্রামের থেকে ভালো ইফেক্টিভ অর্থাৎ আপনার এলাকার ওয়েদারও এখানে আলাদা একটি প্রভাবক হিসেবে কাজ করে।
আসুন ডায়াগ্রাম দেখি:
ব্লকচিত্রে পুরো বিষয়টি দেখতে এমন হবে:
১০ মিনিটে ১-২ ভোল্ট এবং ৪ ঘন্টাতে ১৩ ভোল্ট বা ততোধিক পেতে পারেন ; একটি এলইডিকে ৪০-৫০ সেকেন্ড জ্বালিয়ে রাখতে সক্ষম।
আদর্শ ওয়েদার এবং সঠিক অবস্থানে ও উচ্চতায় ভোরের দিকে এটি ৬ ভোল্টের উপরে ইলেকট্রিসিটি উৎপাদন করতে সক্ষম!
আজাইরা সায়েন্স; আমি বিশ্বাস করি না!
ইটস ওকে; এমনটা হতেই পারে যে আপনি উপরোক্ত ডায়াগ্রাম তৈরী করার পর ভালো ফল পেলেন না তাহলে আপনার নিশ্চয়ই মন ভেঙ্গে যাবে কিংবা বিষয়টা আপনার কাছে অবিশ্বাস্য শোনাচ্ছে তাহলে আসুন আরো সহজ একটা টেস্ট করি….
একটা সিম্পল ক্রিস্টাল ডায়োডের দুটি প্রান্তের সাথে হেডফোনের তার কেটে যুক্ত করুন [কিছু কিছু স্পিকারে আবার মাইক্রো ক্যাপাসিটর থাকার দরুন তাতেও + ও – সাইন থাকতে পারে ]। এবার উপরের মতোই আদর্শ উচ্চাতাতে এবং সঠিক গ্রাউন্ডে আপনি বিদ্যুৎ ছাড়াই AM ব্যান্ডের রেডিও শুনতে পারবেন [ যেহেতু এখানে আলাদা করে টিউন করা যায়না তাই প্রয়োজনে এলুমিনিয়াম ফয়েলটি মৃদ্যু নাড়া দিতে হতে পারে]। সবশেষ বলি এইটা সায়েন্স তাই বিশ্বাস না হলে আসুন একসাথে মুড়ি চিবোয়!
স্পেশাল প্যাঁচাল :
আমরা জানি তাবিজ ব্যবহার করা শিরক [অনেক ফতোয়াবাজ বলবে অমুক সাহাবী তার সন্তানের গলায় আয়াত লিখে বেধে দিয়েছিলেন। তারা এটা জানে না কিংবা জেনেও জানায় না যে ঐ সাহাবী-সন্তান ভালোভাবে কথা বলতে পারতেন না; এছাড়া অন্য সন্তানদের সরাসরি আয়াত মুখস্থ করাতেন। কুরআন শরীফ গলায় বেধে লাভ নেই, সেটা অন্তরে আত্মস্থ করায় ফায়দা] তবুও এমন একটা সায়েন্টিফিক তাবিজ পেলে কেমন হয় যেটা দিয়ে সত্যিকারের শারীরিক-মানসিকীক সুখানুভূতি এবং সমৃদ্ধি পাওয়া সম্ভব? এটার পেছনেও সায়েন্টিস্ট একনলেজমেন্ট এবং এক্সপেলিনেশন আছে….চান নাকি এমন একখানা তাবিজ? ইনশাল্লাহ এটাও নিয়েও একটা সায়েন্স ফিকশান লিখবো। আপাতত নিজে গুগলের মতোন একটি ওয়েবসাইট তৈরী করা বিষয়ে কাজ চলছে ইনশাল্লাহ আগামী সপ্তাহের ভেতর আপনিও শিখতে পারবেন।
ভালো থাকুন, শুভাকামনা রইলো
ফেসবুকে আমি→নিশান আহম্মেদ নিয়ন
আল্লাহ হাফেজ