Product name: Mi Band 4
Product price: 2500/-
ফিটনেস ট্রাকিং করার জন্য আমার মতে সবার কাছেই একটি করে ফিটনেস ট্র্যাকার রাখার জরুরি। এর জন্য সবাই এখন স্মার্ট ওয়াচ এবং স্মার্ট ব্যন্ড ব্যবহার করে । আপনাদের প্রত্যেকটা অ্যাক্টিভিটি আপনারা ফিটনেস ট্র্যাকার বা স্মার্টওয়াচের মাধ্যমে ট্রেকিং করতে পারেন। যেমনঃ সারাদিন কত ক্যালোরি বার্ন করলেন, কত স্টেপ হাঁটলেন, কতক্ষণ ঘুমালেন, জিমে জিমে গিয়ে বিভিন্ন অ্যাক্টিভিটি ট্রেকিং করা, আপনার হার্ট রেট মনিটর সহ বিভিন্ন ফিচার। তাই
গত এক বছর ধরে আমার ইউস করা মি ব্যান্ড ৪ এর রিভিউ দিব আজকে।এটা একটা ইউজার রিভিউ।তাই কয়েকটা প্যারামিটার ইউস করলাম যাস্ট বুঝানোর সুবিধার্থে।
ডিসপ্লে
AMOLED ডিসপ্লে।ইউটিউব রিভিউ এ যা সব শুনেছি এই ডিসপ্লে নিয়ে একদম মিলে গেসে। এক কথায় অসাধারন। ডিসপ্লে সেই স্মুথ আর কালারফুল। দিনের আলোতে ফুল ব্রাইটনেসে এই ডিসপ্লে ব্যবহারের কোন সমস্যা হয়নি। যদিও ফন্ট অনেক ছোট মনে হয়েছে আমার।টাচস্ক্রিন আর ক্যাপাসিটিভ বাটনের রেসপন্সে কোন সমস্যা হয়নি।এক বছর পরেও একটা স্ক্র্যাচ পরেনি।তবে ফুল ডিসপ্লে হলে ভালো হতো।
ডিজাইন
Band 4 এর সিলিকন স্ট্র্যাপ এটাকে আরো হালকা করেছে।তাই এটার ইউসে আরো আরাম পেয়েছি।হাতে কিছু পরে আছি তা টের পাইনা।আমার হুয়াওয়াইস ওয়াই সেভেন স্মার্টওয়াচ এর সাথে কম্পেয়ার করে বুঝেছি যে ব্যান্ড ৪ কত হালকা।
পারফরমেন্স
প্রথম কথা বলি এটা পড়ে আমি সবসময় ওযু করেছি।কোনোদিন ওযুর আগে খুলিনি।কারন এটা ৫০মিটার ওয়াটার রেসিস্ট্যান্ট।অনেক ধরনের ওয়ার্কআউট ট্র্যাক করতে পারে এটা। এর মধ্যে রয়েছে সুইমিং, স্লিপ ট্র্যাকিং, হার্ট রেট মনিটরিং ইত্যাদি।কিন্তু আমি এসব একটাও ইউস করিনি কারন আমার এগুলো লাগেনা।তাছাড়াও
ব্যাটারি লাইফ
আমার নরমাল ইউসে আমি প্রায় ১১-১৫ দিনও ব্যাক আপ পেয়েছি।একবার চার্জ দিয়ে ভুলে যাই কবে চার্জ দিয়েছি।কারন আমি কোনো ফিচার ইউস করিনা।
ওয়াচফেস
মি ফিট এপ থেকে Band 4 এর ওয়াচফেস বদল করা যাবে। এই অ্যাপের মধ্যে হাজার হাজার ওয়াচফেস দেখতে পাবেন। আলাদা একটা অ্যাপ ই আছে ওয়াচফেস এর।
পারসোনাল ওপিনিয়নঃ
শাওমির ওয়ান অফ দা বেস্ট একটা গেজেট এই Mi Smart Band 4।যদিও চার্জিং এর সময় চার্জার থেকে ক্যাপসুল বেরিয়ে আসে।এই জিনিসটা আমাকে এখনো প্যারা দেয়।খুবি বিরক্তিকর জিনিস।এই সমস্যায় কোন অসুবিধা না হলে ২৫০০ এর মধ্যে এখনো বাজারের অন্যতম সেরা ফিটনেস ট্র্যাকার।মি ব্যান্ড ৫ ও?।কিন্তু আপগ্রেড এর কোনো প্রয়োজন দেখিনা।
ভালো দিকঃ
১)একুরেট ট্র্যাকিং
২)স্মুথ এন্ড কালারফুল ডিসপ্লে
৩)৫০মিটার ওয়াটার রেসিস্টেন্ট
৪)ব্যাটারি লাইফ
৫)হাইলি কাস্টমাইজেবল
খারাপ দিকঃ
ওয়ান এন্ড ওনলি চার্জারে ফিটিং সমস্যা
সবশেষ এটা বলবো আমি স্যাটিসফাইড ব্যান্ড ৪ ইউজার হিসেবে।ডিজাইন,ব্যাটারি,ডিসপ্লে সবদিক দিয়েই সেরা।