Site icon Trickbd.com

মাইক্রোওয়েভ ওভেন কী? ওভেন সম্পর্কে খুঁটিনাটি জেনে নিন সহজেই

Unnamed


মাইক্রোওয়েভ ওভেন কী?? এটি আমাদের কী কী কাজে সহায়তা করে? –প্রভৃতি নানা ধরনের প্রশ্ন আমাদের মনে ঘোরাফেরা করে । মাইক্রোওয়েভ ওভেন সম্পর্কে একটি স্বচ্ছ ধারণা পেতে আমার আজকের আর্টিকেলটি পাঠের জন্য সবাইকে অনুরোধ জানাচ্ছি । তো চলুন এ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক ।

Microwave oven কী?

মাইক্রোওয়েভ ওভেন একটি ইলেক্ট্রনিক্স যন্ত্র যার সাহায্যে রান্নার মতো অনেক ধরনের কাজ বিদ্যুতের সাহায্যে সহজেই করা যায় । শুধুই যে রান্না করা যায় তা নয় । খাবার গরম করা, চা কফি বানানো প্রভৃতি কাজও মাইক্রো ওয়েভ দিয়ে করা যায় । তো চলুন একটি মাইক্রোওয়েভ দিয়ে কি কি করা যায় তা জেনে নিই ।

একটি মাইক্রো ওয়েভ দিয়ে কি কি করা যায়?

কি কি করা যায় তা জানবার জন্য আগে মাইক্রো ওভেন সম্পর্কে আরেকটু খুটিনাটি জানব । মাইক্রো ওভেনে খাবার গরম করার জন্য নিচ থেকে তাপ দেওয়া হয় না । সবসময় উপর থেকে তাপ দেওয়া হয় । এই তাপটি মাইক্রো ওভেনে থাকা একটি হিটিং রডের সাহায্যে দেওয়া হয়ে থাকে । তাই খাবার পুড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে । তাই সহজেই যে কোন ধরনের খাবার সহজেই রান্না করা যায় ।

এবার আসি কি কি রান্না করা যায় । ধরুন আপনাকে ৩০ মিনিটের মধ্যে অফিসে বা বিদ্যালয়ে যেতে হবে । গ্যাসের চুলাতে রান্না করতে সময় লাগবে প্রায় ১০মিনিট । অন্যদিকে গোশতও গরম করে খেতে হবে । এরুপ সময় রান্না করা আপনার পক্ষে অনেক কঠিন হয়ে পড়বে । আবার শীতকালে বিছানা থেকে উঠতে কষ্টকর । কিন্তু আপনাকে খুব সকালেই রান্না করতে হবে ।— এরকম অনেক সময় রান্না করা নিজের পক্ষে কঠিন হয়ে পড়ে ।

মাইক্রো ওভেনে নির্দিষ্ট খাবার রান্নার সময় সেট করে রেখে দিলে তা নিজের মতো রান্না সম্পূর্ণ হয়ে যায় । ভাত রান্না থেকে শুরু করে কেক বানানো, পিজা বানানো সব ধরনের খাবার রান্না করা যায় ওভেনের সাহায্যে ।

ভাত রান্না করার জন্য আপনার সময় লাগবে সর্বোচ্চ ১৫মিনিট । যদি ওভেন অধিক পাওয়ারফুল হয় তবে আরও কম সময় লাগতে পারে । যেমন ওভেন প্রোটেক্টেড পাত্রে চাল ধুয়ে নির্দিষ্ট পরিমাণ পানি দিয়ে রাখলেন । তারপর ওভেনে সময় সেট করে ওভেনের দরজা বন্ধ করে দিলেন । তারপর সময় নিজে নিজে পেছনে ঘুরতে থাকবে । ১৫ মিনিট শেষ হয়ে গেলে সিগনাল দিবে এবং ওভেন অটোমেটিক বন্ধ হয়ে যাবে । ফলে ভাত ও অন্যান্য খাবার পুড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না । আর দাঁড়িয়ে থেকে দেখাশোনাও করা লাগে না । এভাবে যে কোন খাবার রান্না করা যায় ।

মাইক্রো ওভেনে খাবার রান্না ব্যতীত কী কী করা যায়??

খাবার রান্না ব্যতীত অনেক কাজ করা যায় মাইক্রো ওভেনের সাহায্যে । অনেক সময় আমরা গোশত ফ্রিজে রেখে দিই । সেই গোশত জমে গেলে ছাড়ানোর জন্য অনেক সময় পানিতে রেখে দিতে হয় । মাইক্রো ওভেনে এই গোশত তাপ দিয়ে সহজেই ছাড়ানো যায় ।

** কোন কোন মাইক্রো ওভেনে একাধিক মেনু যুক্ত করা থাকে । এই মেনু গুলোর মধ্যে একটি থাকে Deforestation । এই মেনুতে ফ্রিজের জমিয়ে রাখা খাবার ছাড়ানোর কাজে ব্যবহার করা যায় ।

তাছাড়া আরও মেনু থাকে । যেমন পিজ্জা, ডাল ইত্যাদি । মেনু সেট করার মাধ্যমে আপনাকে ঐ খাবারের সময় নির্ধারণ করে দিতে হয় না । যেমন আপনি হয়তো জানেন না পিজ্জা বানাতে মাইক্রো ওভেনে কত সময় লাগে ?? এক্ষেত্রে পিজ্জা ওভেনের ভিতরে দিলে এবং পিজ্জা মেনু সেট করে দিলেই হয়ে যাবে । আপনাকে সময় ও তাপ কোন কিছুই সেট করতে হবে না ।

মাইক্রো ওভেনে খাবার গরম ও রান্না করতে কোন ধরনের পাত্র ব্যবহার করা যাবে??

মাইক্রো ওভেনে একাধিক মোড সিস্টেম থাকে । যেমন Convention মোড, Grill মোড, Microwave মোড ইত্যাদি । একেক মোডের একেক ব্যবহার । যেমন গ্রিল মোড চিকেন পোড়ানোর কাজে ব্যবহৃত হয় । আর একেক মোডে একেক পাত্র ব্যবহার করতে হয় । তা না হলে দূর্ঘটনা ঘটতে পারে । এজন্য ওভেন প্রোটেক্টেড পাত্র ব্যবহার করতে হয় । আর ধাতব পাত্র ব্যবহার করা যায় না । প্লাস্টিক ও কাচের পাত্র ব্যবহার করা যায় । তবে সেগুলো ওভেন প্রোটেক্টেড হতে হয় । এজন্য স্থানীয় মেলামাইন পাত্র বিক্রেতাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন ।

দাম সংক্রান্ত ::

যত দামী ওভেন কিনবেন তত ফাংশান পাবেন । তবে ৩০ লিটার ওভেন কেনা আমার মতে ভালো । দাম পড়ে প্রায় ১৫হাজার টাকা । যদি শুধু খাবার গরম করতে চান তাহলে ৭ থেকে ৮ হাজার টাকার মধ্যে নিতে পারেন । ৩০ লিটার ওভেনে খাবার গরম করার পাশাপাশি কেক বানানো, চিকেন ফ্রাই, কাবাব বানানো ইত্যাদি করা যায় ।

তো আমার পক্ষ থেকে এতটুকুই ছিল । আর্টিকেলটি আপনার কেমন লাগল তা অবশ্যয় কমেন্ট করবেন । আশা করছি ওভেন সম্পর্কে যথেষ্ঠ ধারণা পেয়েছেন ।