Site icon Trickbd.com

আপনি কি ইলেকট্রনিক্স ব্যবসা শুরু করতে চান? জেনে নিন a-z বিস্তারিত তথ্য

Unnamed

আপনি যদি ইলেকট্রনিক্স ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে স্বাভাবিক ভাবেই আপনাকে ইলেকট্রনিক্স পণ্য সম্পর্কে যথেষ্ট ধারণা নিয়ে আপনাকে শুরু করতে হবে। অর্থাৎ কিভাবে একটা ইলেকট্রনিক্স ব্যাবসা শুরু করতে হয় সে সম্পর্কে আপনার যথেষ্ট ধারণা থাকতে হবে।

ইলেকট্রনিক্স পণ্য সমূহ যেমন – AC, TV, refrigerator, electric lamp, fan, computer ইত্যাদি পণ্য এখন বেশ জনপ্রিয়। যারা এই পণ্য এর ব্যবসা করছে তারা মোটামোটি সবাই সাকসেস। কেননা আপনি ভেবে দেখুন বর্তমানের এই সময়ে আমরা একেক্ট্রনিক্স পণ্য ছাড়া আমাদের জীবন কল্পনাই করতে পারি না। উদাহরণ আপনার বাসার জন্যে একটা টিভি কিনলেন তাহলে শুধু টিভি দিয়ে কি আপনার ঘর সাজানো হবে? মোটেও না। আপনার ঘর সাজানোর জন্যে আপনাকে অবশ্যই টিভি এর পাশাপাশি ফ্যান, লাইট, refrigerator, রাইস কুকার, সম্বভ হলে air conditioning ইত্যাদি লাগাতে হবে। আর এই গুলো কিন্তু সকল পরিবারের জন্যে দরকার পরে।

এখন আপনি বলতে পারেন বাজারে তো অনেক প্রতিষ্ঠান আছে তাহলে আমরা কেন শুরু করবো বা শুরু করলে লস হওয়ার সম্ভবনা কতখানি? তাহলে আমি আপনাকে বলবো এই ব্যবসা হতে পারে আপনার জন্যে একটা দারুন আইডিয়া। বাজারে একটা ইলেকট্রনিক্স কোম্পানি আপনি দেখতে পারবেন না যারা ইলেকট্রনিক্স পণ্য ব্যবসা করে লস হয়েছে। অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যারা হয়তো ব্যবসা করে লস খেয়েছে তাদের মার্কেটিং পসিসি এর কারণে।

তবে ব্যবসা শুরু করার পূর্বেই আপনাকে কিছু কিছু বিষয় আপনাকে ভালোভাবে মাথায় রাখতে হবে। না হলে আপনাকে অনেক বিপদের সম্মুখী হওয়া লাগতে পারে।

ইলেকট্রনিক্স ব্যবসা করার পদ্ধতি সমূহ

ইলেকট্রনিক্স পণ্যের ব্যবসা সাধারনত আপনি দুইভাবে করতে পারবেন।

১. ডিলারশীপ ব্যবসা

২. খুচরা পণ্য বিক্রির ব্যবসা

১. ডিলারশীপ ব্যবসা:

ডিলারশিপ ব্যবসা মানেই কোনো একটা কোম্পানি এর দায়িক্ত নিয়ে আপনার পণ্য বিক্রি করতে হবে। এই ক্ষেত্রে কোম্পানি থেকে সেলস রিপ্রেসেন্টেটিভ খুচরা পণ্য বিক্রির ব্যবসা যারা করে তাদের খুঁজে বের করে তাদের কাছে পণ্য বিক্রি করতে হবে।

২. খুচরা পণ্য বিক্রির ব্যবসা

এই পদ্ধতিতে আপনাকে ডিলার থেকে পণ্য কিনে খুচরা ক্রেতার কাছে আপনার পণ্য বিক্রি করতে হবে। এই ক্ষেত্রে আপনার নিজেকেই কাস্টমার এর সাথে সরাসরি কথা বলে পণ্য সেলস করতে হবে।

ইলেকট্রনিক্স পণ্য আপনি ২ ভাবে বিক্রি করতে পারেন

১ অফ লাইনে
২. অনলাইনে

১. অফ লাইনে

অফ লাইনে একটা পণ্য বিক্রি করতে আপনাকে সরাসরি ক্রেতার কাছে গিয়ে পণ্য বিক্রি করতে হবে সরাসরি ক্রেতার সাথে কথা বলে পণ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়ে তাদের কাছে আপনার পণ্য সেলস করতে হবে।

২. অনলাইনে

এখানে পণ্য বিক্রি সহজ কেননা ক্রেতারা তাদের নিজেদের প্রয়োজন অনুযায়ী অনলাইন এ গিয়ে তাদের পণ্য খুঁজে থাকে। উদহারণ স্বরূপ ধরুন আপনার একটা ৩২ ইঞ্চি টিভি কেনার দরকার তাহলে আপনি প্রথমে কি করেন? প্রথমেই গুগল এ গিয়ে আপনি লিখবেন 32 Android TV price in Bangladesh অথবা আপনার একটা স্মার্ট ফোন কেনার দরকার তাহলে আপনি লিখে সার্চ করবেন mobile price in bangladesh. এখন থেকে প্রথমেই যে সাইট আসবে আপনি প্রথমেই তাদের সাইট ঘুরে পণ্য দেখে কিনে নিয়ে আসবেন। তাই আমি বলেছি যে অনলাইনে যে কাস্টমার পাবেন সেগুলো আপনার সুপার লেজার টার্গেটেড কাস্টমার।

ইলেকট্রনিক্স পণ্যের ব্যবসা শুরু করার ধাপ সূমহ

একটা ইলেকট্রনিক্স ব্যবসা শুরু করার জন্যে আপনাকে যে ধাপ গুলো অবলম্বন করতে হবে চলুন সেই সংম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসি।

১. ব্যবসা পরিকল্পনা

আপনার প্রথমেই পরিকম্পন করতে হবে আপনি কি ব্যবসা শুরু করতে চাচ্ছেন? যে পণ্য নিয়ে ব্যবসা শুরু করবেন সেই পণ্য সম্পর্কে আপনার মার্কেট যাচাই করে তারপরে আপনাকে ব্যাবসায় নামতে হবে। না হলে ঝুঁকির মুখে পড়তে পারেন।

২. মূলধন

আপনার যে পণ্য নিয়ে ব্যবসা করবেন সেই পণ্য নিয়ে ব্যবসা করার জন্যে আপনার পর্যাপ্ত মূলধন আছে কিনা সেই বিষয় আপনাকে ক্লিয়ার হতে হবে। ব্যাঙ্ক লোন বা অন্যের টাকার উপরে নির্ভর করে আপনার ব্যবসা শুরু করা মোটেই উচিত না।

৪. ব্যবসায়ের নাম

আপনাকে আপনার ব্যাবসার প্রতিষ্ঠান এর জন্যে একমন একটা নাম খুঁজে বের করতে হবে যেটা ইউনিক হতে হবে। সবথেকে ভালো হয় একমন একটা নাম খুঁজে বের করুন যেটা এক বার সোনার পরেই আপনার ক্রেতার মনের মাঝে গেথে থাক।

৬. স্থান নির্বাচন

এমন জায়গাতে আপনার দোকান বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করতে হবে সেটা যেন হয় লোক সমাগম এর জায়গাতে। অর্থাৎ যেখানে লোকজন বেশি থাকে সেখানে আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করতে হবে।

৫. লাইসেন্স

একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্যে লাইসেন্স অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আপনার ব্যাবসার নাম এবং স্থান নির্বাচন করার পরেই আপনার ব্যাবসার জন্যে লাইসেন্স করে ফেলুন।

৯. পরিচিতি বাড়ানো

এর পরে আপনার ব্যাবসার পরিচিত বাড়ানোর জন্যে আপনার বিভিন্ন জায়গাতে বিজ্জাপন দেয়া লাগতে পারে। যেমন – বিভিন্ন জায়গাতে ব্যানার দেয়া, মানুষের মাঝে আপনার পরিচিতি বাড়ানোর জন্যে কি কি বিষয় মাথায় রাখতে হবে সেই সম্পর্কে আমি আরো একটা ব্লগ প্রকাশিত করবো।

পরিশেষে

যাই হোক অনেক শুভকামনা কইলো আপনার ব্যবসা দীর্ঘ আয়ু হোক। পরবর্তীতে দেখা হবে আপনাদের সাথে সবাই ভালো থাকবেন আল্লাহ হাফিজ

Post Information Source: Google & Others website