Site icon Trickbd.com

Gadget Review – Havit M3 Mx701 Wireless Bluetooth Speaker ( একের ভেতর অনেক)

আসসালামু আলাইকুম, সবাই কেমন আছেন? আজকে নিয়ে আসলাম একটি গ্যাজেট ইউজার রিভিউ নিয়ে, যে গ্যাজেটটি আমি নিজে ব্যবহার করেছি প্রায় ২.৫বছর।

এটা ভালো এবং খারাপ দিক গুলো নিয়ে কথা বলবো। চলুন শুরু করা যাক।

HAVIT M3 MX701 Wirless Speaker

 

Product Specifications


⇒Model- Mx701

⇒Product Size- 145*63*54mm

⇒Product Weight- 315g

⇒Battery Capacity- 3.7V/2200mAh

⇒Talktime- 12-16hours

⇒Output Power- 5W

⇒Input Power- 5V/1A

Features


⇒ প্রথমত এটি একটি ওয়্যারলেস স্পিকার,সুতরাং ব্লুটুথ কানেকশনের মাধ্যমে আপনার মোবাইল থেকে মিডিয়া প্লে করতে পারবেন।

⇒ এটাতে রয়েছে তিনটি মোড – ব্লুটুথ, এফএম রেডিও,  AUX ইনপুট মোড (সাথে দেওয়া ক্যাবল দিয়ে সংযোগ)

⇒ এটাতে রয়েছে একটি সুন্দর ডিসপ্লে, যেটিতে দেখা যাবে একটি ২৪ঘন্টার ঘড়ি। তাছাড়াও ডিসপ্লে টি আয়না হিসেবেও ব্যবহার করা যায়।

⇒ আপনার রুমের তাপমাত্রা দেখতে পারবেন এটি ব্যবহার করে।

⇒ ডিসপ্লের Brightness  কম-বেশি করার জন্যে ৩টি আগে থেকে সেট করা অপশন রয়েছে।

⇒ স্পিকারটিতে রয়েছে দুটি আলাদা সময়ে এলার্ম সেট করার সুযোগ,  এবং দুটো এলার্মের টোন আলাদা।

⇒ ব্যাটারিতে কি পরিমাণ চার্জ বাকি আছে তাও দেখা যায় বাটন প্রেস করে।

⇒ স্পিকার টিতে দুটো সাউন্ড বক্স আছে মনে হলেও সাউন্ড বক্স কিন্তু একটি, তবে একটা রুমের জন্যে পর্যাপ্ত সাউন্ড দেয়।

⇒ বিল্ট-ইন মাইক্রোফোন থাকাতে এটির সাহায্যে কল এ কথাও বলতে পারবেন, যদিও স্পিকারে কেউ ফোনে কথা বলেনা।

Market Price



এটির বাজার মূল্য ৯০০-১০০০টাকার মধ্যে পেয়ে যাবেন। অর্থাৎ একটা গ্যাজেটের এত্তসব ফিচার মাত্র ৯০০টাকায়!!!!!!

User Experience



আমি ২০২০ সালে দারাজ থেকে Havit M3 কিনি। প্রায় ৯১৫টাকা খরচ হয় আমার।

সেই থেকে ওটা ব্যবহার করছি, যদিও অন্যদের মত রাফলি ব্যবহার করিনি হয়তো।তবে যতটুকু ব্যবহার করেছি কম করিনি।

তো এই লম্বা (২.৫বছর) ব্যবহারে আমি যে সমস্যা গুলো পেয়েছি তা হলো,


⇒এই গ্যাজেটটির এফএম এন্টেনা অনেক বাজে, ৮৮.০,৮৯.২,৮৯.৬ এর মত চ্যানেল গুলোই ধরেনা ভালো করে। তবে চার্জিং ক্যাবল টা লাগালে হয়তো সেটা এন্টেনা হিসেবে কাজ করে তখন মোটামুটি কাজ করে।

⇒ ঘড়ি টা ২৪ঘন্টা সিস্টেম, আমরা সবসময় ১২ঘন্টার ঘড়ি দেখতে অভ্যস্ত, তাই এটা ভালো নাও লাগতে পারে।

⇒ ডিসপ্লের কালার টা সাদা না হয়ে লাল হলে ভাল হতো তাহলে দিনের বেলায় সহজে ঘড়ি বোঝা যেত, যদিও সাদা তেও বোঝা যায়।

তো এই ছিল এটার আমার দৃষ্টিতে অসুবিধা গুলো। আমার ২.৫বছরের ব্যবহারে এখনো স্পিকার টি অক্ষত আছে, তবে ঘড়ির Led এর কিছু অংশ Dead হয়ে গেছে। এটা স্বাভাবিক এতদিন যেহেতু ব্যবহার করছি।

তো এই ছিল আজকের গ্যাজেট রিভিউ, ভালো সাড়া পেলে আমার ব্যবহার করা আরো কয়েকটি গ্যাজেটের রিভিউ নিয়ে হাজির হবো।

ভালো খারাপ যাই লাগুক,মন্তব্য করে জানাবেন।

ধন্যবাদ।