Site icon Trickbd.com

জানেন কি?? ফেসবুক এক ধরনের নেশা

Unnamed

ডেস্কটপ হোক কিংবা মোবাইলফোনা, অবসরে বা পথ চলতে ফেসবুক এখন আমাদের নিত্যসঙ্গী৷ এমন এক দুনিয়া এই সোশ্যাল মিডিয়া তৈরি করে দিয়েছে, যা আমাদের সাধারণ দুনিয়া থেকে আলাদা এবং কৃত্তিম৷ সে দুনিয়ার মোহে জড়িয়ে আছেন বিশ্বের বহু মানুষ৷ জড়িয়ে থাকতে থাকতে তাঁরা টেরও পাননি, কবে থেকে যেন ফেসবুক ব্যবহার করাটাই নেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ এ নেশাও আবার যেমন তেমন নেশা নয়৷ সম্প্রতি এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে, ফেসবুকের নেশা প্রায় কোকেনের নেশার মতোই৷

নরওয়ের বারগন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক এ সমীক্ষা করেন৷ ২০ জন আন্ডারগ্র্যাজুয়েট ছাত্রের উপর বিভিন্ন পরীক্ষা চালানো হয়৷ দু’ভাগে এই পরীক্ষা হয়৷ প্রথমে তাদের কিছু প্রশ্ন করেন গবেষকরা৷ যা থেকে নেশার নানা লক্ষণ পরিষ্কার হয়ে যায়৷ যেমন তাদের জিজ্ঞাসা করা হয়, ব্যক্তিগত সমস্যা থেকে মুক্তি পেতেই কি ফেসবুক ব্যবহার করে তারা? কিংবা, ফেসবুক ব্যবহার বন্ধ করলে কি তারা অস্থির হয়ে ওঠে? গবেষকদলের প্রধান ডঃ সিসিলি অ্যান্ডারসনের মতে, যাঁরা এ ধরনের অন্তত ৪-৬টি প্রশ্নের উত্তর ‘পজিটিভ’ দিচ্ছেন তাঁরা আসক্ত৷ কেননা অনুরূপ প্রশ্ন যে কোনও নেশায় আসক্ত মানুষদেরই করা হয়৷

এর পরে তাদের কিছু ছবি দেখানো হয়৷ তাদের সামনে ‘পুশ’, এবং ‘নট পুশ’ নামে দুটো বাটন দিয়ে দেওয়া হয়৷ দেখা যায় ফেসবুক সংক্রান্ত ছবি, যেমন ফেসবুক লোগে ইত্যাদি দেখামাত্র কোনও ছাত্র পুশ বাটনে চাপ দিয়ে ফেলছে৷ দুই পরীক্ষার ফলাফল মিলিয়ে দেখা হয়, ফেসবুকের ছবি দেখেই যারা বাটন পুশ করেছে, নেশাসংক্রান্ত প্রশ্নত্তোর পর্বে তারাই সবথেকে বেশি নম্বর পেয়েছে৷ অর্থাৎ বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে নেশার লক্ষণ যাদের ক্ষেত্রে স্পষ্ট, তারাই বেশি পুশ বাটনে চাপ দিয়েছে৷ এ থেকে ফেসবুকের ব্যবহারও যে একরকম নেশা তা পরিষ্কার হয়ে ওঠে৷
পরীক্ষা অবশ্য এখানেই থেমে থাকেনি৷ ছবি দেখে বাটন পুশ করার সময় ওই ছাত্রদের ব্রেন ইমেজও নেওয়া হয়৷ সেই ইমেজ পরীক্ষা করে দেখা যায়, কোকেনের নেশাগ্রস্তদের ক্ষেত্রে ছবিটি যেমন হয়, ফেসবুকে আসক্তদের ক্ষেত্রেও ছবিটি একইরকম৷
প্রশ্ন করে এই পরীক্ষা যে কেউ নিজেদের উপরও করে দেখ পারেন৷ বাকিটা ব্যক্তিগত৷

♦♦♦♦Visit My Site .. ♦♦♦

Exit mobile version