আসসালামু আলাইকুম ,
কি অবস্থা আপনাদের সবার ?
আসা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন । আমিও ভালো আছি ।
তবে ২ দিন আগে বেশ একটা ভালো ছিলাম না । কারন আমার ফেসবুক আইডি হ্যাক এর কবলে পড়ে ।
2 Factor Verification অন থাকার কারনে বেচে যাই ।
তবে Hacker এত টাই দক্ষ ছিল যে আমার পাসওয়ার্ড টাও চেঞ্জ করে ফেলেছিল,।
এখন আপনি ভাববেন ফেসবুক ও হ্যাক হয় ? আমি কি তাহলে এতই বোকা ?
আমি মনে হয় ফিসিং সাইট এ লগিন সেয়ার করেছি । আসলে এমন কিছু না ।
আমার হ্যাক হওয়ার পিছনে কারণ ছিল ভাইরাস যুক্ত Software Use। আমারা কিন্তু মুড App Mobile এ Use করি ।
Happy Mod নামের একটি অ্যাপ আছে , ওইখান থেকে আমি একটি অ্যাপ ডাউনলোড করেছিলাম ।
তাতেই আমি এরকম ক্ষতির মুখে পরি ।
এই পোষ্টে আমি আপনাদের কিছু টিপস সাথে আইডি ফেরত কিভাবে আনলাম সব বুঝিয়ে দিব । তো চলুন শুরু করি ।
আমার আইডি যখন হ্যাক হয় তখন বার বার OTP এর জন্যে কল আসতেছিল । আমি রিসিভ করি নাই ।
আমি তখন লাইভ স্ট্রিম করতেছিলাম ।
আমি আন্দাজ করতে পারছিলাম কেউ হয়তো আমার কিছু হ্যাক করছে ।
এখন আপনি ভাববেন আমি কেমনে জানলাম । কারণ এর আগে এইভাবেই আমার Youtube Channel হ্যাক হয়েছিল। যাই হোক একটা Experience আছে আমার । তো আমি ধরি নাই ধরলেই হ্যাক হব বুঝতে পারতেছিলাম।
পরে চিন্তা করি ধরি দেখি কিসের কল । তারপর ধরার সাথে সাথে আমার আইডি হ্যাক হয়ে যায় । Facebook থেকে লগিন এর নোটিফিকেশন আসে ।
হ্যাকার এতো চালাক সে আমার মোবাইল এর মত কপি মোবাইল ডিভাইস বানিয়ে লগিন এর চেস্টা করছিল ।
কিন্তু এই যায়গায় আর একটা স্টেপ ছিল 2 step verification এইবার ফেসবুক একটাই option দেয় তাকে যে Whatsapp থেকে কোড দেওয়া লাগবে । কারণ মোবাইলে Code পাঠাবে না ,।
আর আমি আমার অ্যাপ এ ঢুকে This Wasn’t Me তে চাপ দেই । কিন্তু এই মোমেন্ট এ ফেসবুক আমাকেও Password Change করতে দিচ্ছিল না ।
আর এই দিকে আমি জানতাম হ্যাকার এর কাছে মোবাইল এর Access থাকতে পারে । আমি সাথে সাথে আমার Whatsapp Uninstall করে দেই ।
তো আমি বেচে যাই ।
এবার আইডি রিকভার এর পালা । আমি আমার এক বড় ভাই এর ফোন WhatsApp লগিন করে Password Change করি ।
সব ঠিক ঠাক … কিন্তু আমি আবারো আরো কঠিন Password দিতে গেলে আইডি হয়ে যায় লক।
এই জায়গায় আমি পুরা বোকা সেজে যাই, কারণ আমার অ্যাকাউন্টটা লক হয়ে গেছিল।
তো আজকের এই পোস্ট থেকে আপনারা জানতে পারবেন যে এভাবে লক হয়ে যাওয়া অ্যাকাউন্ট কিভাবে রিকভার করতে হয়।
এজন্য আপনার একটা জিনিস থাকতে হবে সেটা হচ্ছে আপনার আইডির ডেট অফ বার্থ মনে থাকতে হবে।
আর এরকম সমস্যার জন্যই আমি আমার আইডির ডেট অফ বার্থ পুরো ভোটার আইডি কার্ডের সাথে মিলিয়ে রেখেছিলাম।
এবারে আসুন কিভাবে রিকভার করা যায় সেটা আপনাদেরকে বলি।
নিচে স্ক্রিনশটটি লক্ষ্য করুন।
সবার উপরে দেখুন Chat With Us লিখা আছে। এখানে ক্লিক করলে আপনি Facebook Support টিমের সাথে কথা বলতে পারবেন।
তো তাদের সিরিয়াল টা অনেক বড় থাকে। তাই আপনাকে বারবার ক্লিক করে ওপেন করতে হবে যতক্ষণ না তারা এভেলেবেল হচ্ছে এখানে ২০ মিনিটও লাগতে পারে।
যখন তারা এভেলেবেল হয়ে যাবে তখন আপনাকে তারা ইমেইল দিতে বলবে।
সেখানে তারা আপনাকে এমন একটি মেইল পাঠাবে ।
এবং সেই মেইলের মধ্যে একটি কোডও থাকবে।
একটি ভেরিফিকেশন ভিডিও পাঠাতে বলবে।
যেখানে আপনাকে একটি কাগজের মধ্যে এই কোডটি লিখতে হবে, লিখে আপনার মোবাইলের ক্যামেরা দিয়ে আপনার ফেস ভিডিও করে তাদেরকে পাঠাতে হবে। অবশ্যই রেকর্ড করার সময় কাগজটিকে ডানে বামে উপরে নিচে করতে হবে এই একই কাজ আপনার ফেস এর সাথেও করতে হবে।
তারপরে রেকর্ড করা শেষ হলে আপনাকে এই মেইলের মধ্যে রিপ্লেতে এসে ভিডিওটি এটাচ করে পাঠিয়ে দিতে হবে। মনে রাখবেন শুধুমাত্র অ্যাটাচ করতে হবে। কোন রকম ড্রাইভ লিংক শেয়ার করা যাবে না।
দেখুন এখানে আমি আমার ফেস ভেরিফিকেশনের ভিডিও পাঠিয়ে দিয়েছি। এর আগে বেশ কয়েকবার ফেলেছিল কারণ আমি অনেক বড় সাইজের ভিডিও পাঠিয়ে দিয়েছিলাম।
মনে রাখতে হবে আপনার ভিডিও যেন ১৫ এমবির নিচে থাকে।
এটা সফল হতে সময় লেগেছিল 24 ঘন্টারও বেশি।
এরপরে আমার কাছে আর একটি মেইল আসে ।
এই মেইলে তারা আমাকে একটি ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড দেয়। যেটা দিয়ে আমি আমার আইডিতে লগইন করে আমার পাসওয়ার্ড চেঞ্জ করি। কিন্তু তারপরও কোন লাভ হয় না,
আমার আইডি আগের মতই লক অবস্থায় থাকে।
পরে আমি আবারও সাপোর্ট টিমের সাথে কথা বলে জানতে পারি যে আমাকে আমার ভোটার আইডি কার্ড সাবমিট করতে হবে।
তো এটা ছাড়া কোনোভাবেই সম্ভব না। এখন আপনি ভাবতে পারেন আপনি ভোটার আইডি কার্ড কিভাবে সাবমিট করবেন।
কারণ আমি এ সময় কোন রকমের অপশন খুঁজে পাচ্ছিলাম না যে ভোটার আইডি কার্ড কোথা থেকে সাবমিট করব।
তো আমি অন্য একটি ব্রাউজারে লগইন করি, লগইন করার পরে টু ফ্যাক্টর ভেরিফিকেশনের সময় আমি আদারসে ক্লিক করি।
সেখানে আমি চুজ করি আইডি কার্ড সাবমিট। সেখানে আমি আমার আইডি কার্ডের ছবি তুলে সাবমিট করে দেই। এরপরে আমার লক অপশনের নিচে গেট স্টার অপশন আসে।
আমি সেগুলোর স্ক্রিনশট নিতে ভুলে গেছিলাম, যাইহোক আপনি যদি আর্টিকেলটা ভালো মতো পড়েন তাহলে আর সমস্যা হওয়ার কথা না। তো আমার আইডি কার্ড ভেরিফিকেশন তে সময় লাগছিল প্রায় আট ঘন্টা। তো এভাবেই আমি আমার আইডি ফেরত পাই।
তো আশা করি আজকের এই পোস্টটি আপনার অনেক কাজে দিবে ফিউচার হয়তোবা। আর একটু ব্যতিক্রম কিছু হয়তোবা শিখতে পারছেন। কোন কিছু না বুঝলে কমেন্ট করতে পারেন রিপ্লে দিব।
আর আইডিতে সবসময় টু ফ্যাক্টর ভেরিফিকেশন অন রাখবেন। আর কখনোই ভুলভাল করা সফটওয়্যার ব্যবহার করবেন না। পেইড সফটওয়্যার এর অনেক অল্টারনেটিভ সফটওয়্যার পাওয়া যায় সেগুলো ডাউনলোড করে ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন।