আসসালামু আলাইকুম
ওয়ারাহমাতুল্লাহ। কেমন আছেন সবাই,
আশা করি মহান আল্লাহ তায়ালার
অশেষ রহমতে সবাই ভালো আছেন।
আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর
রহমতে ভালো আছি। আপনারা যাতে
ভালো থাকেন সেই কামনা করে
আজকের টিউন লেখা শুরু করছি।
কাজের কথায় আসা৷
সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট
ফেসবুকে মানুষের আসক্তি যেমন
বাড়ছে, সঙ্গে বাড়ছে নির্ভরশীলতা।
কী করছি, কী ভাবছি, তা ফেসবুকের
মাধ্যমে যেমন বন্ধুদের জানিয়ে
দিচ্ছি, তেমনি জেনে যাচ্ছে
ফেসবুকও। এর ভালো দিক যেমন আছে,
খারাপ দিকও আছে। ফেসবুকে
সংরক্ষিত এবং শেয়ার করা তথ্যগুলোই
আপনার ক্ষতির কারণ হতে পারে।
কোনো কিছু বুঝেশুনে শেয়ার করা
এবং পুরোনো কর্মকাণ্ডের ওপর
নিয়মিত নজর রাখা উচিত। আরও যে
তথ্যগুলো সম্পর্কে সতর্ক হওয়া উচিত,
তার একটা ধারণা এখানে দেওয়া
হলো।
ভালো লাগা
ব্যবহারকারীর ভালো লাগা, আগ্রহ,
বিজ্ঞাপন দেখায় ফেসবুক। আর এই তথ্য
ফেসবুক পায় নানা বিষয়ে আপনার
লাইক দেওয়া থেকে, আপনার কার্যক্রম
বা কথোপকথনে ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ
শব্দ থেকে। প্রত্যেক ব্যবহারকারীর
প্রোফাইলে এই তথ্যগুলো থাকে।
সেগুলো মুছে ফেলতে পারেন।
জন্মদিন
জন্মদিন খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি তথ্য, যা
ব্যবহার করে আপনার ব্যাংক
অ্যাকাউন্ট এবং অন্যান্য ব্যক্তিগত
অ্যাকাউন্টের নিয়ন্ত্রণ পাওয়া সম্ভব।
যতটা সম্ভব এগুলো গোপন রাখা
উচিত। কিন্তু জন্মদিনে বন্ধুরা শুভেচ্ছা
জানাবে—এটাই যেন ফেসবুকের
রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে
অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো বিপদ থেকে
বাঁচতে জন্মতারিখ লুকিয়ে রাখাই
ভালো।
বাসস্থানের ঠিকানাফেসবুক
ব্যবহারে থাকতে হবে সতর্ক l এএফপি
বন্ধুতালিকার সবাই আপনার এতটা আপন
না-ও হতে পারে যে বাড়ির ঠিকানা
জানিয়ে দেবেন। অচেনা অনেক
মানুষও অনেক সময় এই তথ্য পেতে পারে।
সবিস্তারে বাড়ির ঠিকানা না
দিয়ে বরং শুধু শহরের নাম দিতে
পারেন। আর কাউকে ঠিকানা
জানানোর প্রয়োজন পড়লে ব্যক্তিগত
বার্তা পাঠাতে পারেন।
স্কুলের সহপাঠী কিংবা পুরোনো
সহকর্মীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে
প্রোফাইলে বর্তমান-সাবেক কর্মস্থল ও
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তথ্য বেশ কাজে
দেয়। কিন্তু শত্রুতা থাকলে এই তথ্য
ব্যবহার করেই যে কেউ আপনার ক্ষতি
করতে পারে। বিপদের ঝুঁকি কমাতে
যতটুকু তথ্য না রাখলেই নয়, ততটুকুই রাখুন।
পুরোনো তথ্য
পুরোনো অনেক তথ্যই বর্তমানের জন্য
বিব্রতকর। আচার-আচরণে পরিপক্বতা
আসে, চিন্তাভাবনাতেও এসেছে
পরিবর্তন। যে তথ্য অন্যকে জানতে
দিতে চান না, তা নিয়মিত খুঁজে বের
করে মুছে ফেলাই ভালো।