পড়ালেখার ভীষন চাপে আছি ; তাই আগেরমতো পোষ্ট করার সময় হয়ে উঠেনা। এই পোষ্টটা অনেকের অনুরুধে করেছি।
অনেকে আমাকে ফেসবুকে ম্যাসেজ দেন পেইজ প্রমোট করে দেওয়ার জন্য। আমি সবাইকেই হেল্প করার চেষ্টা করি।
আবার অনেকে ট্রিকবিডির কিছু প্রতারক টিউনারের কাছে পেইজ প্রমোট করার জন্য টাকা দিয়ে প্রতারিত হয়েছেন।
যাইহোক সেদিকে যাবোনা আমি। একটু সাবধানে থাকবেন।
চলুন কাজের কথায় আসি।
MasterCard কী?
আপনারা অবগত আছেন যে ফেসবুক পেইজ বড় বা জনপ্রিয় করার জন্য লাইক পেতে হয়। আর লাইক পেতে হলে প্রয়োজন হয় প্রমোটের। আর প্রমোট দিতে হলে অবশ্যই মাষ্টারকার্ডের প্রয়োজন হয়।
নিচে আমার মাষ্টারকার্ডের ছবি দেওয়া হলো।
মাষ্টারকার্ড একটি ব্যাংক একাউন্টের মতোই।
আপনার সিমে যেরকম টাকা ফেক্সিলোড করার পর ফোনে কথা বলতে পারেন বা এম্বি কিনতে পারেন, ঠিক তেমনি MasterCard এ ডলার ($) রিচার্জ করে আপনি সেই ডলার দিয়ে পেইজ প্রমোট দিতে পারবেন।
শুধু পেইজ প্রমোট নয়। মাষ্টারকার্ডের $ দিয়ে আপনি অনলাইন শপিং করতে পারবেন,আপনার সাইটের জন্য .com সহ অন্যান্য ডোমেইন কিনতে পারবেন।
এছাড়াও আপনি যদি অনলাইনে কাজ করেন,তাহলে সেই কাজের ইনকাম মাষ্টারকার্ডে নিতে পারবেন।
একজন অনলাইনভিত্তিক ব্যক্তির জন্য মাষ্টারকার্ড অবশ্যই জরুরী।
মাষ্টারকার্ড কোথায় পাওয়া যায়ঃ
এই প্রশ্নটা আমাকে অনেকেই করেছেন।
মাষ্টারকার্ড অনেক রকমের হয়। যেমনঃ Payoneer,Paypal,Netteler,Skrill,Payza, ইত্যাদি।
কিন্তু বাংলাদেশ থেকে শুধু Payoneer এর মাষ্টারকার্ডই পাওয়া যায়।
এটি পাওয়ার জন্য Payoneer.com সাইটে গিয়ে আপনার NID বা Passport এর তথ্য দিয়ে এবং NID বা Passport এর স্ক্যান কপি আপলোড দিয়ে এপ্লাই করতে হয়।
যদি সব তথ্য সঠিক হয় তাহলে ১৫ দিনের মধ্যে আপনার পোষ্টঅফিসে মাষ্টারকার্ড চলে আসবে।
তারপর সেই কার্ডটিতে ১০০$ রিচার্জ করে কার্ডটি একটিভ করতে হয়। ১০০$ এর মুল্য প্রায় বাংলাদেশি ৮,৫০০ টাকা।
[কিভাবে এপ্লাই করতে হয় সেটার বিস্তারিত আরেকদিন পোষ্ট করবো]
আশা করি মাষ্টারকার্ড সম্পর্কে সবাই ধারনা পেয়ে গেছেন।
প্রমোট এবং বুষ্ট নিয়ে ইউটিউবে আমার ছোট্ট একটি ভিডিও আছে। এখনো যারা বুঝতে পারেননি তারা ভিডিওটি দেখলে পুরোপুরি বুঝতে পারবেন আশা করি।