Site icon Trickbd.com

আপনিও কি ফেসবুকে বিখ্যাত বা ফেমাস হতে চান তাহলে আমার এই পোস্ট টি ফলো করুন অল্প সময়েই ফেসবুকে ফেমাস হতে পারবেন

Unnamed

আসসালামু আলাইকুম
আপনারা সবাই কেমন আছেন
নিশ্চয় ভালো আছেন , আর ভালো থাকারই ত কথা Trickbd.Com এর সাথে থাকলে সবাই ভালোই থাকে!

আপনি যেহেতু বাস্তব জগতের
সেলিব্রেটি নয়, আপনি অনেক ভাল
লিখলেও ফেইসবুকে দ্রুত
জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারবেন
না, আপনাকে অবশ্যই কিছু কৌশল
অবলম্বন করতে হবে।
আমার দেওয়া কৌশলগুলো একশ
পার্সেন্ট কার্যকরী Br /> >> প্রথমে আপনার আইডির যাবতীয়
ইনফো ফিলাপ করে নিবেন,নিজের
নামে একাউন্ট খুলবেন,
এতে আইডি সিকিউরিটি স্ট্রং হয়।
নাম বার বার চেঞ্জ করবেন না।
ফেইক বা কোন সেলিব্রেটির
নামে বা প্রাণীর নামে একাউন্ট
খুলবেন না এতে আইডি যে কোন সময়
ব্যান হয়ে যেতে পারে।
>> যে যাই বলুক লাইক কমেন্টের
বিবেচনায় যেহেতু ফেইসবুকের
পপুলারিটি, এগুলোকে অবশ্যই গুরুত্ব
দিতে হবে, জাস্ট নাউতে লাইক
কমেন্ট করার চেষ্টা করবেন, লাইকের
চাইতে কমেন্ট
বেশি করবেন, এতে করে প্রমোট
বিহীন রিকুয়েস্ট পাবেন।
>> কমেন্ট অবশ্যই স্ট্যাটাসের
সাথে প্রাসঙ্গিক করতে হবে, বড়
স্ট্যাটাস হলে দুই তিন লাইন পড়েও
প্রাসঙ্গিক কমেন্ট করা যায়। এক্টিভ
লাইক ব্যাক, ইমো কমেন্ট, এড
মি ইত্যাদি কমেন্ট স্ট্যাটাস
দাতাকে বিব্রত করে। আর সবাই
প্রাসঙ্গিক
কমেন্টকারীকে রিকুয়েস্ট
বেশি পাঠায়।
>> মিচুয়াল ফ্রেন্ড ৫০ প্লাস
দেখে রিকুয়েস্ট পাঠাবেন, তার
ওয়াল গিয়ে চেক করুণ
সে কতটা এক্টিভ, যাদের রিকুয়েস্ট
পাঠানোর সময় ওয়ার্নিং দেয়
তাদের রিকুয়েস্ট পাঠাবেন না।
যারা কিছু না কিছু লিখে তাদের
রিকুয়েস্ট এক্সেপ্ট
করবেন,ফটো সেলিব্রেটিদের
চাইতে এরা বেশি এক্টিভ থাকে।
রিকুয়েস্ট দিয়ে কিছুক্ষন
পরে ক্যান্সেল করবেন না চার পাঁচ
ঘন্টা অথবা একদিন পরে ক্যান্সেল
করুন। একদিনে পঞ্চাশ জনের
বেশি ফ্রেন্ড বাড়াবেন না।

এতে রিকুয়েস্ট ব্লক
থেকে বেঁচে যাবেন।
>> কখনোই পোস্টে অটো লাইক
বা কমেন্ট ব্যবহার করবেন না,
এটা ফেইসবুকের ফরমালিন। যেমন
ফরমালিন খাবার কে যতই
টাটকা রাখুক না কেন শরীরের
অনেক ক্ষতি সাধন করে।
অনেকে ভাল লিখে কিন্তু
অটো লাইক ইউজের কারণের
অনেকেই তাদের অপছন্দ করে।
যারা অটো লাইক কমেন্ট ইউজ
করে তাদের ব্লক অথবা ফ্রেন্ড লিস্ট
থেকে রিমুভ করে দেন কারণ
তারা আপনার কোন
কাজে আসবে না।
>> কেউ ম্যাসেজ দিলে ইনেসটেন্ট
উত্তর দিতে চেষ্টা করবেন,
কাউকে হুমকি ধমকি দিবেন না, কার
সাথে মনো মালিন্য হলে জাস্ট
এভয়েড করুন, ইনবক্সে কার
কাছে বা কোন ভাবেই
কাউকে লাইক
ব্যাক করার কথা বলবেন না। কেউ
চাইলে ওকে বলে জাস্ট রিপ্লাই
দিয়ে দিবেন।
>>সুন্দর পিকচার দেখেই মেয়েদের
রিকুয়েস্ট পাঠাবেন না। প্রোফাইল
পিকচার ঘন ঘন চেঞ্জ করবেন না।
কেউ ভাল লিখলে তাকে উৎসাহমূলক
কমেন্ট করবেন, অন্যের
প্রশংসা করলে নিজের
প্রশংসাকারী কমে না বরং বাড়ে।
>> অবশ্যই স্ট্যাটাস
প্রাইভেসি পাবলিক করে দিবেন।
ঘন ঘন স্ট্যাটাস দিবেন না,
দিনে একটা অথবা দুইদিনে একটা স্ট্যাটাস
দিবেন, গুড মর্নিং, গুড নাইট, এসব
স্ট্যাটাস থেকে বিরত থাকুন, দিনের
নির্দিষ্ট যে কোন
একটা সময় স্ট্যাটাস দিবেন সকাল
১০-১১/ বিকাল ৪-৫ অথবা রাত ১০-১১।
দিনে চার / পাঁচ ঘন্টা একটিভ
থাকলেই চলে।
>> প্রতি সপ্তাহে অন্তত
একটি সংক্ষেপে প্রশ্ন
করে বা আড্ডা দেওয়ার মত
স্ট্যাটাস দিবেন, আর আপনার
স্ট্যাটাসে কমেন্টকারীদের নাম
ম্যানশন করে যত তাড়াতারি সম্ভব
রিপ্লাই দিবেন। তাদের
কে পরিমিত লাইক কমেন্ট করবেন।
>> সব সময় একই ধরনের স্ট্যাটাসদিবেন
না, কিছু হাসাবে কিছু কাঁদাবে,
প্রেম কাহীনী, রাজনীতি, আবার
ধর্মীয় পোস্ট, তবে যে কোন
একটা সাইটে বেশি লিখবেন।
অশ্লীলতা বর্জিত
লিখা লিখবেন, অশ্লীল লিখায়
সাময়িক সাপোর্টার পাওয়া যায়
পার্মানেন্ট না।
>> প্রতিটি লিখায় কিছু
শিক্ষামূলক
বাণী বা দিকনির্দেশিনা দিবেন
এতে নিজের, সমাজ ও রাষ্ট্রের
উপকার হবে। আমার এই লিখার
শেষেও পাবেন। লিখায়
বানান ,প্যারার, সহজবোধ্যতার
প্রতি নজর দিবেন।
কার্টেছি ছাড়া কারো লিখা কপি করে নিজের
বলে চালাবেন না, অবশ্যই
কার্টেছি দিয়ে দিবেন।
>> আপনার বাস্তব জীবনের
পরিচিত বন্ধুদের অবশ্যই
বেশি বেশি লাইক দিবেন।
নয়তো তারা লাইক দিবে না কারণ
তারা অকথ্যভাবে লাইক ব্যাক এ
বিশ্বাসী। আপনার সব কাছের
বন্ধুরা আপনার
পপুলারিটি মেনে নিবে না। পিঃ
>> এই নিয়ম গুলো ব্যবহারের
মাধ্যমে আপনি একমাসের
মধ্যে হতে পারবেন জনপ্রিয়
বা ফেইসবুক সেলিব্রেটি।
একটা কথা বলি আপনার
লিখা পড়ে যদি একজন মাত্র
মানুষেরও ভাল লাগে বা পরিবর্তন
আসে তাহলে আপনি সার্থক।
আর
এভাবে লেখালেখি করতে করতে আপনার
নৈতিক ও স্বভাবগত পরিবর্তন
আসবে, আপনি নিজেই বিস্মিত
হবেন। একই সাথে ভার্চুয়াল আর
বাস্তব জগতের একজন পরিচিত,
রুচিশীল, নান্দনিক
ব্যক্তি হিসাবে আবির্ভূত হবেন।
আর হ্যা, আরেকটা কথা ভার্চুয়ালে ফেমাস হবার
পরে বাস্তব
জীবনে কারো সাথে অহংকার
দেখাবেন না,
ধন্নবাদ।

সৌজন্যঃ-NewTips25.Com

Exit mobile version