Site icon Trickbd.com

ফ্রিল্যান্সিং করে যে কাজে বেশি আয় করতে পারবেন

বর্তমান প্রজন্মের কাছে ফ্রিল্যান্সিং অনেক বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। বাংলাদেশ থেকে অনেক মানুষ প্রতিবছর হাজার হাজার ডলার ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করছে। ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার আগে অবশ্যই আপনাকে কোন একটি বা একাধিক কাজে পারদর্শী হতে হবে। কোন কাজে এক্সপার্ট হওয়া ছাড়া আপনি ফ্রিল্যান্সিং জগতে কোন উন্নতি করতে পারবেন না।

অনেকেই কাজ না শিখে ফ্রিল্যান্সিং জগতে প্রবেশ করে, কিন্তু পরবর্তীতে যখন কাজ না পায় তখন হতাশ হয়ে সেই সেক্টর থেকে সম্পূর্ণরূপে বেরিয়ে আসে। আজকে পশ্চিমের মাধ্যমে আমি আপনাদেরকে জানাবো ফিন্যান্সিংয়ের কোন কাজগুলো সবচেয়ে বেশি ডিমান্ডেবল এবং বেশি আয় করা যায়। আজকের এই পোষ্টের দ্বারা আপনি ভবিষ্যতে কি কাজ শিখবেন সেটাও নির্ধারণ করতে পারবেন। চলুন কথা না বাড়িয়ে শুরু করি…

আপনি যদি লেখালেখি করেন এক্সপার্ট হন তাহলে কপিরেটিং আপনার জন্য খুব ভালো একটি কাজ। কপিরাইটিং করে বাংলাদেশ থেকেও অনেক মানুষ ফ্রিল্যান্সিং এ কাজ করছে। সাধারণত কপিরাইটিং এ বিজ্ঞাপন, ওয়েবসাইটের আর্টিকেল রাইটিং ইত্যাদির মত কাজ করা হয়। স্থান বেধে কপিরাইটিং এর মূল্য পরিবর্তনশীল, তবুও সাধারণত কপিরাইটিং করলে প্রতি এক হাজার ওয়ার্ডে ১৮ থেকে ১০০ ডলার পর্যন্ত পেতে পারেন। আপনি যদি বেশি এক্সপার্ট হন তাহলে এর থেকেও বেশি পরিমাণ আয় করতে পারে।

২. ওয়েব ডিজাইনিং: ওয়েব ডিজাইন প্রতিটি ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্মের একটি জনপ্রিয় কাজ। প্রতিটি ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে এই কাজটি চাহিদা অনেক বেশি। ওয়েব ডিজাইন এ সাধারণত আপনি কোন একটি ওয়েব পেজ ডিজাইন করতে হবে। এর জন্য আপনাকে বিভিন্ন ধরনের কোডিং শিখতে হবে। ওয়েব ডিজাইনের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ডিজাইনের উপর নির্ভর করে পেমেন্ট করা হয়। তবে একটি সাধারণ ডিজাইনের ক্ষেত্রে ১৫ থেকে ৩০ ডলার পর্যন্ত পেমেন্ট করা হয়। তবে আপনি দুর্বল মেধার অধিকারী হলে এই কাজটি আপনার জন্য না। ওয়েব ডিজাইন এর ক্ষেত্রে অবশ্যই তীক্ষ্ণ মেধার অধিকারী হতে হয়। কারণ ওয়েব ডিজাইন অনেক কোড মুখস্ত করতে হয়।

৩. ডিজিটাল মার্কেটিং: ওয়েব ডিজাইনের মত ডিজিটাল মার্কেটিং ও প্রতিটি ফিন্যান্সিং প্ল্যাটফর্মের জনপ্রিয় একটি কাজ। তবে ওয়েব ডিজাইনের মত ডিজিটাল মার্কেটিং এতটা কঠিন কাজ না। তবে আবার যতটা সহজ মনে করবেন ততটা সহজ না। ডিজিটাল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে আপনাকে কিছু টেকনিক অবলম্বন করে বিভিন্ন পণ্যের প্রচার করতে হবে। ডিজিটাল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রেও কাজের উপর নির্ভর করে পেমেন্ট করা হয়। তবে একটি সাধারণ কাজের জন্য 15 থেকে 45 ডলারের উপরেও পেমেন্ট করা হয়।

৪. ওয়েব ডেভেলপমেন্ট: ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর ক্ষেত্রেও ওয়েব ডিজাইন এর মত অনেকগুলো কোড আপনাকে মুখস্ত করতে হবে। হয়তো কিছু শর্টকাট টেকনিক রয়েছে, তবুও আপনাকে মোটামুটি অনেকগুলো কোড মুখস্ত করতে হবে। ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর ক্ষেত্রেও আপনার কাজের উপর নির্ভর করে পেমেন্ট করা হয়। তবে একটি সাধারণ ওয়েব ডিজাইনের ক্ষেত্রে ১৫ থেকে ৩০ ডলারের উপরে পেমেন্ট করা হয়। বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে এই কাজটি চাহিদা অনেক বেশি।

৫. ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট: ভার্চুয়াল assistant কাজের ক্ষেত্রে আপনাকে একজন বায়ার হায়ার করবে এবং তার সম্পূর্ণ অ্যাসিস্ট্যান্ট এর কাজগুলো আপনাকে দিবে। ডাটা এন্ট্রি, ক্যালেন্ডার অর্গানাইজেশন, কমিউনিকেশন ইত্যাদির মত কাজগুলো এখানে করতে হবে। অনেক সময় আপনি যদি আপনার skills এর মধ্যে ট্রান্সলেটর অপশনটি রাখেন, সে ক্ষেত্রে এখানে ট্রান্সলেটরের কাজটাও করতে হবে। তবে এক্সট্রা কাজের জন্য আপনাকে আলাদা ভাবে পেমেন্ট করবে। সাধারণত এই ধরনের কাজের ক্ষেত্রে ঘন্ট হিসেবে পেমেন্ট করা হয়। তবে কিছু কিছু বায়ার আপনাকে কিছুদিন বা কিছু সময়ের জন্য হায়ার করবে। এই ধরনের কাজের ক্ষেত্রে প্রতি ঘন্টায় ১৫ থেকে ৫০ ডলার পর্যন্ত পেমেন্ট করা হয়। তবে সেটা কাজের স্কিল অনুযায়ী।

৬. গ্রাফিক্স ডিজাইন: প্রায় সকল ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে এই কাজটির জনপ্রিয়তা রয়েছে। গ্রাফিক্স ডিজাইনের ক্ষেত্রে আপনাকে বিভিন্ন ধরনের ব্যানার, লোগো ইত্যাদির মতো ডিজাইন করতে হবে। আপনার ডিজাইন এবং কাজের উপর নির্ভর করে গ্রাফিক্স ডিজাইনে আপনাকে পেমেন্ট করবে। তবে সাধারণত গ্রাফিক ডিজাইন এর ক্ষেত্রে ৫ ডলার থেকে ১০০ ডলার পর্যন্ত পেমেন্ট করে। তবে আপনাকে যদি অনেক ভারী কাজ দেওয়া হয় সেক্ষেত্রে পেমেন্টের পরিমাণ আরো বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের এক্সট্রা কাজের ক্ষেত্রে আলাদা পেমেন্টও করবে।

বন্ধুরা আজকের পোস্টের মাধ্যমে আমি ফ্রিল্যান্সিং জগতের কিছু ডিমান্ড টেবল কাজ সম্পর্কে আলোচনা করেছি। ফ্রিল্যান্সিং জগতে এছাড়া আরো অনেক কাজ রয়েছে যেগুলো খুবই ডিমান্ডেবল। যদি আপনারা চান তাহলে আমি ধাপে ধাপে সেগুলো আলোচনা করতে পারি। একটা পোস্টে এতগুলো বিষয় নিয়ে আলোচনা করা অসম্ভব।

যে কোন প্রয়োজনে আমার ফেসবুক প্রোফাইলের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারে। এছাড়া আমার ফেসবুক পেজটি ফলো করে রাখতে পারেন সেখানে আমি বিভিন্ন টেকনোলজি নিউজ এবং পোস্ট শেয়ার করে থাকি।

আমার ফেসবুক প্রোফাইল
আমার ফেসবুক পেজ (NTS TREND)