গত কদিন ধরে নিশ্চয় খেয়াল করেছেন – ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব – এমন কোন নেটওয়ার্ক নেই যেখানে এই Pokémon Go টপিকটা ট্রেন্ডিং না। যেমন মানুষ পোকেমন শিকার করছে অফিসের ডেস্কে, হাসপাতালে এমনকি বাথরুমেও। এমনকি এক টিনেজার মেয়ে পোকেমন খুজতে গিয়ে একটা লাশও খুজে পেয়েছে। পোকেমন খুজতে গিয়ে বড় কোন সড়ক দুর্ঘটনায় পড়েছে এমনও নিউজ আর্টিকেল দেখা গেছে। কি এই Pokémon Go? এটা নিয়ে মানুষ পাগল হয়ে গেছে কেন? আসলে কি হচ্ছে?
পোকেমন একটি কম্পিউটার গেইম – এটা মনে হয় বুঝতে পেরেছেন। গেমটির মালিক বা নির্মাতা নিন্টেন্ডো – বিশ্বখ্যাত গেম নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। ১৯৯০ সালে যখন প্রথন বাজারে আসে, তখন এই গেমটা ছিল সুপার হিট। ব্লকবাস্টার রিলিজ ছিল এই গেম। এবং ঠিক একই ঘটনা ঘটল এবারেও যখন এই গেমটা ফ্রি ডাউনলোড করার সুযোগ করে দিল এন্ড্রয়েড এবং আইওএস স্মার্টফোনগুলোর জন্য। এটা এতটাই পপুলার হয়ে গেছে মোবাইল ভার্সন আসার পরে যে এখন এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা আর টুইটারের প্রতিদিন ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় সমান!
সোজা করে বললে, পোকেমন হলো এমন একটি গেম যা আপনার মোবাইল ফোনের জিপিএস আর ঘড়ি ব্যবহার করে বলে আপনি ঠিক কোন সময় এবং কোথায় অবস্থান করছেন আপনার গেমের ভেতর আর সেই পোকেমনকে আপনার সেই গেমের ভেতরই আপনার আশেপাশের কোন জায়গায় লুকিয়ে রাখে। আপনার কাজ হবে সেই পোকেমন কে খুজে বের করা। আপনি গেমের ভেতর ধীরে ধূরে মুভ করা শুরু করলে আরও অনেক ধরনের পোকেমন আশে পাশে আসবে আর এই পুরো ব্যাপারটা নির্ভর করবে সেই মুহুর্তে আপনার লোকেশন এবং সময়ের উপর। আর এই আইডিয়াটাই একটা ব্লকবাস্টার আইডিয়া হয়েই বের হলো কারন এর মাধ্যমে গেম এবং বাস্তব লোকেশন – দুই জায়গায় একই সাথে অবস্থান করা যায়। এটাকে বলা হয় Augmented Reality। ১৯৯০ তে পোকেমন যখন প্রথম রিলিজ করা হয় তখন এই গেমের কোটি কোটি ফ্যান ছিল আর তাঁদের একটা ফ্যান্টাসী ছিল যে এই গেমের পোকেমনগুলো পুরো পৃথিবী দখল করে ফেলেছে। আর Pokémon Go এর স্মার্টফোন ভার্সনে ঠিক এই ফ্যান্টাসীটাই যুক্ত করা হলো এবং তার উপর গেমটা ১০০% ফ্রি করে দেয়া হলো। উল্লেখ্য, গেইমে পোকেমন হলো একটা পোকা আর বিভিন্ন জায়গায় এই পোকা ধরাটাই হলো গেমের মূল থিম।