আমরা কম্পিউটার ব্যবহারকারীরা সাধারণত অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু এছাড়াও আরো বেশকিছু অপারেটিং সিস্টেম রয়েছে যা হয়তো আমরা অনেকেই জানি আবার অনেকেই জানি না। বিশেষ করে যারা একদমই নতুন তারা হয়তো জানি না। মাইক্রোসফট উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম এর মত আরেকটি অপারেটিং সিস্টেম রয়েছে যার নাম হচ্ছে Linux. আর এই লিনাক্স সম্পর্কে যারা জানি তারা নিজের কম্পিউটারে অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে কোনটি সেটাপ দিব তা নিয়ে দ্বিধাদন্ধে ভুগি। তো এই পোস্টের মাধ্যমে আমরা আজকে জনপ্রিয় উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম এর সাথে লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম এর ৫টি তুলনা মূলক বর্ণনা করব। যার মাধ্যমে আপনি নিজেই সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন যে কোনটি আপনার জন্য সেরা।
উইন্ডোজ বা ম্যাক অপারেটিং সিস্টেম এর চেয়েও আপনার কম্পিউটারে লিনাক্স বেছে নেওয়ার যুক্তির অভাব নেই। আগে লিনাক্স প্রধানত সার্ভারের জন্য ব্যবহৃত হত এটি কম্পিউটারের জন্য উপযুক্ত হিসেবে কেউ দেখতো না। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে ব্যবহারকারীর ইন্টারফেস ধীরে ধীরে উন্নত হচ্ছে। যার ফলে লিনাক্স কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে ব্যবহার করার জন্য যথেষ্ট ব্যবহার বান্ধব হয়ে উঠছে। তো অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে লিনাক্স ব্যবহার করার ৫টি কারণ নিচে তুলে ধরা হলো।
০১) এটি সম্পূর্ণ ফ্রি:
লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম সম্পূর্ণ ফ্রি। এটি আপনি ডেস্কটপ অথবা সার্ভার যেখানেই ব্যবহার করেন না কেন, কোন টাকার প্রয়োজন পড়বে না। শুধুমাত্র এই অপারেটিং সিস্টেমটিই নয়। এই প্লাটফর্মের সকল অ্যাপস একেবারে বিনামূ্ল্যে ব্যবহার করতে পারবেন এবং এইগুলো ওপেন সোর্স। আপনি কিন্তু চাইলেই উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম এর কোন পরিবর্তন করতে পারবেন না। কারণ এর সোর্স কোডটি ওপেন সোর্স নয়। আপনি চাইলে একটি লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম এর সোর্স কোড ডাউনলোড করতে পারবেন, পরিবর্তন করতে পারবেন এবং কোনো অর্থ পরিশোধ করা ছাড়াই ব্যবহার করতে পারেন। যদিও কিছু লিনাক্স ডিস্ট্রো সমর্থনের জন্য চার্জ রয়েছে, তবে সেগুলি উইন্ডোজের লাইসেন্সের মূল্যের তুলনায় একদম সস্তা।
০২) সুরক্ষার দিক দিয়ে:
০৩) হার্ডওয়্যারের সমস্যা:
আমরা সকলেই জানি যে Windows OS-এর প্রতিটি নতুন রিলিজের সাথে প্রচুর সংখ্যক হার্ডওয়্যার সিস্টেম পুরানো হয়ে যায়। কারণ তাদের নিত্যনতুন আপডেটগুলি পূর্বের হার্ডওয়্যারগুলিতে আর তেমন সাপোর্ট করে না। কিন্তু লিনাক্সে আপনি এই সুবিধাটি পাবেন। লিনাক্স ইনস্টল দেওয়ার সময় আপনি আপনার কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার অনুযায়ী কাস্টমাইজ করে ইনস্টল দিতে পারবেন। লিনাক্স বিভিন্ন হার্ডওয়্যারে চলে, সুপার কম্পিউটার থেকে ঘড়ি যেকোন হার্ডওয়্যারে। একটি লাইটওয়েট লিনাক্স সিস্টেম ইনস্টল করে আপনার পুরানো এবং দূর্বল পিসিকে কোন ঝামেলা ছাড়া ব্যবহার করতে পারবেন।
০৪) স্থিতিশীলতা:
আমরা সকলেই জানি উইন্ডোজ দেওয়ার পর বেশিদিন স্থায়ী থাকে না। কয়েকদিন পরেই ক্র্যাশ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু লিনাক্স এর বিপরীত। এটির স্থায়িত্বকাল অনেকদিন থাকে। লিনাক্সের কার্যক্রম সবসময়ই একই থাকে। অর্থাৎ আপনি প্রথম ইনস্টল দেওয়ার পর যেমন গতি এবং চালিয়ে আরাম পেয়ে থাকেন ঠিক তেমনি থাকে বছরের পর বছর। লিনাক্স সার্ভারগুলির জন্য সিস্টেম আপটাইম খুব বেশি এবং কার্যকারিতা প্রায় ৯৯.৯ শতাংশ৷ উইন্ডোজের মত প্রতিটি আপগ্রেড বা প্যাচের পরে, আপনাকে লিনাক্স পুনরায় বুট করতে হবে না। যার ফলে ইন্টারনেটে লিনাক্সের সবচেয়ে বেশি সার্ভার এখন চলমান।
০৫) কমিউনিটি সাপোর্ট:
আপনি লিনাক্সে কোন বিষয়ে কোনরকম সমস্যার সম্মুখীন হলে এর সমাধানের জন্য কোন চিন্তা করতে হবে না। কারণ সারা বিশ্বজুড়ে লিনাক্সের অনেক সাপোর্টার রয়েছে। লিনাক্সের অনেক ফোরাম ও ব্লগ সাইট রয়েছে যেখানে আপনি আপনার সমস্যার কথা তুলে ধরলে এর সমাধান দেওয়ার মত অনেক ব্যক্তি রয়েছেন যারা আপনাকে সাহায্য করবে। তাই আপনার আর নিজেকে একা একা মনে হবে না। যেকোন সমস্যায় পড়বেন এর সমাধান পেয়ে যাবেন।
এইরকম আরো অরেক ধরনের সুযোগ সুবিধা রয়েছে লিনাক্সে। এখন আপনি যদি চান একবার লিনাক্স ব্যবহার করে দেখতে পারেন যে আসলে এটি উইন্ডোজের তুলনায় কেমন। নিজে সরাসরি ব্যবহার করলে হয়তো এর গুরুত্বটা বুঝতে পারবেন। তো এই বলে আমি আমার আজকের পোস্টটি এখানেই শেষ করলাম।
তথ্যসূত্র ও ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহকৃত।
আপনাদের সুবিধার্থে আমি আমার টিপস এন্ড ট্রিকসগুলি ভিডিও আকারে শেয়ার করার জন্য একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করেছি। আশা করি চ্যানেলটি Subscribe করবেন।
সৌজন্যে : বাংলাদেশের জনপ্রিয় এবং বর্তমান সময়ের বাংলা ভাষায় সকল গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ক টিউটোরিয়াল সাইট – www.TutorialBD71.blogspot.com নিত্যনতুন বিভিন্ন বিষয়ে টিউটোরিয়াল পেতে সাইটটিতে সবসময় ভিজিট করুন।