Site icon Trickbd.com

বিদেশ যেতে চাইলে BMET বা আমি প্রবাসী অ্যাপে নিবন্ধন করে নিন।

আমাদের দেশের মূল অর্থনীতির চাবিকাঠি বলা হয় প্রবাসী ভাইদেরকে। দেশের বর্তমান পরিস্থিতি তা আমাদেরকে এখন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। যদি আজ প্রবাসী ভাইরা বিদেশ থেকে রেমিট্যান্স না পাঠাতো তাহলে একবার চিন্তা করে দেখেন আমাদের অবস্থা কি হতো। শ্রীলঙ্কার কি হয়েছে এর থেকেও খারাপ অবস্থা হতো। যদিও দেশের অবস্থা খুবই খারাপ তবুও যতটুকু ভালো অবস্থায় আছে ততটুকু মূলত এই প্রবাসী ভাইদের জন্যই আছে। আশা করি অতি শীঘ্রই আমরা এই খারাপ অবস্থা কাটিয়ে উঠতে পারবো। দেশর জন্য প্রবাসী ভাইদের ত্যাগ স্বরূপের তেনাদের সম্মানার্থে আমার আজকের এই টপিক। টপিকটি হলো বিদেশ যাওয়ার পূর্বে BMET রেজিস্ট্রেশন বা নিবন্ধন নিয়ে। যেটা আপনি নিজে আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোন এর মাধ্যমে করতে পারবেন। মনে রাখবেন এই পদ্ধতি কিন্তু পূর্বে থেকেই ছিলো। বিদেশ যাওয়ার পূর্বে যখন ফিঙ্গার দেওয়া হয় তখনই মূলত এই রেজিস্ট্রেশন বা নিবন্ধন প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করা হতো। আর সেটিরই এখন আপডেট বা ডিজিটাল পদ্ধতি হচ্ছে নিজে নিজে নিজের মোবাইল বা স্মার্টফোন এর মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন বা নিবন্ধন করে নেওয়া। মোট কথা হলো আপনি যদি বিদেশ যেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে বাধ্যতামূলক এই BMET নিবন্ধন করতেই হবে এইবার নিজে নিজে করেন বা বিএমইটি অফিসে গিয়ে করেন। বিশেষ করে আজকের এই টপিকটি এখন যারা মালোশিয়া যেতে আগ্রহী তাদের অনেক কাজে আসবে।

(BMET বা আমি প্রবাসী অ্যাপে নিবন্ধন করার উপকারিতা)

আজকের এই টপিকের উদ্দেশ্য বা উপকারিতাঃ

যেহেতু বিদেশ যাওয়ার পূর্বে শর্ত হচ্ছে BMET নিবন্ধন করতে হবে। সেহেতু এখন যারা মালোশিয়া যেতে চান তাদেরও এখানে নিবন্ধন করতে হবে। আর এই সুযোগে আমি লক্ষ করে দেখলাম কিছু কম্পিউটার কম্পোজের এর দোকান বেশ ভালো রমরমা ব্যবসা জুড়ে দিয়েছে। নিবন্ধন করার জন্য তারা ৩০০ টাকার জায়গায় ৫০০ টাকা বা এর অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছে। এতে করে যারা প্রবাসে যেতে ইচ্ছুক অর্থাৎ আমাদের ভবিষ্যৎ রেমিট্যান্স যোদ্ধা ভাই তাদেরকে মারাত্মকভাবে ঠকাচ্ছেন। তাই আমি আমার রেমিট্যান্স যোদ্ধা ভাইদের এই ঠকানোর বা হয়রানির হাত থেকে মুক্তি দিতে এই টপিক নিয়ে হাজির হয়েছি।

BMET রেজিষ্ট্রেশন বা নিবন্ধন পদ্ধতিঃ

আপনি আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোনটির মাধ্যমে নিজে নিজে BMET তে রেজিস্ট্রেশন বা নিবন্ধন করতে চাইলে প্রথমে আপনাকে আপনার স্মার্টফোনে একটি অ্যাপ ইনস্টল করতে হবে। অ্যাপটি ইনস্টল করতে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা এই https://play.google.com/store/apps/details?id=com.thane.amiprobashi লিংকে ক্লিক করুন। আর আইফোন ব্যবহারকারীরা এই https://apps.apple.com/app/ami-probashi/id1626946419 লিংকে ক্লিক করুন। অ্যাপটি ডাউনলোড ও ইনস্টল হওয়ার পর অ্যাপটি ওপেন করুন।

অ্যাপটি ওপেন করার পর উপরের স্ক্রিনশটের মতো একটি ইন্টারফেস চলে আসবে। যেখানে মুলত আপনাকে জানানো হবে যে আসলে আপনি এখানে নিবন্ধন করলে কী কী সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। এখানে আপনি পরবর্তী বাটনে ক্লিক করে একটি একটি করে পুরো বিষয়টি বুঝে নিতে পারেন।

তারপর উপরের স্ক্রিনশটের মতো আসবে এখানে আপনাকে প্রাথমিক ধাপে নিবন্ধন করার জন্য কয়েকটি ধরণ দেওয়া থাকবে। ধরণগুলো হলো আপনি চাইলে এখানে মোবাইল নাম্বার দিয়ে নিবন্ধন করতে পারবেন, ইমেইল অ্যাড্রেস দিয়ে নিবন্ধন করতে পারবেন ও ফেসবুক দিয়ে নিবন্ধন করতে পারবেন। আমি আপনাকে সাজেস্ট করবো ইমেইল অ্যাড্রেস দিয়ে নিবন্ধন করার জন্য। এতে করে আপনি বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে এই অ্যাপটিতে সহজেই লগইন করতে পারবেন। এখন আপনার ইচ্ছে আপনি যেকোনো একটি মাধ্যম ব্যবহার করতে পারেন। এখানে নাম্বার অথবা ইমেইল লিখে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন। উল্লেখ্য নাম্বার ব্যাতিত উপরোল্লিখিত অন্যান্য পদ্ধতিতে যদি আপনি এখানে নিবন্ধ করতে চান তাহলে স্ক্রিনশটের চিহ্নিত অংশের আপনি যেই মাধ্যমে করতে চান সে মাধ্যম সিলেক্ট বা নির্বাচন করুন।

এইবার উপরের স্ক্রিনশটের মতো একটা ইন্টারফেস আসবে। এখানে আপনাকে আপনার মোবাইলে অথবা মেইলে যাওয়া কোডটি বসিয়ে দিতে হবে। সঠিকভাবে বসিয়ে দেওয়ার পর কনফার্ম বাটনে ক্লিক করুন।

কনফার্ম করার পর উপরের স্ক্রিনশটের মতো আসবে এখানে এইবার আপনাকে আপনার মন মতো একটি পাসওয়ার্ড বসাতে হবে। দুটো ঘরে একই পাসওয়ার্ড বসিয়ে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।

এইবার একটি বার্তামূলক ডায়ালগবক্স আসবে এখানে আপনাকে ঠিকাছে বাটনে ক্লিক করতে হবে তাই ক্লিক করুন।

এইবার আপনাকে দেশ নির্বাচন করতে হবে। যে আপনি কোন কোন দেশে কাজ করার জন্য বিদেশ যেতে আগ্রহী। উপরের স্ক্রিনশটের মতো আপনি আপনার পছন্দের দেশ সিলেক্ট বা নির্বাচন করুন এবং পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন। মনে রাখবেন আপনাকে কমপক্ষে তিনটি দেশ নির্বাচন করতে হবে।

তারপর উপরের স্ক্রিনশটের মতো দক্ষতার পাতা আসবে। এখানে আপনাকে আপনার কোন কোন কাজের উপর দক্ষতা বা অভিজ্ঞতা আছে সেগুলো নির্বাচন করে দিতে হবে। নির্বাচন করার পর পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।

এইবার যে পেজটি আসবে এটিতে প্রথমে আপনি পুরুষ ♂ নাকি মহিলা ♀ তা সিলেক্ট করুন, আপনার বর্তমান বয়স কত বছর তা উল্লেখ করুন অর্থাৎ আপনার পাসপোর্ট অনুযায়ী জন্ম তারিখ দেখে বর্তমান বয়স কত তা নির্বাচন করুন, আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্বাচন করুন, চাকুরির অবস্থা নির্বাচন করুন যে আপনি কোথাও চাকুরি করেন কিনা না কোনো চাকুরি নিয়ে কথা হচ্ছে কিনা অথবা চাকুরি করতেছেন কিনা তা নির্বাচন করুন, আপনি কি বর্তমানে বিদেশে কর্মরত আছেন কিনা তা নির্বাচন করুন, আপনার কি বিএমইটি কার্ড আছে কিনা তা নির্বাচন করুন। সবকিছু ঠিকঠাকভাবে নির্বাচন বা সিলেক্ট করা হয়ে গেলে সম্পন্ন বাটনে ক্লিক করুন।

তারপর উপরের স্ক্রিনশটের মতো “বিদেশে কর্মসংস্থান এর জন্য আমি প্রবাসী প্রতিটি ধাপে আপনার সাথেই থাকবে” এইরকম একটি বার্তামূলক ডায়ালগ বক্স আসবে এখানে ঠিক আছে বাটনে ক্লিক করুন।

আর দেখুন উপরের স্ক্রিনশটের মতো আমি প্রবাসী অ্যাপের মূল ড্যাশবোর্ড বা ইন্টারফেস চলে আসছে। এইবার এখানে আপনাকে মূল নিবন্ধনটি করতে হবে বিএমইটি কার্ড এর জন্য। তাই নিবন্ধন করতে স্ক্রিনশটে চিহ্নিত অংশ বিএমইটি রেজিষ্ট্রেশন লেখাটির উপর ক্লিক বা ট্যাপ করুন।

এইবার দেখুন উপরের স্ক্রিনশটের মতো একটি ডায়ালগ বক্স আসছে। এটি মূলত আগে আসতো না এখন আসে। কারণ এখন নতুন করে মালোশিয়া যাওয়ার প্রক্রিয়া চলতেছে যার কারণে এই ডায়ালগ বক্সটি আসে। তাই এখানে এখন আপনি কি মালোশিয়ায় যেতে চান নাকি অন্য কোনো দেশে যেতে চান সেটি সিলেক্ট করুন এবং পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন। উল্লেখ্য আপনি যদি অন্যান্য দেশ সিলেক্ট করেন সেক্ষেত্রে আর কিছু করা লাগবে না। শুধুমাত্র পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুনৃ।

আর যদি মালোশিয়া সিলেক্ট করেন তাহলে উপরের স্ক্রিনশটের মতো আসবে। এখানে আপনি কোন পেশায় মালোশিয়া যেতে আগ্রহী তা ড্রপডাউনে ক্লিক করে উল্লেখ করুন। তারপর যে পেশাটি সিলেক্ট করবেন সেটির কি কোন অভিজ্ঞতা আছে কিনা তা উল্লেখ করে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন। মনে রাখবেন যদি আপনার অভিজ্ঞতা থাকে এবং এর জন্য হ্যাঁ বাটনটি সিলেক্ট করেন তাহলে এর জন্য রেজিস্ট্রেশনের পরে একটি অভিজ্ঞতা সার্টিফিকেট বা সনদ আপলোড করে দিতে হবে।

এইবার উপরের স্ক্রিনশটের মতো একটি ডায়ালগ বক্স আসবে। যেখানে কিছু দিকনির্দেশনা বলা আছে। দিকনির্দেশনা পড়ার পর আপনি আপনার পাসপোর্টটি স্ক্যান করে দিন। তার জন্য পাসপোর্ট স্ক্যান করুন বাটনে ক্লিক করুন।

আপনার যদি পাসপোর্ট কপির স্ক্যান কপিটি আগে থেকে আপনার মোবাইলে সেভ করা থাকে তাহলে গ্যালারি অপশনে ক্লিক করুন আর যদি না থেকে থাকে তাহলে ক্যামেরা অপশনে ক্লিক করুন। আমি বলবো আগে থেকে পাসপোর্ট কপি স্ক্যান করে মোবাইলে রাখলে ভালো হয়। (আর মনে রাখবেন অবশ্যই আপনার পাসপোর্ট এর যে পাতায় আপনার সকল ইনফরমেশন দেওয়া আছে সেটিই শুধুমাত্র স্ক্যান করবেন।)

পাসপোর্ট তথ্য পূরণ, পাসপোর্ট কপি স্ক্যান করার পর বা গ্যালারি থেকে নেওয়ার পর অটোমেটিকভাবে আপনার বেসিক ডাটাগুলো পূরণ হয়ে যাবে। আর যেগুলো পূরণ হবে না সেগুলো আপনাকে পাসপোর্ট দেখে দেখে হুবুহু তুলতে হবে। এখানে আপনার নাম, পাসপোর্ট নম্বর, পাসপোর্ট প্রদানের তারিখ, পাসপোর্ট মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, জন্মস্থান, জন্ম তারিখ ও পুরুষ নাকি মহিলা তা সঠিকভাবে পূরণ করুন। সঠিকভাবে পূরণ করার পর পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।

ব্যক্তিগত তথ্য পূরণ, এখানে পিতার নাম, মাতার নাম, বৈবাহিক অবস্থা, ধর্ম, উচ্চতা ও ওজন এর তথ্য পূরণ করতে হবে। উল্লেখ্য আপনি যদি বিবাহিত সিলেক্ট করেন তাহলে আপনি পুরুষ হয়ে থাকলে আপনার স্ত্রীর নাম লিখতে হবে আর মহিলা হয়ে থাকলে স্বামীর নাম লিখতে হবে। সবকিছু সঠিকভাবে পূরণ হওয়ার পর পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।

যোগাযোগের তথ্য পূরণ, এখন আপনাকে আপনার যোগাযোগের বিষয় যুক্ত করতে হবে এর জন্য মোবাইল নম্বর, ইমেইল, স্থায়ী ঠিকানা সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। সঠিকভাবে পূরণ করার পর পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন। উল্লেখ্য আপনার যদি ডাক ঠিকানা স্থায়ী ঠিকানার সালে মিল থাকে তাহলে আমার ডাক ঠিকানা একই এর পাশে টিকমার্ক দিবেন আর না থাকলে টিকমার্ক উঠিয়ে দিবেন।

নমিনির তথ্য পূরণ, আপনাকে এইবার আপনার নমিনির পরিচয় পূরণ করতে হবে এর জন্য প্রথমে নমিনির সাথে সম্পর্ক, নমিনির নাম, নমিনির জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, নমিনির মোবাইল নম্বর, নমিনির পিতার নাম নমিনির মাতার নাম সঠিকভাবে পূরণ করুন এবং পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন। উল্লেখ্য আপনার ঠিকানা এবং নমিনির ঠিকানা যদি এক হয় তাহলে নমিনির ঠিকানা আমার স্থায়ী ঠিকানার মতো লেখাটির পাশে টিকমার্ক দিন। আর এক না হলে টিকমার্ক উঠিয়ে দিন এবং নমিনির ঠিকানা লিখুন।

জরুরী যোগাযোগ এর তথ্য পূরণ, যদি কোনো কারণে আপনার বিষয়ে আপনি ছাড়া অন্য কারো সাথে যোগাযোগ করার প্রয়োজন পড়ে এর জন্য তার তথ্য পূরণ করতে হবে। এখানে আপনাকে সম্পর্ক, নাম ও মোবাইল নম্বর যুক্ত করতে হবে। যুক্ত করার পর পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।

শিক্ষাগত যোগ্যতার বিবরণ এর তথ্য পূরণ, আপনি যদি পড়ালেখা করে থাকেন তাহলে কতটুকু করেছেন তা উল্লেখ করুন এবং পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন। আপনি যদি একাধিক সার্টিফিকেট অর্জন করে থাকেন বা একাধিক ডিগ্রি অর্জন করে থাকেন তাহলে আরো যোগ করুন বাটনে ক্লিক করে যুক্ত করে নিতে পারেন।

ভাষাগত দক্ষতার তথ্য পূরণ, আপনি কোন কোন ভাষা পারেন তা উল্লেখ করুন। আপনার একাধিক ভাষার উপর দক্ষতা থেকে থাকলে আরো যোগ করুন বাটনে ক্লিক করুন এবং ভাষা যুক্ত করে নিন। তারপর পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।

এইবার আপনার পাসপোর্ট ভেরিফাই করার পালা। তাই ঠিক উপরের স্ক্রিনশটের মতো এইরকম একটি ডায়ালগ বক্স দেখতে পাবেন এখানে আপনি ঠিক আছে বাটনে ক্লিক করুন। যেখানে বলা আছে যে আপনার পাসপোর্টটি তারা ভেরিফাই করবেন এই ভেরিফাই করার প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হতে প্রায় ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। যদিও এটি সাথে সাথে ভেরিফাই হয়ে যাবে।

ভেরিফিকেশন এবং পেমেন্ট, এই ধাপে আপনাকে আপনার পাসপোর্ট ভেরিফাই হওয়ার পর নিবন্ধন সম্পন্ন করার জন্য পেমেন্ট করতে হবে। এর জন্য পেমেন্ট করুন বাটনে ক্লিক করুন। উল্লেখ্য আপনি যখনি পেমেন্ট করে ফেলবেন তখনি আপনার নিবন্ধন সম্পন্ন এবং কনফার্ম হয়ে যাবে৷ আর একবার যদি কনফার্ম করে পেলেন তাহলে তা আর এডিট করার কোনো অপশন থাকবে না৷ তাই পেমেন্ট করার আগে ভালো করে আপনি যে ডাটা ইনপুট দিয়েছেন তা যাচাই করে নিন।

পেমেন্ট করুন বাটনে ক্লিক করার পর উপরের স্ক্রিনশটের মতো পেমেন্ট করার দুইটি মাধ্যম আসবে একটি হচ্ছে নগদ আরেকটি হচ্ছে বিকাশ। এই দুইটি মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে আপনি পেমেন্ট করতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে আগে থেকেই যে মাধ্যমে টাকা পেমেন্ট করবেন সে মাধ্যমে ৩০০ টাকা জমা রাখতে হবে। আপনি আপনার পছন্দের পেমেন্টের মাধ্যমটি সিলেক্ট করুন।

ধরুন আমরা বিকাশ এর মাধ্যমে পেমেন্ট করবো তাই সেটিতে ক্লিক বা ট্যাপ করলাম। ট্যাপ করার পর উপরের স্ক্রিনশটের মতো আসবে। এইবার এখানে যে বিকাশ নম্বর দিয়ে পেমেন্ট করবেন সেটির নম্বর লিখুন এবং পিন দিয়ে পেমেন্ট পরিশোধ করুন।

পেমেন্ট প্রদান করার পর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন আপনার ডাটাগুলি লোড নিতে কিছু সময় নিবে। তারপর দেখবেন উপরের স্ক্রিনশটের মতো আপনার বিএমইটি রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন হয়েছে এবং স্মার্ট কার্ডটি হাতে পেতে ৪৮ ঘণ্টার মতো সময় লাগবে এই মর্মে একটি ডায়ালগ বক্স আসবে এখানে আপনাকে ঠিক আছে বাটনে ক্লিক করতে হবে তাই ক্লিক করুন।

তারপর উপরের স্ক্রিনশটের মতো আসবে যেখানে দেখা যাচ্ছে আপনার বিএমইটি নিবন্ধন সম্পন্ন হয়ে গেছে এখানে আপনাকে এখন সম্পন্ন বাটনে ক্লিক করতে হবে তাহলেই আপনার নিবন্ধন করার সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। আর এইরকমভাবে মূলত আপনাকে বিদেশ যাওয়ার পূর্বে বিএমইটি রেজিষ্ট্রেশন করে নিতে হবে বা পারবেন। আপনার বিএমইটি স্মার্ট কার্ডটি ৪৮ ঘণ্টা পর বিএমএইটি অফিসে যোগাযোগ করে সংগ্রহ করতে পারবেন। যদিও এই কাজটি এজেন্সি করে থাকে।

বিএমইটি নিবন্ধন এর ফিঃ

আপনি যদি নিজে নিজে আমি প্রবাসী অ্যাপে বিএমইটি রেজিষ্ট্রেশন করেন তাহলে আপনাকে ফি বাবদ মাত্র ৩০০/- টাকা পরিশোধ করতে হবে। আর আপনি যদি নিজে আমি প্রবাসী অ্যাপে নিবন্ধন না করে সরাসরি বিএমইটি অফিসে গিয়ে নিবন্ধন করেন তবে সেক্ষেত্রে আপনাকে নিবন্ধন ফি বাবদ ২০০/- টাকা পরিশোধ করতে হবে।

আপনাদের সুবিধার্থে আমি আমার টিপস এন্ড ট্রিকসগুলি ভিডিও আকারে শেয়ার করার জন্য একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করেছি। আশা করি চ্যানেলটি Subscribe করবেন।

সৌজন্যে : বাংলাদেশের জনপ্রিয় এবং বর্তমান সময়ের বাংলা ভাষায় সকল গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ক টিউটোরিয়াল সাইট – www.TutorialBD71.blogspot.com নিত্যনতুন বিভিন্ন বিষয়ে টিউটোরিয়াল পেতে সাইটটিতে সবসময় ভিজিট করুন।

Exit mobile version