বাংলাদেশে সরকার সাধারণ নাগরিকদের পাশাপাশি প্রতিবন্ধী নাগরিকদের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষে ২০০১ সালে সর্বপ্রথম আইন পাশ করে। ঐ আইনের আওতায় ২০০৫-৬ থেকে প্রতিবন্ধী ব্যাক্তিদের জন্য সরকারিভাবে ভাতা প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়। আর তখন থেকেই মূলত প্রতিবন্ধী ব্যাক্তিদের ভাতা প্রদানের বিষয়টি চলে আসতেছে। প্রতি অর্থ বছরই প্রতিবন্ধী ব্যাক্তিদের ভাতা প্রদানের জন্য নিবন্ধন কার্যক্রম চালু করা হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে ২০২২-২৩ অর্থ বছরেও এই নিবন্ধন কার্যক্রম চলতেছে। এখন এই প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য আবেদন করতে আপনার কি কি যোগ্যতা থাকা লাগবে এবং কিভাবে এর জন্য আবেদন করবেন তা নিয়েই মূলত আমার আজকের এই টপিক।
প্রতিবন্ধী ভাতার আবেদনের বিজ্ঞপ্তিঃ
গত ২৭শে জুলাই ২০২২ইং তারিখে বাংলাদেশ সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে “২০২২-২৩ অর্থ বছরে বর্ধিত কোটায় প্রতিবন্ধী ভাতার অর্থ G2P পদ্ধতিতে পরিশোধের নিমিত্ত অনলাইনে আবেদন গ্রহণ, উপকারভোগী নির্বাচন ও ভাতা প্রদানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ” নামক বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। যাতে একজন প্রতিবন্ধীকে প্রতিবন্ধী ভাতা পাওয়ার জন্য আবেদন করতে বলা হয়।
প্রতিবন্ধী ভাতার আবেদন করার যোগ্যতাঃ
- যেকোনো এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে;
- প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন, ২০১৩ অনুযায়ী সমাজসেবা কার্যালয় হতে নিবন্ধন ও পরিচয়পত্র গ্রহণ করতে হবে। অর্থাৎ আপনার একটি প্রতিবন্ধী আইডি কার্ড থাকতে হবে (এর একটি নমুনা আমি নিচে দিয়ে দিবো);
- আপনাকে অবশ্যই একজন অবশ্যই প্রতিবন্ধী হতে হবে;
- বাছাই কমিটি কর্তৃক নির্বাচিত হতে হবে।
প্রতিবন্ধী ভাতার আবেদন করার অযোগ্যতাঃ
- সরকারি কর্মচারী হলে কিংবা সরকারি কর্মচারী হিসেবে পেনশনভোগী হলে;
- অন্য কোনভাবে নিয়মিত সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত হলে;
- কোন বেসরকারি সংস্থা/সমাজকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান হতে নিয়মিতভাবে আর্থিক অনুদানপ্রাপ্ত হলে।
প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য আবেদন করার পদ্ধতিঃ
আপনি যদি একজন প্রতিবন্ধী হন এবং উপরোল্লিখিত শর্তগুলি পূরণ করতে পারেন তাহলেই আবেদন করতে পারেন। অন্যথায় আবেদন করতে পারবেন না বা আবেদন করে লাভ নেই। শর্তাবলী পূরণ করতে পারলে আপনাকে ভাতা পাওয়ার জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হবে। অনলাইনে কিভাবে আবেদন করবেন তা দেখতে নিচের স্ক্রিনশট ও লেখা ভালো খেয়াল করুন।
প্রথমে এই https://mis.bhata.gov.bd/onlineApplication লিংকটিতে ভিজিট করুন। তারপর দেখুন ঠিক উপরের স্ক্রিনশটের মতো এসেছে। এখানে কিছু নির্দেশনাবলী দেওয়া আছে সেগুলি পড়ে নিবেন এবং তারপরে আমি বুঝেছি এখানে টিক মার্ক চিহ্ন দিয়ে আমি বুঝেছি, পরবর্তী ধাপে যান বাটনে ক্লিক করুন।
তারপর উপরের স্ক্রিনশটের মতো আসবে। এখানে কার্যক্রমের নিচের ড্রপডাউন বাটনে ক্লিক করে প্রতিবন্ধী ভাতা সিলেক্ট করে সংরক্ষণ বাটনে ক্লিক করুন।
তারপর দেখুন ঠিক উপরের স্ক্রিনশটের মতো বিশাল একটি তথ্য পূরণের ফরম চলে এসেছে। এখানে দেখতে পাচ্ছেন ফরমটিকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
প্রথম ভাগে আপনাকে ব্যাক্তিগত তথ্য যাচাই করে নিতে হবে। তা আপনি দুইভাবে করতে পারবেন একটি হচ্ছে জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে আরেকটি হচ্ছে জন্ম নিবন্ধন দিয়ে। এখান থেকে আপনি দুটোর মধ্যে যেকোনো একটি পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন। যদি জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে করতে চান তাহলে সেটি সিলেক্ট করে জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর লিখুন এবং সেটি অনুযায়ী জন্ম তারিখ লিখুন। তারপর যাচাই করুন বাটনে ক্লিক করুন। (উল্লেখ্য আপনি যদি জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে উক্ত কাজটি করেন তাহলে আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর কত সংখ্যার। যদি ১৩ সংখ্যার হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বরের আগে আপনার জন্ম সাল বসিয়ে দিবেন তাহলে সেটি ১৭ সংখ্যার হয়ে যাবে। আর যদি আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রটি স্মার্ট কার্ড হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে সেটিতে ১০ সংখ্যার নম্বর হবে। এখানে সেটিই বসিয়ে দিবেন।)
আর যদি জন্ম নিবন্ধন দিতে করতে চান তাহলে সেক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন সিলেক্ট করুন আর দেখুন সাথে সাথে উপরের স্ক্রিনশটের মতো চলে এসেছে। এখানে আপনি জন্ম নিবন্ধনের নম্বর ও সেটি অনুযায়ী জন্ম তারিখ সিলেক্ট করে দিন। তারপর আপনার নাম বাংলায় লিখুন “নাম বাংলায়” বক্সে, নাম ইংরেজিতে লিখুন “নাম ইংরেজিতে” বক্সে, মাতার নাম পিতার নাম বক্সে আপনার বাবা-মায়ের নাম লিখুন বাংলায়, মাতার নাম ইংরেজিতে পিতার নাম ইংরেজিতে এই দুইটি বক্সে আপনার বাবা-মায়ের নাম ইংরেজিতে লিখুন, স্বামী বা স্ত্রী যদি থাকে তাদের নাম বাংলায় লিখুন, জাতীয়তা বাংলাদেশী সিলেক্ট করুন, লিঙ্গ নির্বাচন করুন, ধর্ম নির্বাচন করুন এবং সর্বশেষ আপনার ছবি আপলোড করে দিন ( + ) চিহ্নতে ক্লিক করে। (উল্লেখ্য আপনি এখানে যে তথ্যগুলি পূরণ করবেন সেগুলো অবশ্যই আপনাকে আপনার প্রতীবন্ধী কার্ডের তথ্য অনুযায়ী হতে হবে। এখানে যেগুলোতে * চিহ্ন দেওয়া আছে সেগুলো আপনাকে অবশ্যই পূরণ করতে হবে। আর আপনি যে ছবিটি আপলোড করবেন সেটির সাইজ হতে হবে ২০০*২০০ পিক্সেল।)
উপরের তথ্য পূরণের কাজ সম্পন্ন হয়ে গেলে নিচের দিকে স্ক্রল করে চলে আসুন। এইবার ফরমের দ্বিতীয় ভাগ প্রতিবন্ধী ভাতা অনুযায়ী বিস্তারিত এখানে আমরা ফরম পূরণ করব। এর জন্য প্রথমে আপনি ডি আই এস নম্বরের ঘরে আপনার প্রতিবন্ধী আইডি কার্ড থেকে উক্ত কার্ডের নম্বরটি লিখুন (হাইপেনের আগ পর্যন্ত নম্বরগুলি), প্রতিবন্ধীর ধরন কোড এর জায়গায় আপনার প্রতিবন্ধী আইডি কার্ডের নম্বরের শেষে দিয়ে দেখুন হাইপেন দিয়ে একটি নম্বর লেখা আছে সেটি কত ০১ নাকি ০২ নাকি ০৩ সেটি এখানে সিলেক্ট করে দিন তারপর যাচাই করুন বাটনে ক্লিক করুন। তারপর দেখবেন স্বয়ংক্রিয়ভাবে কিছু ডাটা ফিলাপ হয়ে যাবে যদি আপনার প্রতিবন্ধী আইডি কার্ডটি সঠিক হয়। (উল্লেখ্য সার্ভারে আপনার যতটুকু ডাটা থাকবে ততটুকু এখানেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে পূরণ হবে। আর আর যদি স্বয়ংক্রিয়ভাবে না পূরণ না হয় তাহলে এখান থেকে শুধুমাত্র প্রতিবন্ধীর ধরন ডিআইএস অনু্যায়ী এর ড্রপ ডাউনে ক্লিক করে আপনি প্রতিবন্ধী কার্ড করার সময় আপনি কোন বা কি ধরনের প্রতিবন্ধী উল্লেখ করেছেন সেটি সিলেক্ট করে দিন আর যদি জানা না থাকে তাহলে আপনি যে ধরনের প্রতিবন্ধী তা উল্লেখ করে দিন। আর তারপর প্রতিবন্ধীর মাত্রা ডিআইএস অনুযায়ী সিলেক্ট করে দিন অর্থাৎ তীব্র নাকি মাঝারি নাকি মৃদু তা উল্লেখ করে দিন। বাকী অন্য তথ্যগুলো এখানে না পূরণ করলেও চলবে। আর যদি আপনি পূরণ করতে চান তাহলেও কোনো সমস্যা নাই আরো ভালো হবে।)
এইবার আমরা ফরমের তৃতীয় ভাগ পূরণের কাজ করব। এর জন্য বর্তমান ঠিকানার বিভাগ, জেলা, অবস্থান (ইউনিয়ন নাকি সিটি কর্পোরেশন নাকি পৌরসভা), পোস্ট কোড, গ্রাম বা বাড়ি নং, মোবাইল নম্বর (অবশ্যই মোবাইল ব্যাংকিং নম্বর হতে হবে), মোবাইলের মালিকানা (অর্থাৎ উক্ত মোবাইল নম্বর যিনি ব্যবহার করেন। উপকারভোগীর নিজের, পরিবারের সদস্যদের, নিকট আত্মীয়ের, অন্য ব্যাক্তি, মোবাইল নাই। মনে রাখবেন অবশ্যই মোবাইলের নাই এটি সিলেক্ট করা যাবে না।) আর এইবার স্থায়ী ঠিকানা পূরণ করার পালা। যদি আপনার বর্তমান ঠিকানার সাথে স্থায়ী ঠিকানা ঠিক থাকে তাহলে একই ঠিকানা এর বক্সে টিকমার্ক দিন। আর যদি ঠিক না থাকে তাহলে সবগুলি পূরণ করে দিন। এরপর আপনার যদি ইমেইল অ্যাড্রেস থাকে সেটিও চাইলে পূরণ করতে পারেন না করলেও সমস্যা নাই। এইবার আপনার আবেদনের কার্যক্রম শেষ করার পালা। তবে শেষ করার আগে ভালো করে পুরো ফরমটির পূরণ করার তথ্যগুলি আবার দেখে নিন। তারপর সব ঠিকঠাক থাকলে সংরক্ষণ বাটনে ক্লিক করুন। (উল্লেখ্য মোবাইল নম্বরের ঘরে আপনি যখন মোবাইল নম্বর পূরণ করবেন তখন সেটি যাতে বিকাশ বা রকেট মোবাইল ব্যাংকিং এর মধ্যে রেজিস্ট্রেশন করা হয়ে থাকে। কারণ এটিতেই পরবর্তী আপনাকে ভাতার টাকা প্রদান করা হবে। তবে মনে রাখবেন আপনার জেলায় এই দুটির মধ্যে কোন মোবাইল ব্যাংকিং এর মধ্যে ভাতা প্রদান করা হয় সেটা আপনাকে আগে জেনে নিতে হবে। সেটা জানার জন্য আপনার জেলা বা উপজেলার সমাজসেবা অধিদপ্তরের অফিসে গিয়ে যোগাযোগ করে জেনে নিতে পারবেন যে বিকাশে নাকি নগদে ভাতা প্রদান করা হয়। তাহলে আপনি আবেদন করার সময় যে নম্বরে যে অ্যাকাউন্ট রয়েছে সেটি আবেদনের সময় বসিয়ে দিতে পারবেন।)
সংরক্ষণ বাটনে ক্লিক করার পর উপরের স্ক্রিনশটের মতো একটি “আপনার আবেদনটি সফলভাবে গৃহীত হয়েছে” এই মর্মে একটি বার্তা বা ম্যাসেজ সম্বলিত পপআপ উইন্ডো চলে আসবে। যেখানে আমরা দুটি বাটন দেখতে পাচ্ছি। একটি হচ্ছে প্রিন্ট করার বাটন আর আরেকটি হচ্ছে বন্ধ করার বাটন। তো আমরা অবশ্যই এখান থেকে প্রিন্ট বাটনে ক্লিক করব। কারণ উক্ত আবেদন কপিটি আমাদের প্রিন্ট করে সংরক্ষণ করে রাখতে হবে। আবদেনটি সংরক্ষণ করার জন্য প্রিন্ট বাটনে ক্লিক করুন।
আর দেখুন উপরের স্ক্রিনশটের মতো প্রিন্ট অপশন চলে আসবে। এখন আপনার যদি কম্পিউটারে প্রিন্টার যুক্ত করা থাকে তাহলে প্রিন্ট করে নিন। আর না থাকলে এটিকে পিডিএফ আকারে আপনার কম্পিউটারে সেভ করে নিন এবং আপনার সুবিধামত প্রিন্ট করে নিন। আর এইভাবেই আপনি আপনার প্রতিবন্ধী ভাতা পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
আবেদন করার পর করণীয়ঃ
প্রতিবন্ধী ভাতা পাওয়ার জন্য অনলাইনে আবেদন করার পরই কিন্তু আপনার কাজ শেষ নয়৷ এর পরে আরও বেশকিছু কাজ রয়েছে সেগুলি সম্পন্ন করার পরই আপনার আবেদনের কার্যক্রম সম্পন্ন হবে। সম্পন্ন করতে আপনাকে নিম্নোক্ত পয়েন্টগুলি অনুযায়ী কাজ করতে হবে। তারপর সেগুলি আপনার জেলা বা উপজেলা বা নিকটস্থ সমাজসেবা অধিদপ্তরে গিয়ে জমা দিয়ে আসতে হবে। তাহলেই আপনার আবেদন সম্পন্ন হবে।
- অনলাইন আবেদন সম্পূর্ণ করার পর আবেদন কপিটি প্রিন্ট করুন,
- আবদেন কপিটি দুই সেট বা ফটোকপি করুন,
- আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম নিবন্ধনের দুই সেট বা ফটোকপি করুন,
- চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট বা নাগরিক সনদ এর দুউ সেট বা ফটোকপি করুন,
- আপনার দুই কপি ছবি তুলুন।
প্রতিবন্ধী ভাতা আবেদনকারীকে অগ্রাধীকারঃ
- আপনাকে অবশ্যই প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন, ২০১৩ এর সংজ্ঞানুযায়ী প্রতিবন্ধী হতে হবে;
- বাছাইকালে আপনার পরিবারের আর্থ-সামাজিক অবস্থা বিবেচনা করা হবে;
- ভাতা প্রদানের ক্ষেত্রে বৃদ্ধ/বৃদ্ধা প্রতিবন্ধীদের অগ্রাধিকার প্রদান করা হবে;
- ভূমিহীন ও গৃহহীন প্রতিবন্ধীগণ ভাতা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার লাভ করবে;
- নারী প্রতিবন্ধীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে;
- বহুমাত্রিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে;
- নতুন ভাতাভোগী মনোনয়নে অধিকতর দারিদ্রপীড়িত ও অপেক্ষাকৃত পশ্চাদপদ বা দূরবর্তী এলাকাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।
- চিকিৎসার লক্ষ্যে গরীব মানসিক/অটিস্টিক প্রতিবন্ধী শিশু এবং সম্পূর্ণ দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
প্রতিবন্ধী ভাতা প্রদান পরিসংখ্যানঃ
যদিও সর্বপ্রথম প্রতিবন্ধী ব্যাক্তিদের উদ্দেশ্যে ২০০১ সালে আইন বা খসড়া তৈরি করা হয়। তবে ২০০৫-৬ অর্থ বছর থেকে মূলত প্রতিবন্ধী ব্যাক্তিদের ভাতা প্রদান করা শুরু হয়েছে। এই ভাতার আওতায় প্রথমে ১ লক্ষ ৪ জন প্রতিবন্ধী ব্যাক্তি ছিলেন। আর বর্তমানে ২৩ লক্ষ ৬৫ হাজার প্রতিবন্ধী ব্যাক্তি উক্ত ভাতার আওতায় আছেন। শুরুতে একজন প্রতিবন্ধী ব্যাক্তি ২০০ টাকা করে প্রতি মাসে ভাতা পেতেন। বর্তমানে একজন প্রতিবন্ধী ব্যাক্তি প্রতি মাসে ৮৫০ টাকা করে ভাতা পাচ্ছেন। ভবিষ্যতে আরো বাড়বে বলে আশা করা যায়। বর্তমান ভাতার পরিমাণ অনুযায়ী আপনি বছরে প্রায় ১০,২০০ টাকা ভাতা পাচ্ছেন।
ভাতা প্রদানের শুরুর সময়ঃ
ভাতা প্রদানের শুরুর সময় ধরা হয়েছে পহেলা জুলাই ২০২২ইং থেকে। আপনি হয়তো বলতে পারেন এখন চলতেছে আগস্ট মাস জুলাইতো অনেক আগেই চলে গিয়েছে। হুম তা ঠিক তবে আপনি যদি প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য মনোনীত হন তাহলে আপনাকে পিছনের যতগুলো মাস যাবে সেগুলোর প্রত্যেকটির মাসিক হারে টাকা আপনাকে একবারে দিয়ে দেওয়া হবে।
আবেদনের শেষ তারিখঃ
উক্ত প্রতিবন্ধী ভাতার আবেদনের সময়কাল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রায় এক মাস দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী আগামী ১০ই সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখ পর্যন্ত আপনি আবেদন করতে পারবেন।
সতর্কীকরণঃ
প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য আবেদন করতে আপনার অবশ্যই আগে থেকে প্রতিবন্ধী আইডি কার্ড থাকতে হবে। অন্যথায় আপনি কিন্তু এখনে আবেদন করতে পারবেন না। তাই আপনার যদি এখনো কোনো প্রতিবন্ধী আইডি কার্ড না থেকে থাকে তাহলে অতি দ্রুত তা তৈরি করে নিন। প্রতিবন্ধী আইডি কার্ড দেখতে ঠিক নিচের ছবির মতো দেখাবে।
আর এই ছিলো মূলত আমার প্রতিবন্ধী ভাই বোনদের জন্য আজকের এই টপিক। আশা করি আজকের এই টপিকের মাধ্যমে আপনাদের সামান্য হলেও উপকার হবে। সকল সুস্থ ও সাবলম্বী ভিজিটরদের কাছে আমার অনুরোধ আপনি আপনার নিকটতম প্রতিবন্ধী ব্যাক্তিদের উক্ত বিষয়ে আপনার নিজ দায়িত্বে অবহিত করুন এতে করে তারা বা তাদের পরিবার উপকৃত হবে।
আপনাদের সুবিধার্থে আমি আমার টিপস এন্ড ট্রিকসগুলি ভিডিও আকারে শেয়ার করার জন্য একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করেছি। আশা করি চ্যানেলটি Subscribe করবেন।
সৌজন্যে : বাংলাদেশের জনপ্রিয় এবং বর্তমান সময়ের বাংলা ভাষায় সকল গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ক টিউটোরিয়াল সাইট – www.TutorialBD71.blogspot.com নিত্যনতুন বিভিন্ন বিষয়ে টিউটোরিয়াল পেতে সাইটটিতে সবসময় ভিজিট করুন।