Site icon Trickbd.com

iPhone, iPAD Jailbreaking কি ? এটার কি কি সুবিধা এবং অসুবিধা আছে ?

Unnamed

আসসালামুয়ালাইকুম ! TrickBD তে সবাইকে স্বাগতম। কোনো ভুল হলে দয়া করে ক্ষমা করবেন। বেশি কথা না বলে শুরু করছি।

আমি সোহাগ আবারো হাজির হলাম আপনাদের মাঝে অন্য একটি পোষ্টে, আজকের পোস্ট শুরু করা যাক !

আজকের পোস্টে আমি আলোচনা করবো Jailbreaking এর ব্যাপারে। Jailbreaking কি ? Jailbreaking এর লাভ এবং লস কি ?

যদি আপনি একজন iPhone, iPAD ইউজার হয়ে থাকেন বা আপনার কাছে যদি আইফোন থাকে আর আপনি টেকনোলজি এবং ইন্টারনেটের সাথে জুড়ে রয়েছেন তাহলে আপনি কখনো না কখনো আইফোনে Jailbreaking এর শুনেছেন।

এখন এই অবস্থায় হয়তো আপনি জানেন না যে Jailbreaking কি ? Jailbreaking এর Advantages এবং Disadvantages কি কি ? আজকে সেটাই জানতে পারবেন।

সবার প্রথমে জানা যাক যে এই Jailbreaking কি ? তাহলে বলি যে Jailbreaking হলো এমন একটা Process যার মাধ্যমে আপনি iPhone এর যতগুলো Restriction রয়েছে সেগুলো Break করতে পারবেন মানে সেই সব বাঁধা ভেঙ্গে ফেলতে পারবেন।

যেমনঃ আইফোনে আপনি বাইরে থেকে কোনো অ্যাপস ডাউনলোড করতে পারেন না। যদি আপনার আইফোনে কোনো অ্যাপস ডাউনলোড করার দরকার হয় তো সেই সব আপনাকে App Store থেকেই ডাউনলোড করতে হবে। যেটা আইফোনের নিজস্ব অ্যাপ স্টোর।

দ্বিতীয়ত, যদি আপনি ইন্টারনেট থেকে কোনো ভিডিও ডাউনলোড করতে চান, কোনো গান ডাউনলোড করতে চান, কোনো ফাইল শেয়ার করতে চান অন্য কোনো এন্ড্রয়েড ফোনের সাথে, তো এসব আপনি করতে পারবেন না। ইত্যাদি।

যখন‌ই আপনি আপনার আইফোনে Jailbreaking করবেন তারপর একটা অ্যাপ্লিকেশন ইনস্টল হয়ে যাবে। যার নামঃ Cydia

যেভাবে আমরা এন্ড্রয়েড ফোন রুট করি এবং রুট করার পর যেভাবে Super User নামে একটা অ্যাপ ইন্সটল হয়ে যায়।

ঠিক এভাবেই যদি আপনার আইফোনে Jailbreaking করেন তাহলে তো তখন সেখানে Automatically Cydia Application Install হয়ে যাবে। Cydia এর সাহায্যে আপনি আপনার আইফোন কে Tweak করতে পারবেন বা Automatically Customize করতে পারবেন।

এরপর আপনি বাইরে থেকে ইচ্ছা মতো অ্যাপ ডাউনলোড করতে পারবেন। আপনি আপনার আইফোনের থিম চেন্জ করতে পারবেন, নোটিফিকেশন প্যানেল চেন্জ করতে পারবেন, একদিক থেকে বলা যেতে পারে আপনি আপনার আইফোনে যেকোনো কিছু চেন্জ করতে পারবেন।

মানে আপনি আপনার আইফোন কে Super Access দিতে পারবেন, আপনার আইফোনে প্রয়োজন মতো পরিবর্তন আনতে পারবেন যেটা Apple Restricted করে রেখেছিলো। এবার এই Jailbreaking এর সুবিধা এবং অসুবিধা সম্পর্কে জানা যাক।

Advantages of Jailbreaking

• Jailbreaking এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো আপনি আপনার আইফোন কে Tweak করতে পারবেন।

• আপনি আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী কাস্টমাইজ করতে পারবেন।

• আপনি কোনো প্রকার Restrictions ছাড়াই ইন্টারনেট থেকে যেকোনো কিছু ডাউনলোড করতে পারবেন।

• Check File Manager – আইফোনে ফাইল ম্যানেজার চেক করতে পারেন না। কিন্তু Jailbreaking করার পর আপনি আপনি সমস্ত ফাইল চেক করতে পারবেন ফাইল ম্যানেজারের মাধ্যমে।

Disadvantages of Jailbreaking

° যদি আপনি আপনার আইফোন এ Jailbreaking করেন তাহলে আপনার আইফোনের ওয়ারেন্টি শেষ হয়ে যাবে। এরকম টা বলা হয় কিন্তু হয় না। ? আপনি ইচ্ছা করলে পরে এটাকে Revert করতে পারবেন। মানে Jailbreaking সরিয়ে ফেলতে পারবেন।

° এটার দ্বিতীয় এবং সবচেয়ে বড় অসুবিধা হলো Jailbreaking করার পর আপনার আইফোনের Security অর্থাৎ নিরাপত্তা শেষ হয়ে যাবে। যেমনটা আপনি জানেন যে আইফোন কে খুব Secure Device মানা হয় তো Jailbreaking করার পর Apple থেকে যে সব সিকিউরিটি দেওয়া হয়েছিল সেই সব নষ্ট হয়ে যাবে।

যার কারণে আপনার আইফোন কে কেউ হ্যাক করতে পারে, আপনার আইফোনে কেউ ভাইরাস পাঠাতে পারে, অথবা যেকোনো থার্ড পার্টি অ্যাপ্লিকেশন অটোমেটিক ইন্সটল হতে পারে।

তো এসব হলে Jailbreaking এর Advantages এবং Disadvantages… এখন যদি আপনি আপনার আইফোন কে Jailbreaking করতে চান তাহলে আপনি Google এ How to jailbreak my iphone লিখার পর আপনার আইফোনের মডেল লিখে সার্চ করুন।

এই ছিলো আইফোনের জেইলব্রেকিং নিয়ে কিছু কথা। আশা করছি এবার আপনি কিছুটা হলেও ধারণা পেয়েছেন।

আরও পড়ুনঃ টিকটক ভিডিও কিভাবে বানাবো l টিকটক থেকে টাকা ইনকাম এর উপায় – ২০২২

আরও পড়ুনঃ How to Unlock Facebook account

এই পোষ্ট এতটুকুই ! এতক্ষণ সময় নিয়ে পোস্ট পড়ার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সবাই, আল্লাহ হাফেজ। ?

কোনো সমস্যা অথবা কোনো প্রয়োজন হলে আমার Facebook I’d

Exit mobile version