Site icon Trickbd.com

শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগ। কেন শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগ করবেন Key Benefits of Investing In Stocks

Unnamed

আসসালামু আলাইকুম সবাই কেমন আছেন…..? আশা করি সবাই ভালো আছেন । আমি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি ।আসলে কেউ ভালো না থাকলে TrickBD তে ভিজিট করেনা ।তাই আপনাকে TrickBD তে আসার জন্য ধন্যবাদ ।ভালো কিছু জানতে সবাই TrickBD এর সাথেই থাকুন ।

শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগ। কেন শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগ করবেন Key Benefits of Investing In Stocks


শেয়ার বাজার সম্পর্কে আপনি হয়ত অবগত রয়েছে। শেয়ার বাজার ঝুকিপূর্ণ। আমিও আপনার সাথে একমত। আপনি যদি সঠিক সময় সঠিক কোম্পানির শেয়ার কিনতে পারেন যুকি কিছুটা এরিয়ে যেতে পারবেন। শেয়ার বাজার সম্পর্কে নেগেটিভ ধারণা এতটাই বেশি যা বলে শেষ করা যাবে না। আমি আজকে ঐ দিকে যাচ্ছি না। শেয়ার বাজারের নেগেটিভ ধারণা কাঁধে না নিয়ে চলুন পজিটিভ ধারনা নিয়ে আলোচনা করি।

শেয়ার বাজার বা শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগ করার অনেক কারন রয়েছে। আমাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের অনেক মাধ্যম রয়েছে, যেমন ব্যাংক, পোস্ট অফিস, ইনসুরেন্স, আর্থিক প্রতিষ্টান ইত্যাদি। এই সব প্রতিষ্টানে টাকা রাখলে আপনি নিদিষ্ট সময় পর সুদ সমেত আসল টাকা ফেরত পাবেন।

অন্য দিকে শেয়ার বাজারে টাকা বিনিয়োগ করলে আপনি বছরে বা মাসে কত টাকা আয় করবেন তার কোন নিদিষ্ট এমাউন্ট বলা যায় না, তবে টাকার সাথে সাহস, বুদ্ধী, মেধা এবং সময় বিনিয়োগ করলে ঐ সব প্রতিষ্ঠানের থেকে বরং অনেক ভালো টাকা লাভ করা যায়। এটা গেল একটা বিষয়।

এবার আসুন শেয়ার বাজার সম্পর্কে আরো কিছু মজার বিষয় খুঁজে বের করি যাতে করে শেয়ার বাজারে আপনি বিনিয়োগ করতে কিছুটা ইন্টারেস্ট ফিল করতে পারেন।

১. টাকা বাকি নেই।

খুব কম ব্যবসা আছে যেখানে টাকা বাকি থাকে না। শেয়ার মার্কেটে টাকা বাকি এই কথা আপনার কখনোই শুনতে হবে না। শেয়ার বাই বা সেল যাই করেন সব নগদ। একটা শেয়ার কিনা মানে আপনার একাউন্ট থেকে অটোমেটিক সিস্টেম টাকা পরিশোধ হয়ে যাবে। একইভাবে একটা শেয়ার বিক্রি মানে অটোমেটিক সিস্টেম আপনার একাউন্টে টাকা চলে আসবে।

২. কোন জায়গা বা অফিস স্পেস লাগে না।

আপনি শেয়ার মার্কেটে ব্যবসা করবে যেখানে কোন অফিস বা জায়গায় প্রয়োজন হয় না। অপর দিকে কোন ব্যবসায় অফিস বা দোকান ছাড়া আপনি ব্যবসা করতে পারবেন না। তাহলে আপনার বছরে কত টাকা সেভ হবে ভেবে দেখেছেন। তবে প্রতি বছর আপনার বিও একাউন্ট সচল রাখার জন্য মাত্র ৪৫০ টাকা ফি দিতে হবে।

৩. শেয়ার ব্যবসায় কোন কাচামাল লাগে না।

আমাদের দেশে চলমান যে কয়েকটি উৎপাদনশীল ব্যবসা রয়েছে তাদের কোননা কোন কাচামালের দরকার হয়। অপর দিকে শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগে এসব কিছুই নেই। তাছাড়া শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগ করলে আপনার কোন লোকবলের প্রয়োজন হবে না। আপনি নিজেই আপনার বিনিয়োগ সামলাতে পারবেন যেখানে অন্য ব্যবসায় লোকবল ছাড়া আপনি চলতেই পারবেন না।

৪. চাকরি বা অন্য ব্যবসার পাশাপাশি শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগ করা যায়।

ওয়ারেন্ট ভ্যাফেটের মতে কখনো একক আয়ের মাধ্যম বেছে নেওয়া ঠিক না। যে কেউ চাইলে চাকরি বা ব্যবসার পাশাপাশি শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগ করে দ্বিতীয় আয়ের পথ বের করতে পারে তবে এক্ষেত্রে জেনে এবং বুঝে বিনিয়োগ করতে হবে।

৫. আপনার ক্রয়কৃত শেয়ার নষ্ট হয়ে যাবে না।

বহু ব্যবসায় পণ্য যদি বিক্রি না হয় সেক্ষেত্রে পণ্য নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভব না থাকে। এমনকি আপনার পণ্য চুরি হয়ে যাওয়া বা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। অন্য দিকে শেয়ার বাজারে এরকম যুকি বা রিক্স নেই।

৬. গ্রামগঞ্জ বা বিদেশে থেকেও শেয়ার ব্যবসা করা যায়।

আপনার আপনার বেডরুমে বসে ইন্টারনেটের মাধ্যমে মোবাইল ট্রেড করে অনায়াসে লক্ষ্য লক্ষ্য টাকা ট্রেড করতে পারবেন।

৭. কারো কাছে জবাব দিহিতা নেই।

আপনি যদি একটি স্বাধীন আয়ের উৎস খুঁজে থাকেন। আপনি যদি স্বাধীনভাবে টাকা আয় করা মাধ্যমে খুঁজে থাকেন তাহলে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করা সর্ব উত্তম হতে পারে। কোন কোম্পানির শেয়ার কিনবেন বা কোন কোম্পানির শেয়ার বিক্রি করবেন সিদ্ধান্ত একান্ত আপনি নিজেই নিবেন।

৮. এটি একটি নবাবী ব্যবসা।

সকাল ১০ থেকে দুপুর ২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত মার্কেট খুলা থাকে। আমার জানা নেই আমাদের বাংলাদেশে এমন কোন ব্যবসা বা চাকরি আছে কিনা যেটাতে এতো কম সময় দিতে হয়। তাই এই ব্যবসাকে নবাবী ব্যবসা বললে কি খুব বেশি ভুল হবে।

৯. লাভ ও রিস্ক দুইটাই বেশি।

শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগ করলে আপনার লাভ এবং রিস্ক দুইটাই থাকে। তবে সঠিক সময় সঠিক কোম্পানির শেয়ার কিনতে পারলে রিস্ক কিছুটা এরিয়ে ভালো টাকা আয় করা যায়। আজকে এ পর্যন্তই সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবে আল্লাহ হাফেজ।

আপনার ওয়েবসাইটের জন্য আর্টিকেল প্রয়োজন হলে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন ফেসবুকে আমি

Exit mobile version