আসসালামু আলাইকুম সবাই কেমন আছেন…..? আশা করি সবাই ভালো আছেন । আমি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি ।আসলে কেউ ভালো না থাকলে TrickBD তে ভিজিট করেনা ।তাই আপনাকে TrickBD তে আসার জন্য ধন্যবাদ ।ভালো কিছু জানতে সবাই TrickBD এর সাথেই থাকুন ।
আপনি ধনী হতে চাচ্ছেন কিন্তু ধনী হতে পারছেন না। এই ৫ টি অভ্যাস আপনার ধনী হতে বাধা দিচ্ছে
আপনার ভাগ্যে কি আছে সেটা আপনি জানেন না। ধনী মানুষ এবং গরিব মানুষ সমাজে দুটোই রয়েছে। আমি এই আর্টিকেলে শুরু করার আগে একটা বিষয় বলে নিচ্ছি যে কোনো গরিব ব্যক্তির সাথে আমার কোন শত্রুতা নেই কিংবা আমি কোনো গরিব ব্যক্তিকে অপছন্দ করি না। আমার কাছে যেটা অপছন্দ সেটা হচ্ছে গরিব মেন্টালিটি। গরিব মেন্টালিটির কারণে আমি আমার লাইফের ২১ বছর অনেক কষ্ট করেছি। কারণ আমার বাবা মা ছিলেন গরীব মেন্টালিটির মানুষ।
তাই তারা তাদের পুরো জীবনেও ধনী হতে পারেনি। একটা বিষয়ে আপনারা সকলে দেখবেন যে যাদের বাবা মা গরিব হয় তাদেরকে অনেক কষ্ট করে জীবন যাপন করতে হয়। আর যাদের বাবা মা অনেক ধনী হয়ে থাকে তারা অনেক সুখের জীবন
যাপন করে। তারা না চাইতে অনেক কিছু পেয়ে যায় আর আমরা অনেক কষ্ট আর চাওয়ার পরেও সেই জিনিস গুলো পাই
না।
তো আজকের আর্টিকেলে আমি যে পাঁচটি অভ্যাস কথা আপনাকে বলব সেই অভ্যাস গুলো ধনী হতে দিচ্ছে না। এই পাঁচটি অভ্যাস থেকে
যদি দূরে থাকতে পারেন তাহলে আপনার ধনী হওয়ার সম্ভাবনাটা অনেক গুন বেড়ে যাবে। যাই হোক চলুন তাহলে আসল টপিকটা শুরু করা যাক।
1. Sports
ধনী না হতে পারার প্রথম অভ্যাসটি হচ্ছে স্পোর্টস খেলা করা নয় দেখা। ঘন্টার পর ঘন্টা বসে খেলা দেখা গরিবদের অন্যতম একটি অভ্যাস হয়ে থাকে। এমন অনেক গরিব আছে যারা তাদের গুরুত্বপূর্ণ কাজ ফেলে রেখে সারাদিন ঘরে বসে খেলা দেখে এমনকি অনেকেই খাওয়া-দাওয়া বাদ দিও খেলা দেখা শুরু করে। শুধু খেলা দেখা নয় খেলা শেষ হবার পর চার থেকে পাঁচজন মিলে যে আলোচনা করে তারা সেটাও দেখে।
বাস্তবতা হচ্ছে এটাই যদি আপনি সরাসরি খেলাধুলার সাথে জড়িত না থাকেন তাহলে খেলাধুলার পেছনে এতটা সময় নষ্ট করা আপনের উচিত হয়নি। কারণ কোন ধনী ব্যক্তি ঘন্টার পর ঘন্টা টিভির সামনে বসে খেলা দেখে তার সময় নষ্ট করবে না। যদি সে কোন টিম কিনে থাকে তাহলে তাকে খেলার মাঠেই দেখা যাবে। তাছাড়া সে কখনোই খেলাধুলার পেছনে এতটা সময় নষ্ট করবেন না। খেলাধুলা করা খুব ভালো একটা অভ্যাস কিন্তু খেলাধুলা যদি আপনার পেশন না হয়ে থাকে তাহলে খেলার পেছনে এতোটা সময় নষ্ট করা
বোকামি ছাড়া আর কিছুই না।
কোটি কোটি টাকা কামিয়ে নিচ্ছে আপনার মাধ্যমে অথচ এতে আপনার কোন লাভ নেই বরং ক্ষতি আছে।
2. Television And Social Media
ধনী না হতে পারার দ্বিতীয় অভ্যাসটি হচ্ছে টেলিভিশন অ্যান্ড সোশ্যাল মিডিয়া। গরিব ব্যক্তিরা অনেক বেশি টিভি দেখে এবং অনেক বেশি সোশ্যাল মিডিয়াতে একটিভ থাকে। এমন অনেক গরীব ব্যক্তি আছে যারা দিনে ১৪ থেকে ১৮ ঘন্টা সোশ্যাল মিডিয়াতে একটিভ থাকে। তারা গরীব তাই বলে সোশ্যাল মিডিয়াতে একটিভ থাকে সেটা নয়। তারা সোশ্যাল মিডিয়াতে এত বেশি একটিভ থাকে বিধায় তারা গরিব।
কারন তাদের গুরুত্বপূর্ণ সময় গুলো আজেবাজে সোশ্যাল মিডিয়াতে স্ক্রোলিং এবং ভিডিও দেখা চ্যাটিং
করে পার করে দেয়। এতে তার কোন ইমপ্রুভ তো হয় না বরংচ আরো ক্ষতি হয়। একদিকে এমবি খরচ হয় যা টাকা দিয়ে কিনতে হয় আবার অতিরিক্ত ফোনের দিকে তাকিয়ে থাকার কারণে তার চোখের পাওয়ার কমে যায় যার ফলে দুই-তিনদিন
পর চোখ দিয়ে পানি পড়া চোখের জ্বালাপোড়া।
তারপর ডক্টর ঔষধ ইত্যাদি নানা ধরনের খরচ করতে থাকে আর অতিরিক্ত মোবাইল টিপার কারণে রাতে ঘুম ভালো হয় না। আর ঠিকমতো ঘুম না হলে শরীরে বাদে নানা ধরনের অসুখ। মোটকথা অতিরিক্ত সোশ্যাল মিডিয়া চালানো আপনার স্বাস্থ্য, সময়, ঘুম এবং টাকা সবকিছু নষ্ট করতে থাকে। যে আপনাকে ধীরে ধীরে গরীব বানাতে সাহায্য করে।
3. আড্ডা দেওয়া
ধনী না হতে পারার তৃতীয় কারণ হচ্ছে অতিরিক্ত আড্ডা দেওয়া। এটা সব গরিবদের মধ্যে কমন একটা অভ্যাস যে তারা সুযোগ পেলেই দোকানে বাসার ছাদে অথবা অন্য যে কোন জায়গায় বসে আড্ডা দিতে শুরু করে। আড্ডা দেওয়াটা যেন তাদের একটা পেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অধিকাংশ গরিবরা দোকানে বসে আড্ডা দেয় আর দোকানে বসে আড্ডা দিতে গিয়ে তার পকেট খরচ করায়।
একটা জিনিস আপনারা খেয়াল করেছেন কিনা জানিনা একটু খেয়াল করে দেখবেন যে শহর অঞ্চল গুলোতে যেখানে ধনী লোকের বসবাস করে সেখানে তেমন কোন দোকান থাকে না আড্ডা দেবার
মত। অথচ একটু নিম্নমধ্যবিত্ত এলাকাগুলোতে শত শত দোকান থাকে চায়ের আড্ডা আমার জন্য।
ওই সব এলাকা তে দেখবেন সব সময় দোকানে চায়ের আড্ডা লেগেই থাকে। তাই সময় থাকতে যদি আপনার মাঝেই অভ্যাসটি থেকে থাকে তাহলে তা বাদ দিন। কারণ কোন ধনী ব্যক্তি কখনো দোকানে বসে আড্ডা দিয়ে বাজে গল্প করে তার সময় নষ্ট করবেনা।
4. Weak And Lazy
ধনী না হতে পারা চতুর্থ অভ্যাসটি হচ্ছে গরিব লোকেরা ধনী লোকেদের থেকে অনেক বেশি দুর্বল আর অলস হয়ে থাকে। কথায় আছে অলস ব্যক্তিদের জীবনের কোন কিছু করতে পারে না কারণ অলসতা সকল অসুখের মূল। যত ধরনের ধনী ব্যক্তি আছে তারা সবাই কর্ম এবং কাজের প্রতি অনেক বেশি আগ্রহী থাকে।
তারা যেকোনো কাজ করুক না কেন অথবা যে কোন পেশা বা ব্যবসার সাথে সংযুক্ত থাকুক না কেন তারা কখনোই অলস সময় পার করে না। গরিব লোকেরা উপযুক্ত বয়স অথবা বিয়ে করার আগ পর্যন্ত অথবা সংসারের হাল ধরার আগ পর্যন্ত কোন কাজ করতে চায় না। শুধু ঘুরে ঘুরে বাবার হোটেলে খেতে চায় আর অন্যদিকে ধনী লোকেরা অল্প বয়স থেকেই কাজ করা শুরু করে। যেমনঃ বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তি ওয়ারেন বাফেট যখন কাজ করা শুরু করেছিল।
তখন তার বয়স ছিল মাত্র ১১ বছর। আপনি যেকোন ধনী ব্যক্তির জীবনী পড়ে দেখুন দেখবেন তাদের সবার মধ্যে একটা কমন বিষয় হচ্ছে তারা অল্প বয়স থেকেই অথবা লেখাপড়া শেষ হবার আগে থেকেই কাজ করা শুরু করেছে। কারণ এই সময়টায় আমাদের লাইফের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ সময় হয়ে থাকে।
অন্যদিকে গরিবরা এসময়টায়
তারা কখনোই আর ধনী হতে পারে না। কারণ এই ২০ থেকে ৩০ বছর বয়সের সময়টা আমাদের সবার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকে।
5. লোকে কি বলবে।
পঞ্চম যে অভ্যাসটি ধনী না হতে পারার কারণ তা হলো লোকে কি বলবে। গরিব লোকেরা সব সময় লোকে কি বলবে এটা চিন্তা করতে করতে সময় পার করে দেয়। যদি সে চিন্তা করে যে আমার দ্বারা পড়াশোনা হচ্ছে না অথবা আমি পড়াশোনা পারছিনা তাই আমি পড়াশোনা বাদ দিয়ে ব্যবসা করব তাহলে তার মাথায় সবার আগে আসবে যে লোকে কি বলবে।
এই বয়সে পড়াশোনা বাদ দিয়ে ব্যবসা করব বন্ধুবান্ধব কি বলবে। আত্মীয়-স্বজনরা কি বলবে। আবার অন্যদিকে গরীব বা মধ্যবিত্ত লোকেরা যে কোন কাজ করতে লজ্জা পায়। আর তারা ভাবে যে লোকে কি বলবে। লোকে কি বলবে লোকে বলবে এটা করতে করতে তাদের আর কাজ করা হয় অথচ শেষ বয়সে থেকেই তাদের এইসব কাজগুলো করতে হয়। কিন্তু সময় থাকতে শুরুতে যারা এসব
কাজ করেনা। কারন লোকের ভয়ে তারা একটু ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে থাকে।
যাই হোক এই ছিল মোটামুটি পাঁচটি অভ্যাস যাব নাকি ধনী হতে দিচ্ছে না। এই অভ্যাসগুলো থেকে যদি আপনি বিরত থাকতে পারেন তাহলে আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি আপনার ধনী হওয়ার সম্ভাবনাটা অনেক ধাপ এগিয়ে যাবে। আজকে এ পর্যন্তই সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবে আল্লাহ হাফেজ।
আপনার ওয়েবসাইটের জন্য আর্টিকেল প্রয়োজন হলে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন ফেসবুকে আমি