আসসালামু আলাইকুম সবাই কেমন আছেন…..? আশা করি সবাই ভালো আছেন । আমি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি ।আসলে কেউ ভালো না থাকলে TrickBD তে ভিজিট করেনা ।তাই আপনাকে TrickBD তে আসার জন্য ধন্যবাদ ।ভালো কিছু জানতে সবাই TrickBD এর সাথেই থাকুন ।
কি ভাই আপনার দোয়া কবুল হচ্ছে না..? আপনি আসলে দোয়া করতেই জানেন না।
দোয়া তো আমরা সবাই করি কিন্তু কারো কবুল হয় কারো কবুল হয় না। দোয়া কবুল না হওয়ার অনেক কারণ রয়েছে। আপনার আমার দোয়া আল্লাহ আরশে গিয়ে নক করে না। কারণ আপনি দোয়া করতে জানেন না। আচ্ছা আপনাদের একটা উদাহরণ দিয়ে বুঝাই। যেমন ধরেন আপনি একটা বড় কোম্পানিতে চাকরি করেন। আপনি আপনার বসকে খুশি রাখার জন্য সব কাজ করেন যেন আপনার বস আপনাকে বকাঝকা না করে আপনার প্রতি সন্তুষ্ট থাকে।
আপনার চাকরির পদোন্নতির জন্য আপনি বসকে খুশি রাখেন যা করতে বলে তাই করেন। দু চারটি কটুকথা বললেও হজম করে নেন। বস সামনে আসলে মুখে মুখে কথা বলেন না মাথা নিচু করে রাখেন। এত কিছু কিসের জন্য করেন আপনার চাকরি যেন না চলে যায়। বসের কাছে যখন ছুটি চান তখন বসেন সামনে নরম গলায় কথা বলেন। মাথা নিচু করে কথা বলেন। এতো কিছু করার পরেও আপনি আমি বসের মন জয় করতে পারি না।
একটা না একটা সমস্যা বস দেখাবেই। আমরা মানুষ জাতি এতো বোকা আমরা সৃষ্টিকর্তার কাছে মাথা নত না করে মানুষ কাছে মাথা নত করি এই জন্য আমাদের জীবন থেকে সমস্যা কখনো দূর হয় না। আপনি আমি অসুস্থ সবার আগে ডাক্তার কাছে যাই কেন ভাই সবার আগে আল্লাহ কাছে বলা যায় না যে আল্লাহ আমি অসুস্থ আমাকে সুস্থ করে দেও। তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ে নফল নামাজ পড়ে আল্লাহকে বলা যায় কি। আমরা কি করি সবার আগে ডাক্তার। আল্লাহ বলে যা ডাক্তার পিছনে দৌড়াতে থাক দেখ তোর ডাক্তার তোকে কি ভালো করতে পারে।
গোপন রোগে আক্রান্ত কাউকে বলা দরকার নাই। সবার আগে আল্লাহকে বলেন তার ইবাদত সঠিকভাবে করেন সব ঠিক হয়ে যাবে। আল্লাহর উপর বিশ্বাস রাখতে হবে যে আল্লাহ তায়ালা ভালো করে দিতে পারেন। হজরত আইয়ুব (আঃ) ১৮ বছর কুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত ছিলেন। তিনি বিশ্বাস করেছিলেন আল্লাহ তায়ালা উনার রোগ ভালো করে দিবেন। ১৮ বছর পরে আল্লাহ তায়ালা হজরত আইয়ুব (আঃ) এর রোগ ভালো করে দেন।
আমরা আসলে আল্লাহর উপর বিশ্বাস রাখতেই পারি না। আমি বলছিনা যে আপনি ডাক্তারের কাছে যাবেন না। আপনি অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যাবেন তার আগে আপনি আল্লাহকে আপনার সমস্যার কথা জানাবেন আল্লাহর উপর বিশ্বাস রাখবেন তারপর ডাক্তারের কাছে যাবেন। আপনার রোগ আল্লাহ তায়ালা কোন অছিলায় ভালো করে দিবেন কেউ জানে না। তাই আল্লাহ তায়ালা উপর বিশ্বাস রেখে রোগের চিকিৎসা নিবেন ইনশাআল্লাহ আপনি সুস্থ হয়ে যাবেন।
আচ্ছা একবার চিন্তা করেন তো আপনি আপনার চাকরি বাঁচানোর জন্য আপনার বসের সামনে যেমন মাথা নত করে থাকেন তার সব কথা মনে নেন। তার কথা মত সব কাজ করেন। আচ্ছা আল্লাহ কাছে যখন কিছু চান তখন আল্লাহ তায়ালা কাছে আপনি কতটুকু মাথা নত করেন একবার চিন্তা করে দেখেন। আপনি আমি নামাজ পড়ে হাত তুলেই দোয়া শুরু করে দেই নিজের জন্য দোয়া করি আমরা আল্লাহ আমার একটা সুন্দর বউ দাও, আল্লাহ আমার একটা চাকরি দেও, আল্লাহ আমার একটা গাড়ি দেও ইত্যাদি ইত্যাদি।
আচ্ছা এটা কোন দোয়ার সিস্টেম হইলো। দুনিয়াতে আপনি আমি যখন কোন এমপির কাছে সুপারিশ চাইতে যাই তখন চিঠিতে কি সরাসরি লিখি যে এমপি সাহেব আমার চাকরি লাগবো একটা চাকরির সুপারিশ করে দেন, এমপি সাহেব আমার একটা বড় পদ লাগব আমারে বড় পদ দেন। আমরা কি এভাবে চিঠি লিখি নাকি সালাম কালাম দিয়ে এমপির প্রসংসা করে তার পরে নিজের সমস্যা কথা জানাই৷ অবশ্যই আগে এমপির প্রসংশা করি এবং নম্র ভদ্র ভাবে কথা বলি।
দুনিয়ার মানুষের সাথে ভালো করে কিছু চাইতে পারি আল্লাহ তায়ালা কাছে কেন নত হয়ে চাইতে পারি না। আল্লাহ তায়ালা কাছে চাওয়া মত চাইতে পারলে আপনি অবশ্যই পাবেন। আমরা আল্লাহ তায়ালা কাছে এমনভাবে চাই আমি নিজেরাই বিশ্বাস করতে পারি না যে আসলে পাব কিনা। আল্লাহ তায়ালা কাছে চাওয়ার সিস্টেম দেখে নিজেরাই বুঝি এটা ভালোভাবে চাওয়া হয় নাই।
আপনি যখন আপনার বসের কাজ করে দেন তখন আপনি নিজেরই বুঝেন কোন কাজ কেমন ভাবে করলে আপনার বস খুশি হবে নিজের উপর বিশ্বাস থাকে যে এভাবে কাজটা করলে বস খুশি হবে বা কাজটা বস গ্রহন করবে। তখন সেইভাবে কাজটা করে জমা দেন। আপনার বস কাজটা গ্রহন করে নেয়। আর যদি কাজ খারাপ করে দেন তখন নিজেই বুঝবেন যে এই কাজ বস নিবে না বসকে এই ফাইল দিলে বস ফাইল মুখে ছুড়ে মারবে।
এটাই হলো নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস। আপনি কাজ করে নিজের বুঝতে পারবেন আপনার বস কোনটা গ্রহন করবে। তাহলে আপনি যখন আল্লাহ তায়ালা কাছে কিছু চান তখন কিভাবে আল্লাহ তায়ালা কাছে চান সেটা চাওয়া সময় আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন আপনি কেমন চাওয়া চাইছেন। আপনি যদি চাওয়া পরে বিশ্বাস রাখতে পারেন যে আমার চাওয়ার সিস্টেম ঠিক আছে আল্লাহ তায়ালা আমার কথা শুনেছে এবং আমার চাওয়া পূরণ করবে তাহলে আপনার চাওয়া অবশ্যই আল্লাহ তায়ালা কাছে কবুল হয়েছে।
আর যদি মনে হয় এটা আল্লাহ কবুল করেনি বা সন্দেহ আছে। এটা কিভাবে সম্ভব ইত্যাদি ইত্যাদি সন্দেহ থাকে তাহলে আপনি আল্লাহ উপর বিশ্বাস রাখতে পারেন নাই।
আপনারে একটা পানির মত সহজ উদাহরণ দেই। উদাহরণ পড়ে আপনি মনে মনে অনেক খুশি হবেন। আচ্ছা আপনি যে কাজটা পারেন মনে করেন আপনি ইংরেজিতে কথা বলতে পারেন। আপনাকে কেউ যদি বলে আপনি ইংরেজিতে কথা বলতে পারেন তখন আপনি কি বলবেন..? আপনি তখন অবশ্যই বলবেন এটা কোন ব্যাপার হলো এটা কোন ব্যাপারি না। আপনি এই কথা কেন বলবেন জানেন কারণ আপনি ইংরেজিতে কথা বলতে পারেন এবং এটার উপর আপনার আত্মবিশ্বাস রয়েছে।
আর যদি ইংরেজিতে কথা বলতে না পারেন তাহলে আপনি ইংরেজির কথা শুনলেই আপনার মাথায় পাহাড় ভেঙে পড়বে। আপনি বলবেন এটা কেমনে সম্ভব মানে আপনি বিশ্বাস করতে পারবেন না। কেন বিশ্বাস করতে পারবেন না কারণ আপনি ইংরেজি পারেন না।
আল্লাহ তায়ালা কাছে দোয়া করাটাও এরকম। আপনি যখন রাতে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ে আল্লাহ তায়ালা কাছে দুই হাত তুলে কায়মনোবাক্যে কান্না কাটি করে নিজের ভুল শিকার করে আল্লাহ তায়ালা কাছে ক্ষমা চাইবেন বা কিছু চাইবেন তখন আপনি নিজের বুঝতে পারবেন যে আপনার দোয়া কবুল হয়েছে। আপনার দোয়া আল্লাহ তায়ালা কবুল করলে আপনি খুশি ফিল করবেন আপনি বিশ্বাস করতে পারবেন যে আল্লাহ তায়ালা আমার কথা শুনেছে।
তখন নিজেই নিজেকে বিশ্বাস করবেন যে আল্লাহ তায়ালা আমার দোয়া কবুল করেছে এবং আল্লাহ তায়ালা উপর আপনার ভরসা হবে। আসলে আপনি যখন মন খুলে আল্লাহ তায়ালা কাছে কান্নাকাটি করে আপনার সমস্যা কথা বলবেন এবং বুঝতে পারবেন যে আল্লাহ তায়ালা আপনার কথা কবুল করেছে এটা আমি আপনাকে এই আর্টিকেলে বলে বুঝতে পারবনা৷ আপনার দোয়া যখন কবুল হবে তখন নিজেই ফিল করতে পারবেন কেমন ভালো লাগে।
কিছু কিছু মানুষের দোয়া কবুল হয় না। দোয়া কবুল না হওয়ার অনেক কারণ রয়েছে যেমন দোয়া করার পরে দরূদ না পড়া। যার জন্য আপনার বলা কথা গুলো আল্লাহ তায়ালা কাছে যায় না আকাশ আর জমিনের মাঝে ঝুলে থাকে। তাই দোয়া শেষে দরূদ পড়া। আপনি যদি হারাম খেয়ে দোয়া করেন আপনার দোয়া কবুল হবে না। শুধু দোয়া নয় আপনি যদি মক্কা গিয়ে কাবাঘর স্পর্শ করেও দোয়া করেন তাও দোয়া কবুল হবে না।
নেশা জাতীয় কিছু খেয়ে ইবাদত করলে সেই ইবাদত আল্লাহ তায়ালা কবুল করে না। তাই কেউ যদি নেশা করে থাকেন তার কোন ইবাদত কবুল হবে না ৪০ দিন পর্যন্ত। যেনা করে থাকলে দোয়া কবুল হয় না। দোয়া মত দোয়া করতে পারলে হাত তুলার সাথে সাথেই রবের সাথে তোমার কথা শুরু হয়ে যাবে। আরে ভাই আপনি যখন দোয়া করে মজা পারবে তখন আল্লাহ তায়ালা কাছে হাত তুলার সাথে সাথে আপনার চোখ দিয়ে পানির বন্যা বয়ে যাবে।
যখন আল্লাহ তায়ালা সাথে কথা শুরু হয়ে যাবে তখন দোয়া থেকে উঠতে মন চাইবে না। উঠা তো দুরের কথা মনটা অন্য দিকে নিতে পারবেন না। যে এই মজা বুঝতে পেরেছে সে জানে আল্লাহ তায়ালা কাছে কিছু চাইলে তিনি খালি হাতে ফেরার না। এই বিশ্বাস তার হয়ে গেছে এই জন্য যখনই দোয়া করে আল্লাহ ভয়ে চোখ দিয়ে পানি পরে। আল্লাহ সাথে সম্পর্কে যখন ভালো হয়ে যাবে তখন চোখ দিয়ে পানি এমনি পড়বে। আজকে এ পর্যন্তই সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবে আল্লাহ হাফেজ।
আপনার ওয়েবসাইটের জন্য আর্টিকেল প্রয়োজন হলে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন ফেসবুকে আমি