Site icon Trickbd.com

যখন সব রাস্তা বন্ধ তখন আল্লাহর ব্যাপারে তাকওয়া অবলম্বন করুন।

Unnamed

আসসালামু আলাইকুম সবাই কেমন আছেন…..? আশা করি সবাই ভালো আছেন । আমি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি ।আসলে কেউ ভালো না থাকলে TrickBD তে ভিজিট করেনা ।তাই আপনাকে TrickBD তে আসার জন্য ধন্যবাদ ।ভালো কিছু জানতে সবাই TrickBD এর সাথেই থাকুন ।

যখন সব রাস্তা বন্ধ তখন আল্লাহর ব্যাপারে তাকওয়া অবলম্বন করুন।


সেই আলেম তাকে পরামর্শ দিলেন ইত্তাকুল্লাহ আল্লাহর ব্যাপারে তাকওয়া অবলম্বন কর। যুবকটি বলল আমার এই পরিস্থিতিতে এই উপদেশ এর কোন মানে নেই। এই উপদেশ দিয়ে আমি করবোটা কি। শ্রদ্ধেয় ভাইয়েরা এই খুতবার মূল বক্তব্যে আসা যাক। সারা বিশ্বজুড়ে মানুষ নানা ধরনের কষ্টের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। দারিদ্র্য নির্যাতন বাধা-বিপত্তি মানসিক অশান্তি কাঠিন্য সমাধানের সকল পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তাদের জন্য একটি আয়াত আছে। আমি আল্লাহর কাছে দোয়া করি আপনারা সকলে যেন এই আয়াত সম্পর্কে পরিচিত হন এবং এই আয়াতকে আপনাদের জীবনের মূলনীতি বানিয়ে ফেলেন।

আল্লাহ তায়ালা বলেন→ যে আল্লাহকে ভয় করে আল্লাহ
তার জন্য কঠিন অবস্থা থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় দেখিয়ে দেবেন। এ আয়াতের অর্থ কি এর মানে যখন সব দরজা বন্ধ আর আপনি জিজ্ঞেস করতে থাকেন এখান থেকে বের হওয়ার পথ কোথায়। আপনি দরজায় কড়া নাড়ছেন কিন্তু একটি দরজাও খুলছে না। চাকরির দরজায় কড়া নেড়েছে দরজা খুলে নাই। বিবাহের দরজায় কড়া নেড়েছে দরজা খুলে নাই। ঘরবাড়ি করার দরজায় কড়া নেড়েছে দরজা খুলে নাই।

আপনি হাল ছেড়ে দিয়ে বলছেন আমি আর কি করতে পারি। মানুষ কখন বলে এখান থেকে বের হওয়ার পথ কোথায়। যখন জীবন সত্যিই কষ্টকর হয়ে পড়ে। যখন সব পথেই বাধা যখন সব আশা ভেঙ্গে যায়। যখন মানুষ ডিপ্রেশনে ভোগে। যখন সে হতাশার চূড়ান্তে পৌঁছে যায়।

আল্লাহ তায়ালা বলেন→ যে ব্যক্তি একজন জীবনসঙ্গী খোঁজার ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় করবে আল্লাহ তার জন্য বিয়ে সংক্রান্ত কষ্ট থেকে পরিত্রাণের পথ বের করে দেবেন। যে ব্যক্তি তার সন্তানদের বেড়ে তোলার ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় করবে আল্লাহ তাকে তাদের অবাধ্যতার যন্ত্রণা থেকে পরিত্রাণের পথ বের করে দেবেন। যে তার রুজি রোজগারের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় করবে আল্লাহ তাকে তার অর্থ-সম্পদ হারানোর দুর্দশা থেকে পরিত্রাণের পথ বের করে দেবেন।


যে একমাত্র আল্লাহর এবাদত এর ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় করে আল্লাহ তাকে শির্কের সর্বনাশ থেকে পরিত্রাণের পথ বের করে দেবেন। যে তার ব্যবসায়িক লেনদেনে আল্লাহকে ভয় করবে আল্লাহ তাকে লোকসান থেকে পরিত্রাণের পথ বের করে দিবেন। এই তালিকার কোন শেষ নেই। কিন্তু আমি এই আয়াতের পরের অংশে নজর দিতে চাই।

এবং তিনি তাকে এমন জায়গা থেকে রিযিক দান করবেন যা সে কল্পনাও করেনি। এই কথাগুলো মহাবিশ্বের স্রষ্টার কথা। এই কথাগুলো রব্বুল আলামীনের কথা। এই কথাগুলো স্থান-কাল নির্বিশেষে সবার জন্য প্রযোজ্য। যে যেই পরিস্থিতিতেই থাকুক না কেন অবস্থা যতই কঠিন হোক না কেন দরজা গুলো যত শক্তভাবেই বন্ধ করে দেয়া হোক না কেন।

একজন আলেম আমাকে বললেন ২৮ বছরের এক যুবক তার কাছে এসেছিল। তার নেই কোনো ভালো চাকরি না কোন ডিগ্রী বলার মত কোন অর্জনে তার ছিল না। বিয়ে-শাদী করার কোন আশাই নেই। কোন অজো পাড়া গায়ে একটা ছোট্ট ঘর নিয়ে বসবাস করার মত সামর্থ্য তার ছিল না। সেই আলেম তাকে পরামর্শ দিলেন। ইত্তাকিল্লাহ। আল্লাহর ব্যাপারে তাকওয়া অবলম্বন কর।

যুবকটি বলল আমার এই পরিস্থিতিতে এই উপদেশের কোন মানেই নেই। এই উপদেশ দিয়ে আমি করবোটা কি। আলেম আবারও বললেন তোমার জন্য আমার এই একটাই উপদেশ রয়েছে। ইত্তাকিল্লাহ যুবকটি কথাটির গভীর অর্থ বুঝতে পারল। সে একটা দোকানে কাজ করতো এরপর থেকে সে এমন ভাবে কাজ করা শুরু করলো যেন দোকানটি তার নিজের একদম সময়মতো আসতে লাগলো কাজের ফাঁকে শুধুমাত্র ৮ মিনিটের
একটা বিরতি নিত সালাত আদায় করার জন্য।

এছাড়া সারাক্ষণ সে মন দিয়ে কাজ করতে লাগল। যত্নসহকারে ক্রেতাদের চাহিদা গুলোর দিকে খেয়াল দিতে লাগল। সেই সম্মানিত আলেম আমাকে বললেন দুই বছর পর সুন্দর কাপড় পরিধান করা একজন ভদ্রলোক তার কাছে এলেন এবং তাকে ঐ শহরের সবচেয়ে নামকরা এলাকায় অবস্থিত একটা ঘরে দাওয়াত করে নিলেন। তিনি তাকে বললেন আপনি কে..?

দুই বছর পার হয়ে গিয়েছিল ওলামায়েরা তো এক দিনেই ৪০-৫০ জন লোকের সাথে সাক্ষাৎ করেন। তাই সে আলেম তাকে বললেন আপনি কে..? সে বলল আমি আপনার কাছে দুই বছর আগে এসেছিলাম এবং আপনি আমাকে একটা উপদেশ দিয়েছিলেন ইত্তাকিল্লাহ। এখন আমি বিবাহিত এবং আমার দিবাসুখ শহরের সবচেয়ে আলিশান এলাকা একটা বাড়ি আছে। আলেম বললেন ঘটনা কি..?

সে বলল যখন আমার দোকানের মালিক দেখলেন আমি কতটা নিষ্ঠার সাথে কতটা যত্নসহকারে আমার কাজগুলো করছি। কত পরিশ্রম করছি তিনি আমাকে না জানিয়ে একটা আলিশান বাড়ি কিনে ফেললেন। এরপর তিনি বললেন আমি এই ঘরটা সুন্দরভাবে সাজাতে চাই। তুমি যেভাবে ভালো মনে করো কাজটা করিয়ে নাও। ঘরের কাজ শেষ হওয়ার পর মালিক বললেন। এই ঘরটি তোমার এবং আমি চাই তুমি আমার মেয়েকে বিয়ে করো।

আল্লাহর কসম আমার শ্রদ্ধেয় ভাইয়েরা এবং আবারো আল্লার কসম সবচেয়ে কঠিন সময় গুলোতে সবচেয়ে কঠোর পরিস্থিতিতে যে আল্লাহকে ভয় করবে। আল্লাহর ব্যাপারে তাকওয়া অবলম্বন করবে। আল্লাহ তাকে পরিত্রাণের পথ বের করে দেবেন। এবং তাকে এমন জায়গা থেকে রিজিক দান করবেন যা সে কল্পনাও করেনি।

আল্লাহকে ভয় করুন আপনার সব বিষয়ে তারই হাতে। তিনি আপনাকে আর কারো দায়িত্ব ছেড়ে দেননি। তিনি তো আর রাজ্জাক। আল্লাহকে ভয় করুন আপনার যে কাজ আছে সেটা নিখুঁতভাবে করুন। নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করুন। নিজের জিহ্বাকে নিয়ন্ত্রণ করুন। নিজের আয়ের দিকে নজর দিন এবং সতর্ক হোন যেন আপনি হারান থেকে দূরে থাকতে পারেন। তাহলে আল্লাহ আপনাকে এমন কিছু দেবেন যা আপনি কল্পনাও করতে পারবেন।

এই উপদেশ শুধু সেই যুবকের জন্য প্রযোজ্য নয় একেবারেই নয় আল্লাহর কসম এই উপদেশ আমাদের সকলের জন্য আমাদের মাঝে প্রত্যেকটি মানুষ এই আয়াত থেকে উপকৃত হতে পারে। আজকে এ পর্যন্তই সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবে আল্লাহ হাফেজ।

আপনার ওয়েবসাইটের জন্য আর্টিকেল প্রয়োজন হলে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন ফেসবুকে আমি