Site icon Trickbd.com

মোবাইল রেডিয়েশন আসলে কতটা ক্ষতিকর, এবং এটার ক্ষতি এর হাত থেকে বাঁচার উপায় গুলো জেনে নিন!!

Unnamed

আসসালমুআলাইকুম প্রিয় trickbd এর সকল সদস্যগণ। সবাইকে জানাই সালাম ও অভিনন্দন। আমি অভি আছি আপনাদের সাথে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। পোস্ট এর ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার জন্য অনুরোধ রইলো।

আমাদের প্রত্যাহিক জীবনের জন্য মোবাইল ফোন এক গুরুত্তপূর্ণ মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে। বলা যায় আমরা প্রায় বেশিরভাগ মানুষ জন দিনের প্রায় বেশিরভাগ সময় মোবাইল ফোন এর পেছনে ব্যায় করি। যেটি অনেক উপকারী একটা মাধ্যম হিসেবে দাড়িয়েছে আমাদের প্রায় সবার কাছেই এর সমান মূল্য আছে।

আমরা অনেকেই রেডিয়েশন শব্দ টা এর সাথে পরিচিত অনেকেই বিস্তারিত জানতে চান রেডিয়েশন সম্পর্কে কিন্তু সব ক্ষেত্রেই বিস্তারিত করে উল্লেখ করা থাকে নাহ। তাই আজকে রেডিয়েশন সম্পর্কে আমি বিস্তারিত আলোচনা করবো। এখন মোবাইলের মাধ্যমে পুরো বিশ্বকেই হাতের মুঠোয় নিয়ে আসা যায়। তবে মোবাইলের এত সব উপকারের মধ্যে এর কিছু ক্ষতিও রয়েছে।

আমেরিকান বিজ্ঞানী মার্টিন কুপার ১৯৭৩ সালে মোবাইল ফোন আবিষ্কার করেন বলে জানা যায়। তার আবিষ্কার এর সুফল এখন উপভোগ করছে পুরো বিশ্ব।মোবাইল ফোন রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ওয়েভের মাধ্যমে কাজ করে। এর ভেতরে আল্ট্রা রেডিয়েশন রে গুলো কে আমরা খালি চোখে দেখতে পাই নাহ।তেজস্ক্রিয়তা হলো ভারী মৌলিক পদার্থের একটি গুণ যেগুলোর নিউক্লিয়াস থেকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অবিরত আলফা, বিটা, গামা রশ্মি বিকরণ হয়।

বিশেষ করে আলফা, গামা রশ্মি গুলোর চাইতে মোবাইল টাওয়ার গুলো হাই ফ্রিকোয়েন্সি ব্যাবহার করে বলে অতিরিক্ত রস্নি নির্গত হতে থাকে। যা মানব দেহে ধীরে ধীরে এসে বাধা প্রাপ্ত হয়ে যায় এবং অনেক প্রাণঘাতী রোগ ধীরে ধীরে শরীরে বাঁধতে থাকে।

রেডিয়েশন মূলত বের হয় যখন কল করা হয় বা কানে ফোন নিয়ে বেশ অনেক বেশি সময় ধরে রাখা হয় এর মাত্রা তীব্র থেকে তীব্রতর হতে থাকে। এটি আমাদের শরীরের জন্য হুমকিস্বরুপ। তাই, আসুন জেনে নিই কিভাবে আমরা এই ভয়ঙ্কর মোবাইল রেডিয়েশনের ক্ষতি থেকে বাঁচতে পারি।

প্রথমত যদি আপনি কাউকে কল করেন বা কেউ যদি কল করেন আপনার ফোনে চেষ্টা করুন ফোনটি কে যথাযথ ভাবে দূরে রেখে কথা বলুন। যদি সম্ভব হয় হেডফোন দিয়ে কথা বলুন। যদি আপনি বাইরে থাকেন বা হাটাহাটি করতে থাকেন সেই সময় কথা না বলা টা ভালো হবে। কারণ বিভিন্ন টাওয়ার থেকে এক সাথে সিগন্যাল আসতে থাকে সেই জন্য এক জায়গা তে বসে কথা বলার চেষ্টা করুন।

ধরুন আপনি এমন জায়গা তে আছেন যেখানে নেটওয়ার্ক ব্যাবস্থা বেশ দুর্বল অবস্থা তে আছে সেখানে কথা বলা সংক্ষিপ্ত করুন। কারণ সেই সময় নেটওয়ার্ক কানেকশন এর জন্য সিম কার্ড সিগন্যাল গুলোর সাথে সংযোগ করার চেষ্টা করতে থাকে, সেই জন্য অতি মাত্রায় রেডিয়েশন নির্গত হতে থাকে। ঘুমানোর সময় বিশেষ করে সেল ফোন গুলো কে মাথার কাছে রাখবেন না যথা সম্ভব দূরে রাখার চেষ্টা করুন। মোবাইল ফোন মাথার কাছে রাখলে তা ঘুমের পরিমাণ ও গভীরতার ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

গাড়ি তে বসে কাঁচ লাগিয়ে দিয়ে মোবাইল ফোন বেশি ব্যাবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে বিশেষ করে বর্তমানে গাড়ি গুলো তে রেডিয়েশন শিল্ড দেওয়া হয় যার ফলে মোবাইল ফ্রিকোয়েন্সি এর জন্য রেডিয়েশন বেড়ে যেতে পারে। অন্ধকার অবস্থায় মোবাইল এর লাইট না জেলে স্ক্রিন এর দিকে তাকানো যথা সম্ভব পরিহার করুন। রেডিয়েশন চক্ষু রোশনি ভেদ করে শরীরে প্রবেশ করতে পারে।

প্রয়োজন শেষ হলে স্মার্ট ফোন গুলো থেকে ব্লুটুথ, ওয়াইফাই, ইন্টারনেট কানেকশন গুলো বন্ধ করে রাখুন।এগুলোর রেডিয়েশন দীর্ঘমেয়াদে শারীরিক ক্ষতির কারণ হতে পারে। সুতরাং নিয়ম গুলো মেনে চলার চেষ্টা করুন।

আশা করি মোবাইল রেডিয়েশন এর ক্ষতি থেকে রক্ষা হতে পারবেন। এবং নিজেকে নিরাপদ রাখতে পারবেন। এই ছিল বিস্তারিত ধন্যবাদ সবাইকে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য trickbd এর সাথেই থাকুন ধন্যবাদ সবাইকে।