আমি টিউন করছি এ যাবতকালের
সেরা ৫টি হ্যাকিংয়ের ঘটনা
নিয়ে। সারা বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে
রয়েছে হ্যাকারেরা। এদের কেউ
দলগতভাবে হ্যাক করে আবার কেউ
একাই হ্যাক করে থাকে। এদের
হ্যাকিংয়ের তালিকায় রয়েছে
বড় বড় কোম্পানীর
ওয়েবসাইট, ব্যাংকের
সাইট, ক্রেডিট কার্ড, বড়
প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটার ইত্যাদি।
সাল অনুসারে এই ঘটনাগুলো
দেওয়া হলোঃ –
১৯৯০ সালঃ
কেভিন মিনিক ( Kevin Mitnick ) কে
বলা হয়ে থাকে ‘ Father of all Hackers ’।
১৯৯০ সালের শুরুর দিকে তিনি
বিশ্বের বড় বড়
টেলিকমিউনিকেশন
কোম্পানীগুলোর সিস্টেম হ্যাক
করেন। Nokia, Motorola, Fujitsu ও Sun
Microsystems এর মত বড়
কোম্পানীগুলো এ হ্যাকিংয়ের
শিকার হয়। সবাই তার হ্যাকিং
দক্ষতা দেখে অবাক হয়ে যায়।
কিন্তু পরে FBI তাকে গ্রেপ্তার
করে এবং তিনিই হচ্ছেন বিশ্বের
প্রথম হ্যাকার যাকে হ্যাকিং
ক্ষতিপূরন হিসেবে তাকে সকল
সিস্টেম ঠিক করে দিতে বলা হয়।
১৯৯৩ সালঃ
এই ঘটনায় জড়িত ছিলো ‘ Masters of
Deception’ নামের একটি হ্যাকিং
টিম। সকল টেলিফোন সিস্টেম
তাদের টার্গেট ছিলো।
হ্যাকারেরা Bank of America ও National
Security Agency এর টেলিফোন
সিস্টেম হ্যাক করে সম্পুর্ণ তাদের
নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসে।
টেলিফোন অপারেটর কোম্পানী
AT& T এ হ্যাকিংয়ের শিকার হয়।
১৯৯৬ সালঃ
১৯৯৬ সালে হ্যাকিংয়ের শিকার
হয় ওমেগা ইঞ্জিনিয়ারিং
সিস্টেম, যা নাসা ও আমেরিকার
নৌবাহিনীর গুরুত্তপূর্ণ অংশ
ছিলো। একজন আমেরিকান
হ্যাকার ওমেগা সিস্টেমে ‘লজিক
বোমা ’ স্থাপন করে যার ফলে সকল
ডাটাবেস ডিলিট হয়ে যায় এবং
অপারেটিং সিস্টেম মুছে যায়।
এতে ওমেগা সিস্টেমের প্রায় ১০
মিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়।
১৯৯৯ সালঃ
Melissa Virus দিয়ে ১৯৯৯ সালে
ব্যাপক ক্ষতি করা হয়। Smith নামক
একজন হ্যাকার এই ভাইরাস ছড়িয়ে
দেয়। অনেকগুলো দেশে এই ভয়াবহ
ভাইরাস ছড়িয়ে পরে। এতে ৪০০
মিলিয়ন ডলারের বিপুল ক্ষয়ক্ষতি
কম্পিউটার থেকে অন্য
কম্পিউটারে আর এটি
অপারেটিং সিস্টেমসহ সকল
ডাটা ডিলিট করে দেয়। পরে এই
হ্যাকারকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং
তাকে শাস্তি হিসেবে ২০
মাসের কারাদন্ড দেওয়া হয়।
২০০০ সালঃ
‘মাফিয়া বয়’ নামে পরিচিত এক
হ্যাকার ২০০০ সালে এই
হ্যাকিংয়ের ঘটনা ঘটায়। তার
আসল পরিচয় জানা যায়নি। তবে
সে Yahoo !,eBay ,Amazon সহ বেশ কিছু বড়
বড় সাইট হ্যাক করে। ৭২টি
কম্পিউটার নিয়ন্ত্রনে নেয় যার
সবকটি ছিলো বড় বড় কোম্পানীর
দখলে। পরে তাকে এফবিআই
গ্রেপ্তার করে।