E2E বা এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশনেও
হোয়াটসঅ্যাপ কথোপকথন মোটেও
সুরক্ষিত নয়। যতই কথোপকথন E2E
এনক্রিপটেড হোক না কেন,
যাঁদের মধ্যে তা চলছে, সেই দু’জন
ছাড়া তৃতীয় কোনো ব্যক্তি
চাইলেই কথোপকথন ডি-কোড
করতে পারেন। তাছাড়া,
হোয়াটসঅ্যাপ কথোপকথন মুছেও
দেয়া যায় না। মুছলেও তা
থেকেই যায়!
.
এই বিপজ্জনক তথ্য জানাজানি
হওয়ার পরেই উঠে এল আরও এক
বিস্ফোরক খবর। জানাল সংযুক্ত
আরব আমিরশাহির এক নন-প্রফিট
অনলাইন সেফটি সংস্থা। সেই
সংস্থার নাম এমিরেটস সেফার
ইন্টারনেট সোসাইটি;
সংক্ষেপে ই-সেফ।
.
সম্প্রতি এক সাংবাদিক বৈঠকে
ই-সেফ দাবি তুলেছে, চাইলেই
হ্যাক করা যায় হোয়াটসঅ্যাপ
অ্যাকাউন্ট! কোনো ব্যক্তি মাত্র
৩০ সেকেন্ডেই এই দুষ্কর্মটি করতে
পারেন! কীভাবে, হাতে-কলমে
তা সাংবাদিক বৈঠকে
দেখিয়েও দিয়েছে ই-সেফ।
ই-সেফ জানাচ্ছে,
হোয়াটসঅ্যাপ হ্যাকের
চাবিকাঠি হল ফোনের QR কোড।
একবার যদি কেউ আপনার ফোনের
QR কোড পেয়ে যায়, তাহলে
সেই কোড ব্যবহার করে ভায়া
ডেস্কটপ হোয়াটসঅ্যাপ হ্যাক
করাটা নেহাতই ছেলেখেলা!
.
তার পরে সেই হ্যাকার, বলাই
বাহুল্য, যা খুশি করতে পারে অন্য
ব্যক্তির হোয়াটসঅ্যাপ
অ্যাকাউন্ট নিয়ে।
ই-সেফ আরও জানিয়েছে,
তাদের সাম্প্রতিক সমীক্ষা
বলছে, বেশির ভাগ মানুষই না কি
ডেস্কটপ থেকে হোয়াটসঅ্যাপ
ব্যবহারের পর লগ-আউট না করেই
চলে যান! সে সব ক্ষেত্রে
হ্যাকারদের কাজ আরও সহজ হয়ে
যায়।
.
এছাড়া ই-সেফ জানাচ্ছে,
তাদের সমীক্ষা অনুযায়ী ১০০
জনের মধ্যে ৭৮ জন মানুষই তাঁদের
ফোন অন্যের হাতে তুলে দেন!
সেই ব্যাপারটা QR কোড জানার
কাজটা অনেক সহজ করে দেয়।
এবার তাহলে সতর্ক হওয়া যাক!