বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
আসসালামু আলাইকুম
আমি মেহেদী হাসান মামুন, কেমন।আছেন সবাই?
আশা করি অনেক ভালো? তো কথা ণা বাড়িয়ে টিউনে চলে যাওয়া যাক?
আজকের পর্বে থাকবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
আশা করি ক্লিয়ার মস্তিষ্কে পড়ে বোঝার চেষ্টা করবেন। যাহোক, চলেন শুরু করা যাক?
আচ্ছা আপনি কি লক্ষ্য করেছেন আমরা যখন টর ব্রাউজারে যাই তখন পাম পাশে “পেঁয়াজের” মত একটা আইকন থাকে, বলতে পাড়েন এইটা কি জন্য আসে?
কে জানতো বলুন? অনলাইনে অ্যাননিমাস থাকার সবচাইতে বেটার পদ্ধতি হচ্ছে পেঁয়াজের পেছনে লুকিয়ে পড়া! জ্বী না, এখানে কোন শাকসবজির কথা বলা হচ্ছে না, কথা বলা হচ্ছে আজব এক ইন্টারনেট ব্রাউজার দ্যা অনিয়ন রাউটার (The Onion Router) সম্পর্কে; যেটাকে হয়তো আপনি টর ব্রাউজার (TOR Browser) নামে চেনেন। (তাহমিদ বোরহান)
তাহলে অবশ্যই বুঝে ফেলছেন এই পেঁয়াজের গুরুত্বের কথা? হ্যাঁ, জানতে হলে বাঁচতে হবে।
তাহলে আপনি তাদের অফিশিয়াল ওয়েব সাইট থেকে ফুল প্রোজেক্ট ডাউনলোড করে স্টার্ট করে ফেলুন।
বিঃদ্রঃ টর নেটওয়ার্ক নিয়ে আগামীতে টিউন করবো সাথে থাকবেন।
তো এবার চলে আসা যাক .onion ডোমেইন এর কথায়।
লক্ষ্য করছেন এই ডোমেনি যে কোনো ব্রাউজার দিয়ে ঢোকা যাবে না, এর জন্য ভিন্নধর্মী ব্রাইজার আছে যেটার নাম টর ব্রাইজার। আরো কিছু বলতে গেলে, ডার্ক ওয়েবকে গঠনকারী ডার্কনেটে থাকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ফ্রেন্ড-টু-ফ্রেন্ড, পিয়ার-টু-পিয়ার নেটওয়ার্ক, সেইসাথে থাকে ফ্রিনেট, আইটুপি ও টরের মতো বড় বড় নেটওয়ার্ক, এবং এসব নেটওয়ার্ক পরিচালিত হয় পাবলিক প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের দ্বারা। ডার্ক ওয়েব ব্যবহারকারীরা তাদের এনক্রিপশনবিহীন প্রকৃতির কারনে সাধারন ওয়েবে ক্লিয়ারনেট হিসাবে পরিচিত। টর নেটওয়ার্ক অনিয়ন ল্যান্ড হিসাবেও পরিচিত, এর কারন ডিপ ওয়েবের একটি উচ্চ পর্যায়ের ডোমেইন সাফিক্স ডট অনিয়ন এবং নিজেকে আড়াল করে ইন্টারনেট ব্যবহার করার পদ্ধতি অনিয়ন রাউটিং।আশা করি বুঝে ফেলছেন?
এবার চলুন ডাটা এনক্রিপ্টের দিকে যাওয়া যাক?
আমাদের জন্য টর কতটা নিরাপদ?
টর নেটওয়ার্কে আপনার অনলাইন পরিচয়কে ছদ্মবেশে বিভিন্ন টর সার্ভার দিয়ে এনক্রিপশন করিয়ে তারপরে সেই ট্র্যাফিককে নির্দিষ্ট স্থানে পাঠানো হয়; ফলে আপনার পরিচয় ট্র্যাক করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। আজকের যেকোনো সাধারন ব্রাউজারে ইনকগনিটো মুড বলে একটি ফিচার থাকে, আমরা মনে করি এটি ওপেন করে নেট সার্ফ করলে আমাদের পরিচয় গোপন থাকবে, আসলে এটি ঠিক না। এতে শুধু ব্রাউজারে আপনার ব্রাউজিং হিস্টরি সেভ হবে না, কিন্তু আপনার আইএসপি সবকিছু জানতে পারবে আপনি কোথায়, কখন এবং কি ভিজিট করছেন অনলাইনে।
যদি আপনি অনলাইনে লুকিয়ে থাকতে চান, মানে আপনার অনলাইন পরিচয়কে লুকিয়ে রাখতে চান তবে, হ্যাঁ, এটি করার জন্য টর নেটওয়ার্ক সবচাইতে সহজ এবং ভরসা যোগ্য ব্যবস্থা। ভিপিএন ব্যবহার করে এই কাজ করা গেলেও, ভিপিএন সাধারনত এই সার্ভিস দেওয়ার জন্য চার্জ করে থাকে কিন্তু টর ব্রাউজার সকলের জন্য ফ্রী। যদি আপনার প্রাইভেসি নিয়ে আপনি খুব সচেতন হোন কিংবা আপনার অনলাইন একটিভিটি সকলের কাছ থেকে লুকিয়ে রাখতে চান তবে অবশ্যই টর আপনাকে অনেক সাহায্য করতে পারে। অনেক হ্যাকাররা গভর্নমেন্ট থেকে বাঁচার জন্য টর ব্রাউজার ব্যবহার করে।
এক কথায় বলতে এই ব্রাউজার সকলের জন্য; যারা অনলাইন অ্যাড, আইএসপি, ওয়েবসাইট থেকে নিজেকে ট্র্যাক করা থেকে বিরত রাখতে চান। হতে পারে আপনি একজন পুলিশ অফিসার এবং আপনি কিছু গবেষণা করছেন, সেক্ষেত্রে আপনার গবেষণাকে গোপন রাখার জন্য টর ব্যবহার করা যেতে পারে। আবার আপনার দেশে কোন ওয়েবসাইট ব্লক করা থাকলে সেটাকে আনব্লক করার জন্য টর ব্রাউজার ব্যবহার করা যেতে পারে। পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার করার সময় টর ব্যবহার করে আপনার ডাটা গুলোকে নিরাপদ করতে পারেন।
অনেক কিছু জেনে গেলেন, হয়তো ইচ্ছা করছে টরের দুনিয়ায় সংযুক্ত হতে?
তাড়াহুড়ো চলবে না, সাথে করে নিয়ে যাবো, চিন্তা করতে হবে না।
আজকের পর্বে যে প্রশ্ন থাকবে আপনার জন্য সেটা হলো
“ ডীপ ওয়েব ভিজিট করতে হলে কি কি নিরাপত্তা অনুসরণ করতে হবে? ”
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আজকে বিদায় নিচ্ছি, দেখা হবে আগামী পর্বে নতুন কোনো চমক নিয়ে।
সাথেই থাকুন। ফিরছি খুব তাড়াতাড়ি!