আজকের পোস্টটা মূলত একটা অনুরোধের প্রেক্ষিতে করা হচ্ছে।আশা করি এই পোস্টের মাধ্যমে আপনারা সামান্য কিছু হলেও শিখতে পারবেন তবে শুরু করা যাকঃ-

  • যারা কম্পিউটারে ব্যাবহার করে থেকে তারা হয়ত বা Kali Linux সম্পর্কে শুনে থাকবেন। বেশিরভাগ মানুষ যারা এ সম্পর্কে শুনেছেন তারা ভাবে এটি একটি হ্যাকিং টুল যা ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকাররা কারো ইনফরমেশন হ্যাক করতে ব্যাবহার করে। আসলে এটি কোনো খারাপ টুল না বরং এটি উইন্ডোজ xp বা 7 বা 8 অথবা 10 এর মত এক প্রকার অপারেটিং সিস্টেম যা কম্পিউটারে ব্যাবহার হয়ে থাকে। মাটি আহার্নি,ডেভান কেয়ার্ন্স এবং রাফায়েল হার্টজগ ছিলেন এর প্রধান ডেভেলপার। এটি পরিচালনা ও অর্থদান করে “অফেন্সিভ সিকিউরিটি লিমিটেড।” এটি কম্পিউটারের পাশাপাশি অ্যান্ড্রোয়েডে ব্যাবহার করা যায়। লিনাক্স নেটহান্টার সাহায্যে কালি লিনাক্স কিছু অ্যান্ড্রোয়েড ডিভাইসেও চালানো যায়। কালি ব্যাবহারকারীদের কমিউনিটি ও অফেন্সিভ সিকিউরিটি সিস্টেমের যৌথ উদ্যোগে নেটহান্টার তৈরি হয়েছে।
  • কালি লিনাক্স শুধুমাত্র হ্যাকারদের জন্যই তৈরি কারন এখানে কিছু বিশেষ টুল’স রয়েছে যার সাহায্যে তারা কোডিং অর্থাৎ কমানন্ডের সাহায্যে কোনো ওয়েবসাইটের দূর্বল দিকগুলো বের করতে পারে যেখান থেকে তাদের (ওয়েবসাইটকে) হ্যাক করা যেতে পারে । এর একটি ভালো ব্যাবহার আছে আর এক খারাপ ব্যাবহার আছে। ভালো ব্যাবহার হল আপনি আপনার ওয়েবসাইটে বা অন্যের ওয়েবসাইটের দূর্বল দিকগুলো ধরে তাদেরকে  বলতে পারেন যে এখান থেকে তারা হ্যাক হতে পারে। আর খারাপ ব্যাবহার আপনি অন্যের ওয়েবসাইট হ্যাক করতে পারেন এবং তাদের ইনফরমেশন লিক করতে পারেন ইত্যাদি।
    নরমাল উইন্ডোজে কিছু সিম্পল টুল’স থাকে যেমন  পেইন্ট, ক্যাললকুলেটর বা ওয়ার্ডপ্যাড ইত্যাদি। এই সকল টুল’স থাকার কারন আমরা উইন্ডোজ ঘরে বা অফিসে সাধারন কাজে ব্যাবহার করি। কিন্তু kali linux এ কি কি থাকে? কিসের মাধ্যমে হ্যাক করা যায়? এখানে অবশ্যই কিছু বিশেষ সফটওয়্যার থাকে। এখানে তো আর নোটপ্যাড থাকবে না কারন হ্যকাদের নোটপ্যাড লাগে না, তারা কমান্ডিং এর মাধ্যমে তাদের কাজ করে থাকে। এখানে বিভিন্ন হ্যাকিং টুল, ব্রুইফোর্স আ্যাটাক করা যায় অথবা কারোর পাসওয়ার্ড  দিয়ে কিছু করা ইত্যাদি টুল ‘স থাকে। এ সম্পর্কে কেউ বেশি কিছু বলে না কারন এর ফলে বিভিন্ন ক্রাইম হতে পারে।
  • কোন হ্যাকার যেন বেশি কষ্ট না করতে হয় তার জন্য বিভিন্ন প্রয়োজনীয় টুল’স এখানে বিল্ড ইন থাকে। kali Linux ইন্সটল করার পর এডভান্স হ্যাকিং শুরু করা যায়। অবশ্য উইন্ডোজেও হ্যাকিং করা যায় কিন্তু সেখানে বেশ কষ্ট হয়ে পরবে। উইন্ডোজে হ্যাকিং করতে হলে নিজে থেকে সফটওয়্যার বানিয়ে হ্যাক করতে হয়। অপরদিকে Kali Linux এ এসকল আপ্লিকেশন আগে থেকে থাকে যা ইথিকাল হ্যাকার কমিউনিটি বা লিনাক্স থেকে তৈরি। আরো যারা এডভান্সড তারা তাদের কাজের জন্য আরো কিছু সফটওয়্যার ব্যাববহার করে থাকে।
    Kali Linux অপারেটিং সিস্টেম আপনি ফ্রি ডাউনলোড করতে পারবেন। অবশ্যই লাপটপ বা কম্পিউটার  ব্যবহার করা হয়।
  • আমরা শুনি থাকি kali Linux এটা,সেটা আরো কত কি। মূলত এটি একটি অপারেটিং সিস্টেম যা শুধু মাত্র হ্যাকারা ব্যবহার করে থাকে।
  • >এখন আসি Kali Linux এ কী কী সফটওয়্যার দেখতে পাই এবং এর কাজগুলো কী?

এডভান্স হ্যাকিং এর ক্ষেত্রে এরা কালি লিনাক্স এর  ভূমিকা:-

*আমরা আপ্লিকেশনসে (মেনু) ক্লিক করলে দেখতে পারব। আমরা যে সকল আপ্লিকেশন দেখতে পারব তা কোনো গ্রাফিকাল আ্যাপ না। কালি লিনাক্সের প্রায় সকল আ্যাপ-ই কমান্ড ফ্রম সিস্টেমেই দেখা যায়। এখানে বেশি ছবি দেখতে পারব না। সব কিছু কমান্ড ল্যাংগুয়েজে দেখতে পারব।

১.information gathering- এই ক্যাটাগরির কিছু আ্যাপ আছে। এর সাহায্যে যেকোনো ওয়েবসাইট বা সার্ভারের ইনফরমেশন জানতে পারব।

2.Vulnerabilities analysis- এই ক্যাটাগরির ৮ টি আ্যাপ আছে। এর সাহায্যে যেকোনো ওয়েবসাইট বা সার্ভারের দূর্বল দিক বের করা যায়।

৩.web application analysis- এই ক্যাটাগরির ৯ টি আ্যাপ আছে। এর সাহায্যে যেকোনো web application এর সিকিউরিটির বিশ্লেষণ করা যায়। যেমন ওয়ার্ডপ্রেস বা জুমলা ইত্যাদি।

৪.detabase assessment- এই ক্যাটাগরির ১০ টি আ্যাপ আছে। এর সাহায্যে যেকোনো ওয়েবসাইট বা সারবারের ডেটা বেস রিলেটেড কাজ করে থাকে। স্ক্যান বা ইনফরমেশন নেওয়া যায়।

৫.password attack – নাম দেখে সবাই হয়ত বুঝেই গিয়েছেন এটার কি কাজ। এটা অবশ্যই illegal আ্যাপ। আমি শুধু মাত্র আপনাদের শেখার জন্য জানাচ্ছি। এই আ্যাপের সাহায্যে অন্যের পাসওয়ার্ডের উপর আ্যাটাক করা যায়।

৬.wireless attack- এর মাধ্যমে ওয়াই ফাই আ্যাটাক করা সম্ভব হয়।

৭.reverse engineering– এক অপারেশন করার মধ্য অন্য দিকে কি রি-আ্যাকশন হয় তা দেখা। এটি এডভান্স ফিচার।

৮.sniffing &spoofing– বিভিন্নভাবে ধোকা দেওয়ার সিস্টেম।

৯.forensic– এটার মাধ্যমে কারো কম্পিউটারের উপর নজর রাখা যায়। এটা শুধুমাত্র হাই লেভেলের হ্যাকাররাই পারে।

*এছাড়া আরো কিছু টুল’স থাকে।

বি:দ্র: শুধু মাত্র শেখার জন্য লেখা। কেউ দয়া করে অসৎ কজে জন্য উৎসাহী হবেন না।

পোস্টের মাধ্যমে যদি সামান্য উপকৃত ও কিছু জানতেশিখতে পারেন তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন ধন্যবাদ

 

21 thoughts on "[Kali Linux] কালি লিনাক্স হ্যাকিং পর্বঃ ১"

  1. Sowrov Contributor says:
    but vai aI ta r ki kono apps asa ja oi apps dea hack kora jaba post ar sob kiso!!
  2. sohag sarker Contributor says:
    kali nilux phone us korte chai
    1. mdriaz.rs Contributor says:
      vaiI ar age hacking a Kali Linux niye ekta post ache seta aponi. hacking category te gele paben… (MRI.RK420)
  3. sonnasi Subscriber says:
    download link ase?
  4. sonnasi Subscriber says:
    download link ase?
  5. TA S IN Contributor says:
    android ar jonno “Kali Linux” er 1ta post koriyen bhai & etar command gula o niye ekta post koriyen?
  6. Parves Hossain Rabby Author says:
    ব্রো বানানের দিকে একটু সতর্ক হন…
    1. Hasan420 Author Post Creator says:
      kothai vul hoychea plase bolen
  7. Nabil1122 Contributor says:
    কালি লিনাক্স এর নিয়মিত টিউটোরিয়াল দিন ব্রো
  8. Asifkst21 Contributor says:
    Vai apnar fb id dawa jaba
    1. Hasan420 Author Post Creator says:
      amar trick bd profile a paben
    2. Asifkst21 Contributor says:
      Koi pailam na to
  9. Partha Majumder Contributor says:
    Facebook Bruteforce attack niya post koren kali linux er
  10. Masud73MR Contributor says:
    কারো ফোন হ্যাক করে তার ফোন থেকে পিকচার আমার ফোনে আনা যাবে এমন কোন এপ্স আছে কি? জানা থাকলে বলবেন প্লিজ
  11. Shadin Contributor says:
    নাইচ পোস্ট।
  12. Shadin Contributor says:
    বানান প্রচুর ভুল।
  13. Orion Contributor says:
    Bro phony use korty chi.link din jsta diya phony use korty parbo.

Leave a Reply