সবাই কেমন আছেন আশাকরি সবাই ভাল আছেন?
যাই হোক আজকে আমি এই পোস্টে হ্যাকিং এর ইতিহাস সম্পর্কে যানাতে এসেছি, আপনি যদি ইন্টারনেট ব্যবহার করেন তাহলে কখুন না কখুন হ্যাকিং এই শব্দটি অবশ্যই শুনেছেন। কিন্তু আপনি কি যানেন এই হ্যাকিং এর আসাল ইতিহাস বা এটা সর্ব প্রথম কবে এবং যে শুরু করে? যদি না যেনে থাকেন তাহলে অবশ্যই এই পোস্ট একটু মনোযোগ সহকারে পড়ুন অনেক কিছু তথ্য পাবেন বলে আমি আশাকরি।
কীভাবে হ্যাকিং হয় এবং কারা কীভাবে এ কাজে যুক্ত – তা এখনো সাইবার বিশেষজ্ঞদের কাছে পরিষ্কার নয়। যদিও সাতের দশকেই এর সঙ্গে পরিচয় ঘটেছে এবং এখনো নতুন নতুন জিনিস আবিষ্কার হয়ে চলেছে। ১৯৬০ সালে ম্যাসচুজ বিশ্ববিদ্যালয়ে হ্যাকিং বিষয়ে আলোচনা হত বলে জানা গেছে। তখন অবশ্য কম্পিউটারের মাধ্যমে শর্টকাট পদ্ধতি ব্যাবহার করাকেই হ্যাকিং বলা হত। ১৯৬৩ সালের ২০ নভেম্বর এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের গবেষনাপত্রে হ্যাকিং শব্দটির উল্লেখ পাওয়া যায়।
এরপর আটের দশক। ফোন হ্যাকারদের দাপট শুরু হল। প্রথমদিকের ফোন হ্যাকারদের (এদের বলে ফ্রেকারস) মধ্যে জন ড্রেপারের নাম উল্লেখযোগ্য। গ্রুপ হ্যাকিং ও শুরু হল এই সময়েই। তারা ইলেকট্রনিক বুলেটিন বোর্ড সিস্টেমস ব্যাবহার করত। হ্যাকিং নিয়ে প্রথম ম্যাগাজিন ‘২৬০০’ প্রকাশিত হল ১৯৮৪ সালে। কীভাবে হ্যাকার হওয়া যায়, সারা পৃথিবীতে বিশেষ কী কী হ্যাকিং-এর ঘটনা ঘটেছে, ইত্যাদি বিষয়ে এটি বিশেষ ম্যাগাজিন। ১৯৮৬ সাল। হ্যাকিং-এর ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হলেন আমেরিকার রবার্ট মরিস। ৬ হাজার সরকারী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটের যাবতীয় তথ্য সে হ্যাক করে নিয়েছিল। তিন বছরের জেল এবং ১০ হাজার পাউন্ড জরিমানা হল রবার্টের।
নয়ের দশকে হ্যাকারদের স্বর্গের সময় বলে ধরা হয়। ১৯৯৫ সালে প্রায় ২০ হাজার ক্রেডিট কার্ডের নম্বর চুরি করে নেওয়ার অপরাধে সিরিয়াল কম্পিউটার ক্রিমিনাল কেভিন মিউনিখের ৫ বছরের জেল হল। ২০০০ সালে Danial Of Service (DOS) নামে আর একটি নতুন ধরণের কম্পিউটার আক্রমণের ঘটনা ঘটল। এই বছরেই পৃথিবীর সবচেয়ে বড়ো আক্রমণটি ঘটল অতিপরিচিত ইয়াহু (Yahoo) এবং আমাজন (Amazon) সাইটের ওপর। এ বছরেই আর একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটল। ওই বছরের মে মাসে পৃথিবীর কয়েক কোটি মানুষের মেলবক্সে ছড়িয়ে পড়েছিল “I LOVE YOU” ভাইরাস।
অনেক খোঁজাখুঁজি করে আপনাদের জন্য এই পোস্ট টা লিখেছি। এই ধরণের লেখা আপনাদের কেমন লাগে কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না।
My website