বর্তমানে জিমেইল হ্যাক অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে যেসব জিমেইলে ইউটিউব চ্যানেল, ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ইত্যাদি যুক্ত আছে সেসব জিমেইল গুলো বেশি হ্যাক হচ্ছে।

এছাড়া আমরা আমাদের জিমেইল এর মাধ্যমে অনেক পার্সোনাল তথ্য আদান প্রদান করি। আমাদের জিমেইল যদি হ্যাক হয়, সেক্ষেত্রে আমাদের অনেক ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। তাহলে চলুন জিমেইলকে কিভাবে সুরক্ষিত রাখবেন জেনে নিই…

• জিমেইল অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়েছে কি না কিভাবে বুঝবেন:
২০১৯ সালের অক্টোবরে গুগল তাদের ক্রোম ওয়েব স্টোর এ লঞ্চ করেছিল “Google Password Checkup” অ্যাড-অন। আপনি চাইলে এই টুল ব্যবহার করে জেনে নিতে পারেন আপনার ইমেল কখনও হ্যাক হয়েছে কি না।

কিভাবে ব্যবহার করবেন:
১. প্রথমে আপনি ক্রোম ওয়েব স্টোর থেকে গুগল পাসওয়ার্ড চেক আপ এক্সটেনশনটি ডাউনলোড করে নিন।
২. আপনার ব্রাউজার এর মধ্যে যদি আপনার জিমেইল অলরেডি লগইন থাকে, তাহলে সেটা টুলস এর মধ্যে অটোমেটিক লগইন হয়ে যাবে। আর যদি লগইন না থাকে তাহলে আপনার জিমেইল এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করুন।
৩. যদি আপনার ইউজারনেম এবং পাসওয়ার্ড গুগলের ডাটাবেজে থাকা ৪০০ থেকে ৫০০ কোটি হ্যাক হওয়া ইমেইলের সাথে মিল থাকে, তাহলে এক্সটেনশনটি আপনাকে সতর্ক করে দেবে।

এছাড়া কোন কোন ওয়েবসাইট থেকে আপনার ই-মেইলটি হ্যাক হয়েছে সেটাও জানিয়ে দিবে।

আপনার যদি গুগল ক্রোমের এই এক্সটেনশনটি ভালো না লাগে সেক্ষেত্রে আপনি চাইলে “Have I Been Pwned” ওয়েবসাইট থেকেও আপনার ইমেইল হ্যাক হয়েছে কিনা জানতে পারবেন। তবে আমার মতে গুগলই বেস্ট।

• জিমেইল অ্যাকাউন্ট হ্যাক হলে কী করবেন:
১. আপনার ইউজারনেম, পাসওয়ার্ড অথবা ইমেইল এর নাম যদি হ্যাক হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে মিল পাওয়া যায়, তাহলে দ্রুত জিমেইল এর পাসওয়ার্ড পাল্টে ফেলুন।
২. শুধুমাত্র জিমেইল নয়, আপনার ওই জিমেইলটি যে যে জায়গায় যুক্ত করা হয়েছে, সে সব জায়গার পাসওয়ার্ড গুলোও পাল্টে ফেলুন।
৩. আপনার জিমেইলে অবশ্যই কোনো শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন। জিমেইল এর মধ্যে ব্যবহারকৃত পাসওয়ার্ডটি অন্য কোথাও ব্যবহার করবেন না।
৪. এছাড়া জিমেইল এর মধ্যে টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন চালু করে দিন। এতে করে আপনার জিমেইলে অতিরিক্ত সুরক্ষা থাকবে।
৫. আপনার জিমেইল এর মধ্যে একটি রিকভারি মোবাইল নম্বর বা ইমেইল যুক্ত করুন। সেটা কাউকে বলবেন না।

ইউটিউবে অবশ্যই আলাদা একটি ইমেইল যুক্ত করে, সেটা দিয়ে ইউটিউব চ্যানেল ম্যানেজ করবেন। ইউটিউব একাউন্ট এর মূল ইমেইলটি সব সময় লুকিয়ে রাখবেন। এতে করে আপনার ইউটিউব চ্যানেল যদি হ্যাক হয়, সেক্ষেত্রে আপনার এডমিন ইমেইলটি হ্যাকার সরাতে একদিন সময় লাগবে।

ওই একদিনের মধ্যে আপনি আপনার অ্যাকাউন্টের পারমিশন নিজের হাতে নিয়ে নিতে পারবেন।

আশা করি আজকের পোস্টটি আপনাদের অনেক ভালো লেগেছে।

সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।

 

ফেসবুক পেজকে জনপ্রিয় করার কয়েকটি উপায়

ভার্চুয়াল Ram (Virtual Ram) কি? ভার্চুয়াল Ram এর সুবিধা এবং অসুবিধা What is virtual Ram in Bangla

Leave a Reply