আসসাামুআলাইকুম বন্ধুরা। কেমন আছেন সবাই। আশাকরি মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে সকলে বেশ ভালো আছেন।
আজকে আমি আপনাদের সকলের সামনে এমন একটি গুরুত্তপূর্ণ তথ্য নিয়ে হাজির হলাম যা আপনাদের সকলের জেনে রাখা খুবই দরকার।
এবং আপনাদের অন্যান্য ফ্রেন্ড সার্কেল অথবা রিলেটিভ দের কেও জানিয়ে দেওয়া দরকার।
আচ্ছা আপনাকে যদি বলা হয় অ্যাপ ডাউনলোড এর সবচেয়ে বিশ্বস্ত উপায় কোনটা? খুবই সহজ প্রশ্ন সকলে নির্দ্বিধায় উত্তর দিবেন “প্লে স্টোর”।
এমনটা হওয়ার ও কথা। কারন আমরা সকলে জানি যে গুগল এর আইন কানুন অনুযায়ী সম্পূর্ণ বৈধ, কপিরাইট ফ্রি, ও ম্যালওয়্যার(যারা ম্যালওয়্যার চিনেন না তাদের কে বলছি ভাইরাস এর অপর নাম ম্যালওয়্যার। ) মুক্ত অ্যাপ রাখা হয় প্লে স্টোরে।
কিন্ত কেমন লাগে যখন এই প্লে স্টোর এর অ্যাপ গুলো তেই দেখা যায় এগুলো ম্যালওয়্যার(যারা ম্যালওয়্যার চিনেন না। তারা জেনে রাখুন। ভাইরাস এর অপর নাম ম্যালওয়্যার।) ডিটেক্টেড্ড?
ঠিক এমন টাই হয়ে আসছে গত 6 মাস যাবৎ। প্লে স্টোর এর অ্যাপ গুলো তে পাওয়া যাচ্ছে ভাইরাস। এবং এগুলো কোনো সাধারণ ভাইরাস নয়। এই ভাইরাস গুলো হচ্ছে খুবই খুবই শক্তিশালী ভাইরাস।
আজকাল প্লে স্টোর এর অ্যাপস থেকে এমন সব বিষাক্ত ভাইরাস পাওয়া যাচ্ছে যেগুলো আপনার ফোনের ফুল অ্যাকসেস নিয়ে নিতে পারে।
আপনার জিমেইল, ফেসবুক, Whatsapp, সকল অ্যাকাউন্ট এর পাসওয়ার্ড বের করে নিতে পারে। আপনার ফোনে রাখা ডেটা সমূহ ডিলিট ও চুরি করে হ্যাকার দের নিকট পৌঁছে দিতে পারে।
কিছু কিছু ভাইরাস এমন হয় যে আপনার ফোন কে রুট(যারা রুট সম্পর্কে জানেন না তাদের বলছি, ফোন রুট করা মানে ফোনের অ্যান্ড্রয়েড সিস্টেম কে নষ্ট করে দেওয়া। ফোন রুট হয়ে গেলে আপনার ফোনের ওয়ারেন্টি বাতিল হয়ে যাবে। তখন সার্ভিস সেন্টার এও ফোন ঠিক করে দিবেনা।) পর্যন্ত করে দিতে পারে।
আর এই ভাইরাস যুক্ত অ্যাপস গুলো কোনো ছোট খাটো, কিংবা প্লে স্টোরে লুকিয়ে থাকা কোনো সাধারণ অ্যাপ নয়। এদের মধ্যে কিছু কিছু অ্যাপস আছে যা খুবই ভাইরাল।
আবার কিছু অ্যাপস আছে যা লোকেরা নিয়মিত ব্যাবহার করে আসছে। এবং কয়েকটি ভাইরাস যুক্ত অ্যাপস তিন মিলিয়ন এর বেশি ডাউনলোড হয়েছে।
তবে এর মাঝেও একটি খুবই ভাল হচ্ছে যে গুগল কোম্পানি অনেক প্রচেষ্টার পরে ফাইনালি এমন অনেক গুলো অ্যাপ প্লে স্টোর থেকে বের করে দিতে সক্ষম হয়েছে।
কিন্তু এই কাজ টা করতে গুগলের অনেক সময় লেগে গিয়েছে। এবং অনেক ইউজার ভোগান্তি তে পড়ে গিয়েছে।
তবে কিছু অ্যাপস আছে যা আমি লিখে দিচ্ছি এই অ্যাপস গুলো ভুলেও আপনার ফোনে ইন্সটল করবেননা। আর আগে করে থাকলে এখনই আনইন্সটল করে ফেলুন। এই অ্যাপ গুলো তে ম্যালওয়্যার থাকার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।
১.Vlog Star Video Editor
২. Creative 3D Launcher
৩. Wow Beauty Camera
৪. Gif Emoji Keyboard
৫. Razer Keyboard and Theme
৬. Freeglow Camera 1.0.0
৭. Coco Camera v1.1
এই 7 টি সহ আরো অনেগুলো অ্যাপস এ ভাইরাস পাওয়া গেছে। এইগুলো আপনার বা কারো ফোনে থেকে থাকলে জলদি ই aninstall করে ফেলুন।
এখন আপনার আমার সকলের মনে প্রশ্ন যে এইগুলো হচ্ছে কিভাবে? গুগল কিভাবে এত বড়ো ভুল করতে পারে?
এই ব্যাপারে আমি আমার কিছু ব্যাক্তিগত মতামত শেয়ার করি। আমার যেটা মনে হয় সেটা বলছি।
আমার মনে হয় কোনো অ্যাপ যখন কোম্পানি পাবলিশ করে বা ডেভলপার তৈরী করে। তখন তারা গুগলের সমস্ত লিগ্যাল নথিপত্র তে সাইন করে সম্পুর্ণ ভাইরাস মুক্ত অ্যাপ পাবলিশ করে।
কিন্তু যখনই তারা অ্যাপস এ আপডেট আনে তখনই আসে এই ধরনের সমস্যা। Developer রা হয়তো এমন কিছু ফিচার আনে যেগুলো আগেই থেকেই তৈরী করা থকে।
অথবা এমন কিছু প্রোগ্রাম ব্যাবহার করে যেগুলো আগেই কোথাও তৈরী করা থাকে। তারা জাস্ট কিছুটা এডিট করে। বাকি সব প্রোগ্রাম কপি করে পেস্ট করে দেয়।
ঠিক ওই কপি করা প্রোগ্রাম এই রয়ে যায় ভাইরাস। যেটা গুগল ও ডেভলপার দুই জনের কেউ ই খেয়াল করেনা। এটা দুই পক্ষের ই খামখেয়ালী বলা যায়।
গুগল এখন এই নীতি তে পরিবর্তন আনছে। আপনার প্লে স্টোরে থাকা অ্যাপ এ যদি ভাইরাস পাওয়া যায় তাহলে আপনি সরাসরি জেলে যাবেন।
আপনার অ্যাপ ব্যান্ড হোক বা না হোক সেটা পরের কথা। ভাইরাস পাওয়া গেলে আপনাকে আগে জেলে যেতে হবে। শুধু তাই নয়। আমাদের trickbd অ্যাপ এও যদি সামান্য ভাইরাস পাওয়া যায়। তাহলে trickbd কতৃপক্ষ কেও জেল খাটতে হবে।
আজ তাহলে এই পর্যন্তই থাক। আপনারা সকলেই ভাল থাকুন। সুস্থ থাকুন। আর কোনো সমস্যা হলে আমাকে জানান। আর আমার পরবর্তী পোস্ট টি কিসের উপর চান সেটি আমাকে জনিয়ে দিন কমেন্টে, জিমেইল এ, অথবা টুইটারে।
জিমেইল: marufkhan1215@gmail.com
Twitter: 1215maruf