Be a Trainer! Share your knowledge.
Home » Hacking tutorials » হ্যাক, হ্যাকিং ও হ্যাকার, [মেগা টিউন]

হ্যাক, হ্যাকিং ও হ্যাকার, [মেগা টিউন]

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন? আশা করি ভালো আছে?
আজকে আবার ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটা টিউন নিয়ে। নতুন বললে ভুল হবে অনেক দিন আগের টিউন, ট্রিক বিডিতে টিউন করবো ভেবে আর লেখা হয় নাই। কারণ তখনো আমি কন্ট্রিবিউটর ছিলাম। তাই আজকে পোস্ট করতে চলেছি। আশা করি সবার ভালো লাগবে।

বিঃদ্রঃ বেশ কিছু তথ্য গুগোল থেকে সংকলন করা হয়েছে।

তাহলে চলুন শুরু করা যাক আলোচনা

হ্যাকঃ বর্তমানে আমরা বুঝি হ্যাকিং হলো সেইসব বিষয় যেমন- ফেসবুক পাসওয়ার্ড চুরি করা, ফ্রী ইন্টারনেট ব্যাবহার করা, প্লে স্টোরে থেকে গেম বা অ্যাপ ডলার ছারা ইন্সটল করা ইত্যাদি । আরও কিছু মানুষ আছে যারা কম্পিউটার, মোবাইল ফোন এবং ইন্টারনেট ভালোই ব্যাবহার করতে পারে, তারা অবশ্য গুগল সার্চ করতে পারে কিন্তু শর্ট সার্চ পছন্দ করে যেমন Hack, game hack, phone hack বা facebook hack কিন্তু এভাবে তো আর হ্যাকিং কি সেটা বোঝা যায় না। যাহোক এরা মোটামুটি হ্যাকিং সম্পর্কে  ভালোই জানে যেমন ওয়েবসাইট হ্যাক, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট হ্যাক, অপারেটিং সিস্টেম হ্যাকিং ইত্যাদি।

হ্যাকিং কি?

হ্যাকিং একটি প্রক্রিয়া যেখানে কেউ কোন বৈধ অনুমতি ছাড়া কোন কম্পিউটার বা কম্পিউটার নেটওয়ার্কে প্রবেশ করে। যারা এ হ্যাকিং করে তারা হচ্ছে হ্যাকার। হ্যাকিং অনেক ধরনের হতে পারে। আপনার মোবাইল ফোন, ল্যান্ড ফোন, গাড়ি ট্র্যাকিং, বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক্স ও  ডিজিটাল যন্ত্র বৈধ অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে তা ও হ্যাকিং এর আওতায় পড়ে।  হ্যাকাররা সাধারনত এসব ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রের ত্রুটি বের করে তা দিয়েই হ্যাক করে।

এবার আসি হ্যাকার কে বা কারা?

হ্যাকারঃযে ব্যাক্তি হ্যাকিং practice করে তাকেই হ্যাকার বলে“। এরা যে সিস্টেম হ্যাকিং করবে ঐ সিস্টেমের গঠন, কার্য প্রনালী, কিভাবে কাজ করে সহ সকল তথ্য জানে। আগে তো কম্পিউটারের এত প্রচলন ছিলনা তখন হ্যাকার রা ফোন হ্যাকিং করত। ফোন হ্যকার দের বলা হত Phreaker এবং এ প্রক্রিয়া কে বলা হ্য Phreaking । এরা বিভিন্ন টেলিকমনিকেশন সিস্টেমকে হ্যাক করে নিজের প্রয়োজনে ব্যবহার করত।

তিন প্রকারের হ্যকার এর কথা রয়েছেঃ বলে রাখি হ্যাকারদের চিহ্নিত  করা হয় Hat বা টুপি দিয়ে।

   1. White hat hacker(হোয়াইট হ্যাট হ্যাকার)
2. Grey hat hacker(গ্রে হ্যাট হ্যাকার)
3. Black hat hacker(ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকার)

White hat hacker(হোয়াইট হ্যাট হ্যাকার)ঃ অনেকেই মনে করে হ্যাকিং খুবই খারাপ কাজ তাই না? না হ্যাকিং খুব খারাপ  কাজ না।  White hat hacker  হ্যাকাররাই তার প্রমান করে যে হ্যাকিং খারাপ কাজ না। যেমন একজন white hat hacker  একটি সিকিউরিটি সিস্টেমের ত্রুটি গুলো বের করে এবং ঐ সিকিউরিটি সিস্টেমের মালিকে ত্রুটি দ্রুত জানায়। এবার সিকিউরিটি সিস্টেমটি হতে পারে একটি কম্পিউটার, একটি কম্পিউটার নেটওয়ার্কে্‌ একটি ওয়েব সাইট, একটি সফটোয়ার ইত্যাদি।

Grey hat hacker (গ্রে হ্যাট হ্যাকার) হচ্ছে দু মুখো সাপ। কেন বলছি এবার তা ব্যাখ্যা করি। এরা যখন একটি একটি সিকিউরিটি সিস্টেমের ত্রুটি গুলো বের করে তখন সে তার মন মত কাজ করবে। তার মন ঐ সময় কি চায় সে তাই করবে। সে ইচ্ছে করলে ঐ সিকিউরিটি সিস্টেমের মালিকে ত্রুটি জানাতে ও পারে অথবা ইনফরমেশন গুলো দেখতে পারে বা নষ্ট ও করতে পারে। আবার তা নিজের স্বার্থের জন্য ও ব্যবহার করতে পারে। বেশির ভাগ হ্যকার রাই এ ক্যাটাগরির মধ্যে পড়ে।

Black hat hacker:(ব্ল্যাক হহ্যাট হ্যাকার) আর সবছেয়ে ভয়ংকর হ্যাকার হচ্ছে এ Black hat hacker । এরা কোন একটি সিকিউরিটি সিস্টেমের ত্রুটি গুলো বের করলে দ্রুত ঐ ত্রুটি কে নিজের স্বার্থে কাজে লাগায়। ঐ সিস্টেম নষ্ট করে। বিভিন্ন ভাইরাস ছড়িয়ে দেয়। ভাবিষ্যতে নিজে আবার যেন ঢুকতে পারে সে পথ রাখে। সর্বোপরি ঐ সিস্টেমের অধিনে যে সকল সাব-সিস্টেম রয়েছে সে গুলোতেও ঢুকতে চেষ্টা করে।

হ্যকাররা অনেক বুদ্ধিমান এটা সর্বোজন স্বীকৃত বা সবাই জানে। অনেক ভালো ভালো হ্যাকার জীবনেও কোন খারাপ হ্যাকিং করে নি। কিন্তু তারা ফাঁদে পড়ে বা কারো উপর রাগ মিটানোর জন্য একটি হ্যাকিং করল। তখন তুমি তাকে উপরের কোন ক্যাটাগরিতে ফেলবে? সেও Grey hat hacker কারন তার হ্যাকিং টা নির্ভর করছে তার ইচ্ছে বা চিন্তার উপর।

নিচে আরো কয়েক প্রকারের হ্যাকারদের সংগে তোমাদের পরিচয় করিয়ে দিচ্ছিঃ

Anarchists: Anarchists হচ্ছে ঐ সকল হ্যাকার যারা বিভিন্ন কম্পিউটার সিকিউরিট সিস্টেম বা অন্য কোন সিস্টেম কে ভাঙতে পছন্দ করে। এরা যেকোন টার্গেটের সুযোগ খুজে কাজ করে।

Crackers: অনেক সময় ক্ষতিকারক হ্যাকার দের ক্র্যাকার বলা হয়। খারাপ হ্যকাররাই ক্র্যাকার। এদের শক বা পেশাই হচ্ছে ভিবিন্ন পাসওয়ার্ড ভাঙ্গা এবং Trojan Horses তৈরি করা এবং অন্যান্য ক্ষতিকারক সফটয়ার তৈরি করা। (তুমি কি এদের একজন? তাহলে তো তুমি ই হচ্ছ হ্যাকিং এর কিং) ক্ষতিকারক সফটওয়ারকে Warez বলে। এসব ক্ষতিকারক সফটওয়ারকে তারা নিজেদের কাজে ব্যবহার করে অথবা বিক্রি করে দেয় নিজের লাভের জন্য।

Script kiddies: এরা কোন প্রকৃত হ্যকার নয়। এদের হ্যাকিং সম্পর্কে কোন বাস্তব জ্ঞান নেই। এরা বিভিন্ন Warez ডাউনলোড করে বা কিনে নিয়ে তার পর ব্যবহার করে হ্যাকিং ।

হ্যাকাররা অনেক ভাবে হ্যাকিং করে। আমি কয়েক প্রকারের হ্যাকিং সম্পর্কে আলোচনা করছিঃ

ডিনায়েল অফ সার্ভিস অ্যাটাক:   এই অ্যাটাকের মূল কাজ হচ্ছে কোন সিস্টেমকে অনেকটা সময় ধরে অকেজো করে দেয়া। এই কাজের জন্য সিস্টেমে অ্যাক্সেস থাকার প্রয়োজন নেই। যারা ডস অ্যাটাক করে থাকেন তাদের প্রথম কাজ হচ্ছে অনেকগুলো কম্পিউটারের (হাজরেরও বেশি) কন্ট্রোল প্রথমে নিজের হাতে নেয়া। অতপর একই সময়ে সবগুলো কম্পিউটার থেকে টার্গেট ওয়েবসাইটে ক্রমাগত রিকোয়েস্ট পাঠিয়ে যাওয়া। এতে করে ওই সিস্টেমটির বাফার ওভারফ্লো হয়ে কিছু সময় অকেজো হয়ে পড়তে পারে।  এতে লাভ কি? চিন্তা করুন, দুটি প্রতিযোগী কম্পানি অনলাইনে বেচাকেনা করে। একটি কোম্পানির ওয়েবসাইট যদি দুই ঘন্টাও বিকল থাকে অন্য কোম্পানির কি পরিমাণ লাভ!!!

ট্রোজান হর্স:  ট্রোজান হর্স একধরনের ম্যালওয়ার কিন্তু ভাইরাস নয়। ট্রোজান হর্স মূলতঃ ছদ্মবেশী প্রোগ্রাম। কিভাবে? ট্রোজান হর্স সিস্টেমের ইউজারের মাধ্যমেই ইনস্টল হয়। কিন্তু একজন ইউজার কেন জেনেশুনে ট্রোজান ইনস্টল করবে? এক্ষেত্রে ট্রোজানগুলো ইউজারকে বোকা বানায়। ট্রোজান হর্স ম্যালওয়ারগুলো এমন নাম ধারণ করে যাতে ইউজার মনে করে এরা কোন সিস্টেম প্রোগ্রাম।  আসলে এরা তা না।  নিজেই ছোট একটা পরীক্ষা করে দেখুন না। আপনার পিসির অল্টার+ কন্টোল+ডেল প্রসে করে টাক্স বার অন করুন। দেখুন লোকাল সার্ভিস বা এস.ভি.সি.হোস্ট নামে এমন কোন প্রোগ্রাম চলছে কিনা যার ইউজারের নামের জায়গায় সিস্টেমের পরিবর্তে অ্যাডমিনিস্ট্রেটর বা লগ-ইন নেইম দেখাচ্ছে। যদি এরকম হয় তবে নিশ্চিতভাবে সেটা ট্রোজান।

ব্যাকডোর: ব্যাকডোরের মূল কাজ হচ্ছে এর মাধ্যমে ইনট্রুডার তার বাসায় বসেও আপনার পিসিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। এমন কি অনেক ব্যাকডোর আপনার পিসিতে আপনি যে কাজ করছেন তার লাইভ ভিডিও স্ট্রীমিংও করতে পারে ইনট্রুডারকে।  আপনার পিসিকে ব্যবহার করে অন্য কোন সিস্টেমকে অ্যাটাক করা, আপনার পিসিকে অবৈধ কন্টেন্ট রাখার জন্যও ব্যবহার করতে পারে নিয়ন্ত্রণকারী।

Rogue Access Points : কোন ওয়ারলেস নেটওয়ার্কে প্রবেশের জন্য হ্যাকাররা Rogue Access Points  ব্যবহার করে।

এবার চলো দেখে নেওয়া যাক বিশ্বসেরা ৫ হ্যাকারকে।

ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আল্লাহ্‌ হাফেজ।

6 years ago (Jan 02, 2018)

About Author (145)

এম এইচ মামুন
author

{কিছু জানলে } (,) {না হয় জেনে নাও}

24 responses to “হ্যাক, হ্যাকিং ও হ্যাকার, [মেগা টিউন]”

  1. v Box? Contributor says:

    Haha lol ae gula trickbd r jay din start korsay chola oie din kar post haha

    • Server Error Author Post Creator says:

      ধন্যবাদ ভাই আপনাকে। কষ্ট করে পড়েছেন এবং বুঝেছেন।

  2. Sarwar Hossain Subscriber says:

    Good Post But Copy,,,,

  3. Server Error Author Post Creator says:

    লিংক প্লিজ ভাইয়া

  4. My_idiea Contributor says:

    hmmm bujhlam era hacker but laav ki holo ki upokar viewer der

    • Server Error Author Post Creator says:

      অবশ্যই লাভ হয়েছে ভাইয়া, আগামী টিউনে আরো জানতে পাড়বেন, ধন্যবাদ।

  5. §øĥāğ™ Author says:

    Love it,
    give us more details..

  6. IT Expert Legend Author says:

    খারাপ হ্যকাররাই ক্র্যাকার। এদের শক বা পেশাই হচ্ছে ভিবিন্ন পাসওয়ার্ড ভাঙ্গা এবং Trojan Horses তৈরি করা এবং অন্যান্য ক্ষতিকারক সফটয়ার তৈরি করা। – এ কথাটি মানতে পারছি না আমি তো বিজয় ক্র্যাক করেছি তাই বলে কি আমি একজন খারাপ হ্যাকার??? একজন ক্র্যাকার, অকজন খারাপ হ্যাকার – কথাটি সম্পূর্ণ ভুল।

    • Server Error Author Post Creator says:

      আপনি আপনার কাজের সুবাদে ক্রাক করেছেন তাহলে এটা খারাপে দিকে যাবে না

  7. iRajkel Author says:

    কপি পোষ্ট

  8. Sohan Razzak Contributor says:

    আকাইম্মা পোস্ট, ট্রিকবিডিতে সার্চ করলে এই রকম মেলা পোস্ট পাওয়া যাবে। BTW, ঐটা ডিনায়েল, না ড্যানিয়েল (Denial) অব সার্ভিস।।

  9. iRajkel Author says:

    না,খুব সুন্দর পোষ্ট

  10. SK SHARIF Author says:

    তাহলে আমি ৩ ধরনের হ্যাকারের মধ্যেই পড়ি! (ক্ষেত্র বিশেষে),,, আর এটা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বই থেকে নেয়া হয়েছে!

  11. Md Jahid Contributor says:

    ভাই আমাকে একটা সাহায্যে করবেন। আমি আপনাকে একজনের ফোন নম্বর দিব আপনি কি আমাকে দয়া করে তার নাম ঠিকানা বের করে দিতে পারবেন…??

Leave a Reply

Switch To Desktop Version