ইদানিং ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ এ এক ধরণের টেক্সট ভাইরাল হয়েছে যা তে ক্লিক করলেই ফোন হ্যাং হয়ে যায়। ফোন আর কোনো ভাবেই কাজ করে না। কিছুক্ষণ পরে অ্যাপ ক্রেশ করার পর ফোন পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসে। অনেকে মনে করে এতে মোবাইলে ভাইরাসের আক্রমণ হচ্ছে, অনেকে মনে করে ফোনের ডাটা হ্যাক হচ্ছে ইত্যাদি ইত্যাদি। প্রথমে বিষয়টি বিশ্লেষণ করার আগে ব্যাপারটি আপনাদের প্রেকটিক্যলি দেখাতে চাচ্ছি।
পোস্ট পড়তে পড়তে কেউ কোডে ক্লিক করবেন না নাহয় আবার ব্রাউজার ক্রেশ হয়ে যাবে।
প্রথমে নিচের লিনক থেকে গিয়ে টেক্সট কপি করে নিন। এবং কাউকে তা Whatsapp এ শেয়ার করুন আর দেখুন মজা।
Whatsapp এর বোমা
উপরের স্ক্রিনশট এর মত কাজ করুন তাহলেই হবে। এবার এই লেখাগোলোতে কেউ টাচ করলেই কাজ হয়ে যাবে।
সাবধানতা:এই লেখায় আপনি ভুলে ক্লিক কইরেন আবার।
তাহলে আপনার ১২ টা বাজবে?।
FACEBOOK MESSENGER
??
বোমাগোলোর যেকোনো একটিই যথেষ্ট। কাউকে এটি পাঠিয়ে দেখুন তার মেসেঞ্জারের ১২ টা বাজবে।
Messenger এর বোমা
এতক্ষণ উপরের কাজগোলো ছিল প্রেক্টিক্যল, এবার বিশ্লেষণ করার পালা।প্রথমে বলে রাখি
- এই কাজ করাতে ১ পারসেন্ট ক্ষতি হবে না কারু।
- ফোন হ্যাক,ভাইরাস,ফোনের কোনো ক্ষতি হবে না।
- এতে শুধুমাত্র অ্যাপ ক্রেশ করবে যা ৩০-৬০ সেকেন্ডে ঠিক হয়ে যাবে।
এবার এই কোড বা লেখাগোলো কীভাবে কাজ করে তা বলি,তাহলেই বুজে যাবেন ফোনের কোনো ক্ষতি হবে কি না।
বোমা তৈরি
আমরা যখন কাউকে কোনো মেসেজ বা ইমুজি পাঠায় তা তখন আমরা কীভাবে দেখি? বা কীভাবে আমাদের ফোন বুজতে পারে কী মেসেজ পাঠানো হয়েছে এবং তা আমাদের কীভাবে দেখায়। উত্তর হল এত কঠিন কিছু না। প্রত্যক শব্দের জন্য কিছু কোড আছে যা আমাদের মোবাইল ফোন ব্যবহার করে এবং সেই কোড অনুযায়ী আমাদের দেখায় কী পাঠানো হয়েছে। যেমন: আমি লিখলাম
A B ( এ স্পেস বি) এখানে A এর জন্য Space এর জন্য এবং B এর জন্য আলাদা আলাদা কোড রয়েছে(সহজ ভাষায়) এতে মোবাইল ফোন বা কম্পিউটার বুযে যায় আমাদের ডিসপ্লে তে কী দেখাতে হবে। এখানে Space কিন্তু ফঁাকা না তার জন্যও কোড রয়েছে। এবং কম্পিউটার জানে কোন কোড এর জন্য কী দেখাতে হবে। কিন্তু এমন কিছু শব্দ/ক্যারেকটার আছে যা কম্পিউটা/ফোন
ডিস্পলে তে দেখাতে পারে না। যা আমাদের সাম্নেই থাকে কিন্তু ডিসপ্লে তে দেখায় না। উপরের বোমা গোলো এইভাবেই তৈরি হয়েছে। এখানে এমব কিছু কয়েক হাজার কোড/শব্দ/ক্যারেকটার ব্যবহার করা হয়েছে যা ডিসপ্লে তে স্বাভাবিক ভাবে দেখা যায় না।
Whatsapp এর Don’t touch এর কোড যখন আমি ASCII তে কনভার্ট করি তখন দেখায় যায় এতে ২৩৬৪৩ ক্যারেকটার আছে। এর মানে এতগোলো শব্দ যখন মেসেজে পাঠানো হয় তখন Whatsapp তা লোড নিতে পারে না ফলে ক্রেশ খায়। তাই বুজতেই পারলেন এই বোমা কীভাবে কাজ করে এবং এতে সহজে বুজা যায় মোবাইলের তেমন ক্ষমতা না থাকার কারণে কাজটি শেষ করতে পারে না এবং ক্রেশ খায় এবং তার আগে হ্যাং হয়ে পড়ে থাকে।
Crash
আমাদের ফোনের যেমন নির্দিষ্ট ক্ষমতা আছে তেমন প্রত্যক অ্যাপ এর আলাদা আলাদা ক্ষমতা আছে। তেমন কোনো অ্যাপ এর ক্ষমতা আছে যে সে কী পরিমাণ কাজ করতে পারবে।যদি তার চেয়ে বেশি কাজ দেয়া হয় তাহলে সে কোন কাজ আগে করবে তার চিন্তা করতে করতে স্টপ হয়ে যায় এবং কিছুক্ষণ পরে ক্রেশ করে বা বেহুশ হয়ে যায় এবং অল্প সময়ে তার জ্ঞান ফিরে আসে।অ্যাপ এর এই অবস্থা কে আমরা হ্যাং/ক্রেশ নামে জানি। উপরের বোমা তৈরি তে অধিক পরিমানে ক্যারেকটার ব্যবহার করা হয়েছে যার ফলে এত কাজ করা Whatsapp এর জন্য সম্ভব হয়নি এবং তা যা হওয়ার হয়ে যায়।
প্রশ্ন
এখন প্রশ্ন অন্যান্য অ্যাপ এর ও ত এই ক্ষমতা না থাকতে পারে তাহলে কি তারাও ক্রেশ হবে? হ্যা অবশ্যাই হবে। Whatsapp এর মত Youtube, Telegram ইত্যাদিও ক্রেশ হবে। এবং ফেসবুকের দেয়া বোমটি আরো অনেক বেশি জায়গায় কাজ করে। কোড ২ টি আলাদা আলাদা ভাবে ফেসবুক এবং Whatsapp লিখে দেয়ার
কারণ এই দুইটি এই দুই ভিন্য জায়গায় ভাইরাল হয়েছে তাই। এই কোড দুইটির যেকোনো একটি কপি করে সব্জায়গায় দিতে পারবে কাজ করবে।
আমি
গত পোস্ট আমার শেষ পোস্ট বলেছিলাম কিন্তু কথা রাখতে পারিনি??। ট্রিকবিডিতে পোস্ট করার লোভ আমাকে ছাড়েনি। তাই চিন্তা করলাম ট্রিকবিডিকে পড়ালেখার মাধ্যম বানাব। আমাদের আইসিটি সব্জেক্ট এ যেই HTML আছে তা প্রেকটিস করার জন্য ট্রিকবিডির চেয়ে ভাল কোন মাধ্যম আর নেই। ক্ষমা চাই ভুল হলে। পরীক্ষা চলছে দুয়া করবেন।