Site icon Trickbd.com

নিয়নবাতি [পর্ব-১০] মজার কিছু মন মাতানো হ্যাকিং

আজ আমি শেখাবো কিভাবে ইন্টারনেট ছাড়া কিংবা সফটওয়ার ছাড়াই অন্যের মোবাইল ফোন হ্যাক করে তার লোকেশন এবং তার সম্পর্কে ডিটেইলস ইনফরমেশন জানা যায়।
আমার কথাতে অনেক হাসতে পাররেন, হাসি নয় এটার নামই হ্যাকিং।

আপনারা কেউ কি কি জানেন পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী হ্যাকিং সফটওয়ার এর নাম কি???
ইটস কলড “সোস্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং” আর এটা পিসিতে নয় আপনার আমার মাথাতে ইনস্টলাইজেশন করতে হয়; যে যতো ভালো ইনস্টল করতে পারবেন তিনিই ততো ভালো হ্যাকিং শিখতে পারবেন ততো ভালো হ্যাকার হতে পারবেন।

আসুন শুরু করি….

★ অপরিচিত কারো নাম্বারে কল দিয়ে সালাম দিয়েই বলুন “হ্যালো শামিম ভাই, আপনি কেমন আছেন। আমি তো বসুন্ধরার সামনের রোডে আছি কিন্তু আপনি কই?” এরপর ঐ ব্যক্তিটি যদি নাকচ করে তবে “সরি ভাইয়া, মাফ করবেন। আপনি কে বলছেন প্লিজ” আশা করা যায় তিনি অজান্তেই নিজের নাম বলে দিবেন।
যদি অপরিচিত ব্যক্তিটি ফিমেল হয় “শামিম” না বলে “শামিমা” বলে ডাকতে যেন ভুলবেন না; ইটস ইজি ম্যান!
★আপনি যদি ফিমেল হন তবে এমন হ্যাকিং এর ক্ষেত্রে ১০০% এর ভেতর ৮০% এমনিতেই সফল হবেন বাকি ২০% নির্ভর করবে আপনার দক্ষতা আর জ্ঞানের ওপর।ধরুন আপনি কোন ব্যক্তির যাবতীয় তথ্য জানতে চান তাহলে সবার আগে রং নাম্বার পরিচয়ে তাহার সাথে কথা বলুন এবং একটা অসংজ্ঞায়িত সম্পর্ক তৈরী করুন যেন তা সিনেমাটিক হয়। এরপর তাহার সাথে কথা বলতে বলতেই তাহার দু পাঁচটা করে তথ্য জেনে নিন( একসাথে আবার সব জানতে যাবেন না যেন)। যেমন আপনি যদি কারো “লোকেশন” জানতে চান তবে জিজ্ঞাসা করতে পারেন “আচ্ছা ভাইয়া আপনি কি করেন? ও আচ্ছা তাহলে এখন বুঝি অফিস করছেন তাইনা? আচ্ছা আপনার অফিসে কি কাজ করতে হয়? সারাক্ষণ শুধু কাজই করেন বুঝি? ওহো…তাহলে আপনাদের অফিসের নামটা কি”? এবার অফিসের নাম হতে গুগল সার্চ করে লোকেশন ট্রেস করা কিংবা স্বয়ং ঐ ব্যক্তিটিকেও ট্রাক করা খুব ইম্পসিবল কিছু তো নয়!
★আপনি চাইলে নিজেকে পুলিশ অফিসার/আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কেউ বলে দাবী করে অন্যের তথ্য হাতাতে পারেন তবে এখানে আপনার কথা বলার স্টাইল এবং কথার ভারী গাম্ভীর্যই সবকিছু!
(উল্লেখ্য এই কাজটা করা যারপরনাই নিতান্ত অনুচিত)
★আপনি চাইলে কল স্ফুপিং কিংবা কাস্টমাইজড নাম্বার ব্যবহার করে অন্যকে ফোন দিয়ে তার নিকট হতে তথ্য সংগ্রহ এবং লোকেশন আইয়েন্টিফাই করতে পারেন।
যেমন আপনি যদি 121 হতে কাউকে ফোন দিয়ে নিজেকে ফোন কোম্পানির এক্সিকিউটিভ হিসেবে দাবী করেন তবে খুব মানুষই আছেন যারা এটা অবিশ্বাস করবে।

এই কাজ আপনি এসএসএস স্ফুপিং হতেও করতে পারেন আবার বাল্ক মেসেজ/বাল্ক ইমেইল হতেও করতে পারেন।
★আপনি একইরূপ বাল্ক মেসেজ/মেসেজ স্ফুপিং হতে আইপি লগিং লিংক দিয়ে তার আইপি এড্রেস> লোকেশন ট্রাক করতে পারেন
যেমন মনে করুন GP REWARD নামের মেসেজ হতে যদি লেখা থাকে “আপনি ১০০০ মিনিট টকটাইম জিতেছেন; নিচের লিংকে(এইটাই হবে ঐ লগিং লিংক) প্রবেশ করে তথ্য পূরণ করুন এবং পুরষ্কার নিশ্চিত করুন” তবে এমন ফাদে পা দেওয়া লোকের কমতি থাকবে না।
★ কারো নাম্বারে ভুল করে ১০ টাকা ফ্লেক্সি করে দিন এবং পরে ঐ নাম্বারে কল করে টাকার বিষয়ে জানতে চান। যদি আদতে তিনি টাকা ব্যাক করেন তবে আপনি ঐ ফ্লেক্সিলোড আসা মেসেজ এনালাইসিস করে ঐ ব্যক্তির কারেন্ট লোকেশন জানতে পারবেন।
এখন মেসেজ এনালাইসিস করা যদিও জটিল এবং তাতে কাস্টমার কেয়ারের সহায়তা প্রয়োজন তথাপি এভাবেই তাহার লোকেশন আইডিয়েন্টিফাই করা পসিবল কেননা সীম কার্ড রেজিস্ট্রেশন ইমফোতে দেওয়া লোকেশন এবং কারেন্ট লোকেশন যারপরনাই মিলবে এমনটি নয়।

*****টুকরো টেকনোলজি*****
এই অংশে আমি এমন কিছু বিষয়ে আলোচনা করবো যা সংক্ষিপ্ত এবং রূপকভাবে তুলে ধরা হয়েছে, সেটা নিশ্চয়ই হ্যাকিং নয় তবে রিয়েল লাইফ হ্যাকার হওয়ার জন্য সেগুলি আপনাকে অনন্য করে তুলবে আশা করি।
এগুলা ডিটেইলস বললাম না কারন এগুলা কিছু কিছু হার্মফুল এবং অনৈতিক তবে গুগল হতে আরো ডিটেইলস পেতে পারেন।

★ধরুন কারো পিসিতে আপনার কিছু সেনসিটিভ ডাটা (যেমন ফটো, ভিডিও ইত্যাদি) আছে এবং সেটা নিয়ে আপনাকে ব্ল্যাকমেইল করছে তাহলে তাকে একটা পেনড্রাইভ পাঠান এবং বলুন যে তাতে তোমার গোপনীয় ছবি আছে এবং তা আপনি ফাস করে দিবেন। আসলে ঐ ড্রাইভের ভেতর একটা সুপার ক্যাপাসিটার চার্জ করা থাকবে তাতে সেটা এন্টার করলেই পিসি পুরোপুরি ক্রাশ করবে। আবার আপনি এমন কিলার পেনড্রাইভও তৈরী করতে পারেন যাতে তা এন্টার করলেই ঐ পিসির সকল ডাটা এনক্রিপ্ট হয়ে যাবে।
★ আপনি ইভিএম জ্যামার বানাতে পারেন তাতে আপনি চাইলেই যখন তখন আপনার নিকটে থাকা যেকোন ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস নিমিষেই অকেজো করে দিতে পারবেন।
★আপনি একটা লেজার লাইট এবং ডিভিডি লেজার হতে মোডিফাইড বার্নিং লেজার বানাতে পারেন তাতে দূর হতেই অলক্ষ্য যেকোন কিছু পুড়িয়ে ফেলতে পারেন। আবার সিডি বার্নার লেজার হতে এমনি বার্নিং লেজার বানাতে পারেন যাতে যে কাউকে অদৃশ্য Laser Rey তে নিমিষেই অন্ধ করে দিতে পারে।
★আপনি একটি রিমোট এলইডি এবং এনড্রোয়েড মোশন ডিটেক্টর ক্যামেরা হতে অদৃশ্য একটি লেজার সিকিউরিটি সিস্টেম বানাতে পারেন।
★আপনি ক্ষুদ্র এফএম ট্রান্সমিটার সার্কিট হতে এমন একটি স্পাইয়িং রোবট তৈরী করতে পারেন যা শুধু রাতের বেলা সক্রিয় হবে। এক্ষেত্রে রাতে হাজব্যান্ড-ওয়াইফ এর মাঝের কথাবার্তা শুনতে পারেন কিংবা গোপনীয় কোন কথা যখন রুমের লাইট অফ হবে। মূলত পাওয়ার সোর্সের সাথে একটি লাইট ডিটেক্টর সুইচ সিরিজ করে লাগানো থাকবে যাতে করে করে এলডিআর অন্ধকার হলেই পাওয়ার সোর্স ওপেন হবে এবং মাইক্রোফোনে আসা আওয়াজ একটি নির্দিষ্ট এফএম তরঙ্গে রিসিভারে পৌঁছাবে।
পুরো ডিভাইসটি একটি শোপিসে সেট করে দিতে পারেন যাতে কেউ বুঝতে না পারে। আর ব্যাটারি ফুরালে কি করবেন?
আপনি হয়তো জানেন মিনি সোলার সেল ঘরের লাইটের আলো হতেও চার্জ সংগ্রহ করতে পারে।
[এই বিষয়টি আসলেই জঘন্য তবুও টেক স্বার্থে তুলে ধরলাম তবে সেটা আপনার বিবেচনা আর মানসিকতার উপর নির্ভর করবে। আমার ভুল হলে ক্ষমাপ্রার্থী]

★ মসকিউটো কিলার ব্যাট হতে আপনি ইলেকট্রিক শকিং টেজার বানাতে পারেন যা হয়তো বিপদের সময় শত্রু হতে আপনাকে সুরক্ষিত করতে পারে যেমন ছিনতাইকারী ইত্যাদি
★যেকোনো টেলিফোন লাইন হ্যাক করতে ঐ লাইনের ক্যাবলের সাথে আপনার টেলিফোন লাইন কোনভাবে যদি প্যারালালি কানেক্ট করান তবে একই কল দুটো ফোনেই আসবে এটা অনেকটা একই বাসায় একাধিক টেলিফোন থাকার মতোই। এছাড়াও ট্র্যাপ করার আলাদা সার্কিটও আছে।
★আপনি আলাদা একটি ব্লুটুফ ডিভাইস এবং গুগল এসিসটেন্স এর মাধ্যমে এমন একটি কথা বলা রোবট বানাতে পারেন যা অনেকটা সোফিয়ার মতোই।

আজ এতোটুকুই; মনে রাখবেন Google সবকিছু জানে তাই আপনার পকেটে এনড্রোয়েড আর এনড্রোয়েডে ইন্টারনেট আছে এটা কিচ্ছু না, বরং আপনার মাথাতে সেই জ্ঞান কতোটুকু আছে সেটাই আসল কথা!
হ্যাকার হওয়া এত্তো সহজ না; আবার ততোটাও কঠিন কিছু না