প্রিয় ট্রিকবিডির ব্যবহারকারী এবং ভিজিটর,
আশা করছি বর্তমান পরিস্থিতির সাথে নিজেকে মানিয়ে নিয়ে মায়াবী পৃথিবীর অপরূপ সুন্দরতা উপভোগ করছেন।
আজকের টিউটোরিয়ালে আমি আপনাদের সাথে যেটা শেয়ার করবো সেই বিষয়টা হলো
“ব্যাকডোর কী এই বিষয় আজকের টিউটোরিয়াল আমার”
হ্যাকিং কী বা হ্যাকারস কারা এই নিয়ে আমার টিউটোরিয়াল করা আছে; এই কারণে আমি এই বিষয়ক কোনো তথ্য আপাতত প্রদান করছি না। যদিও প্রযুক্তি এতো পরিমাণ ছড়িয়ে ছিটিয়ে যাওয়ার জন্য হলেও আমরা হ্যাকিং শব্দটির সাথে পরিচিত।
বাংলাদেশও হ্যাকিং এর দিক থেকে প্রচুর পরিমাণ এগিয়ে রয়েছে, তাই বলে আমি কোনো স্প্যামিং টিমের কথা ইঙ্গিত করছি না, আপনারা অনেকেই হয়তো ফেসবুকে দেখে থাকবেন যে কিছুজন নিজের প্রোফাইলে অ্যানোনিমাসের মাস্ক ব্যবহার করে অথবা বিভিন্ন ছবির মুখে কোনো একটা ইমোজি লাগিয়ে ফেসবুক একাউন্টে রিপোর্ট করে নিজেদের হ্যাকার দাবী করে এবং বিভিন্ন ফেইক একাউন্ট দ্বারা রিপোর্ট করার কারণে ফেসবুকের অটোমেটিক সিস্টেম দ্বারা একাউন্ট ডিজেবল হলে নিজেকে হ্যাকার মনে করে। আবার স্প্যামার স্প্যামার নিজেরা একাউন্ট ডিজেবল করে সাপোর্ট ইনবক্সে অথবা যেকোনো অ্যাপলিকেশন ফর্মে ডকুমেন্ট দিয়ে একাউন্ট উদ্ধার করার পর আবার ফেসবুকের সিইও স্যার মার্ক জুকারবার্গকে গালি দিয়ে কনটেন্ট পাবলিশ করে।
আসলে এইগুলো কোনো হ্যাকারও না আবার স্প্যামারও না। স্প্যামার তারা যারা স্প্যামিং টুলের ব্যবহার জানে, যারা ইমেইলে অথবা কমেন্টে স্প্যামিং করে। নিজের ওয়েবসাইটের ব্যাকলিংক তৈরি করতে বিভিন্ন কমেন্টে লিংক শেয়ার করে আরও ইত্যাদি রকমের কাজ গুলোকে স্প্যাম বলে আর যারা এটা করে তাদের বলা হয় স্প্যামার। তবে যারা ফেসবুক একাউন্টে রিপোর্ট করে এরা কিছুই না কোনো স্প্যামারও না কোনো হ্যাকারও না।
এখন আসি আমি এইগুলো কেনো বললাম, খেয়াল করলে দেখা যায় প্রচুর মানুষের হ্যাকিং শিখার শখ তারা ভুল করে এই ফেসবুক একাউন্টে যারা রিপোর্ট করে তাদের হ্যাকার ভেবে তাদের দলে যোগ দেয় এবং নিজের মূল্যবান সময় দিতে থাকে এবং তখন দেখা যায় সে হ্যাকার হতেও পারলো না আবার স্প্যামার হতেও পারলো না জাস্ট ফেসবুক একাউন্টে রিপোর্ট মারতে পারে। যারা হ্যাকিং শিখতে চাই তাদের ছোট রোডম্যাপ দেওয়ার উদ্দেশ্যেই বিষয়টা পরিষ্কার করলাম।
একজন হ্যাকার যখন একটা সিস্টেম হ্যাক করে তখন সে অনুসন্ধান করতে থাকে এটার সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ কীভাবে নেওয়া যায়। এর জন্য সে বিভিন্ন উপায়ে শেল আপলোড করে এবং সে তখন ওই সিস্টেমের সকল কিছু বদল ঘঠাতে সক্ষম হয়। শেল কী এই বিষয়কও আমার টিউটোরিয়াল পাবলিশ করা আছে যদি না দেখে থাকেন তবে দেখে নিবেন। হ্যাকার যখন একটা সিস্টেম হ্যাক করে তখন সে চেষ্টা করে যাতে তার শেলটা লুকিয়ে রাখা যায় এতে করে ভিকটিম জানো তার শেল ডিলেট না করে দিতে পারে।
এইভাবে অনেকেই কিন্তু শেলটা খুঁজে পাইনা এবং তার সাইট হ্যাকারের হাতেই রয়ে যায়। যাদের কোডিং দক্ষতা নাই তারা কখনোই শেলটা সহজে খুঁজেও পাইনা। ব্যাকডোর হলো পিছনের দরজা অর্থাৎ কন্ট্রোল প্যানেল বাদেও এক প্রকার দরজা দ্বারা আপনার সিস্টেমে ঢুকে সকল নিয়ন্ত্রণ নেওয়া যায়।
যদি অপারেটিং সিস্টেম হয়ে থাকে তাহলে হ্যাকার রিমোট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন টুল রান করিয়ে দেয়, এটাকে র্যাটও বলা যায়। এটা মূলত বিভিন্ন রকমের ম্যালিসিয়াস কাজের কারণেই বিশেষ ভাবে তৈরি করা হয়েছে এবং এইটা খুবই হ্যাকারদের কাছে জনপ্রিয়। হ্যাকারের তৈরি কোনো ম্যালিসিয়াস প্রোগ্রাম আপনি ইন্সটল করলে আপনি কিছুই বুঝতে পারবেন না কারণ ওইটা সম্পূর্ণ নিরাপদ কোডের মতোই কাজ করবে কিন্তু ওটা দ্বারা ডুপ্লিকেট ম্যালিসিয়াস প্রোগ্রাম তৈরি হয় যেটা আপনার সিস্টেমের ধ্বংস প্রক্রিয়া চালাই এবং ব্যাকডোর তৈরি করে দেয় এতে করে আপনার সিস্টেমের সকল নিয়ন্ত্রণই হ্যাকার করতে পারে এবং বিভিন্ন ভাইরাসও ওই ব্যাকডোর দিয়েই সিস্টেমে প্রবেশ করে।
আমরা অনেকেই কিন্তু টিম ভিউয়ারের সাথে পরিচিত, কারণ বিভিন্ন কাজে আমরা এটা ব্যবহার করে থাকি বা কোনো বন্ধু অথবা রিলেটিভ তার কম্পিউটারে সমস্যা ফেস করলে আমরা ফিক্স করে দিই; টিম ভিউয়ারও কিন্তু র্যাট তবে এটা নেতিক।
কিন্তু হ্যাকারের যেগুলো ওইগুলো ইন্সটল হলেই কোনো রকম পারমিশন না চেয়েই হ্যাকারকে অ্যাক্সেস দেওয়ার ব্যাকডোর ক্রিয়েট করে ফেলে।
হ্যাকার যদি আপনার সিস্টেমের কন্ট্রোল পাই তাহলে সে যে আপনার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ একাউন্ট এর অ্যাক্সেস পাচ্ছে এমন না সে আপনার কম্পিউটার ব্যবহার করে যে কোনো অনৈতিক কাজও করতে পারে এতে করে ক্ষতির সম্মুখীন হবেন আপনি।
আশা করি আমি আপনাদের সুন্দর এবং সহজ ভাবে বুঝাতে সক্ষম হয়েছি।
ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন প্রিয় মানুষকে ভালো রাখুন সবসময় পজিটিভ থাকুন সকল সময় মোটিভেট থাকুন; ধন্যবাদ।