*** সবচেয়ে কঠিন কিন্তু বরকতময়
এশা ও ফজরের নামায জামাত এ
আদায় করা ****
হযরত আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে
বর্ণিত, আল্লাহর রসূল (সাঃ) বলেন,
“মুনাফিকদের পক্ষে সবচেয়ে ভারী
নামায হল এশা ও ফজরের নামায। ঐ
দুই নামাযের কি মাহাত্ম আছে, তা
যদি তারা জানত, তাহলে হামাগুড়ি
দিয়ে হলেও অবশ্যই তাতে উপস্থিত
হত। আমার ইচ্ছা ছিল যে, কাউকে
নামাযের ইকামত দিতে আদেশ দিই,
অতঃপর একজনকে নামায পড়তেও
হুকুম করি, অতঃপর এমন একদল
লোক সঙ্গে করে নিই; যাদের সাথে
থাকবে কাঠের বোঝা। তাদের নিয়ে
নামাযে হাজির হয় না। অতঃপর
তাদেরকে ঘরে রেখেই তাদের
ঘরবাড়িকে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে
দিই।”
(বুখারী ৬৫৭, মুসলিম, সহীহ ৬৫১নং)
“যিনি এশার নামায জামাত এ আদায়
করলেন, যেন সে অর্ধরাত্রি নামায
আদায় করল, আর যে ব্যক্তি জামাত
এ ফজরের নামায আদায় করল, যেন
সে সারা রাত নামায আদায়
করল।” (মুসলিম)
“যে কেহ সূর্যোদয়ের আগে নামায
আদায় করল (ফজর), এবং অস্ত
যাবার আগে নামায আদায় করল
(আসর) সে জাহান্নামে প্রবেশ
করবে না ।” (মুসলিম)
“সূর্য ঢলে পড়ার সময় থেকে রাত্রির
অন্ধকার পর্যন্ত নামায কায়েম
করুন এবং ফজরের কোরআন পাঠও।
সাক্ষী হয়।”
সুরা বনী ইসরাঈলঃ৭৮
“ফজরের দুই রাকাত সুন্নত এই
দুনিয়া ও তার মধ্যেকার সব কিছু যে
সবকিছুর চেয়ে উত্তম।” (আহমাদ,
মুসলিম, তিরমিযী, নাসাঈ)
মুসলমান ভাই ও বোনেরা, আসুন
নামায এ আরো মনোযোগী হই।
আমিন।