দেশটি এতটাই যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী
যে সেখানে রাষ্ট্রীয়ভাবেই ‘জিন্স’-
এর পোশাক পরা নিষিদ্ধ। অথচ
অন্যদিকে যে যত খুশি ‘গাঁজা’ সেবন
করতে পারবেন!
এমন দেশ উত্তর কোরিয়া সম্পর্কে
জানুন মজার কিছু তথ্য।যুক্তরাষ্ট্র
‘শত্রু’, তাই…
এক সময় উত্তর কোরিয়ায়
সমাজতন্ত্র কায়েমের চেষ্টা ছিল,
কিন্তু এখন যে ধরনের শাসন চলছে
তাকে সমাজতান্ত্রিক বলার উপায়
নেই। দেশের নাম ‘ডেমোক্র্যাটিক
পিপল’স রিপাবলিক অফ কোরিয়া’,
অথচ ঘোষিতভাবেই চলছে একদলীয়
শাসন।
তবে সমাজতন্ত্র না থাকলেও উত্তর
কোরিয়ার সেই ‘শীতল যুদ্ধের’
সময়কার যুক্তরাষ্ট্রবিরোধিতা
ঠিকই আছে। যুক্তরাষ্টের মানুষ
বেশি জিন্স পরে বলে এ দেশে
জিন্স পরা নিষিদ্ধ।ইচ্ছে মতো চুল
কাটা মানা
হ্যাঁ, উত্তর কোরিয়ায় যার যেমন
স্বৈরশাসক কিম জং উন ক্ষমতায়
আসার পর পরই ঠিক করে দিয়েছেন,
দেশের সব পুরুষকে বিশেষ ১০টি আর
মেয়েদের ১৮টি হেয়ার স্টাইলের
মধ্যেই যে কোনো একটি বেছে
নিতে হবে।আর কিম জং উন যেভাবে
চুল কাটান সেভাবে দেশের আর কেউ
কাটাতে পারবেন না।
যে দেশে ‘স্বর্গ’ আছে…
উত্তর কোরিয়ার সব মানুষ মন থেকে
নিজের দেশকে ‘স্বর্গ’ না বললেও,
যাঁরা গাঁজা সেবন করেন, তাঁরা
নিশ্চয়ই বলেন। এ দেশে যে যত খুশি
গাঁজা খেতে পারেন। গাঁজা
সেখানে কোনো নিষিদ্ধ মাদক
নয়৷ সুতরাং যে যত খুশি গাঁজা খেলে
কোনো সমস্যাই নেই।
সবচেয়ে বড় স্টেডিয়াম
বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্টেডিয়ামটি
কিন্তু উত্তর কোরিয়ায়৷ নাম
রুনগ্রাদো মে ডে স্টেডিয়াম। ১৯৮৯
সালের পহেলা মে স্টেডিয়ামটির
কাজ শেষ হয়েছিল বলে নামের
সঙ্গেও জুড়ে দেয়া হয়েছে ‘মে
দিবস’। ১ লক্ষ ৫০ হাজার দর্শকের
আসন আছে স্টেডিয়ামটিতে।
জন্মদিনেও বাধা…
দু’টি দিনে কেউ জন্ম নিলে সেই
দিনে জন্মদিন উদযাপন করা যাবে
না। উত্তর কোরিয়া সাবেক দুই
শাসক কিম ই সুং এবং কিম জং ইল
মৃত্যুবরণ করেছিলেন বলে সেই
দিনগুলোতে দেশের কোনো
সাধারণ মানুষের জন্মদিন উদযাপন
রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষিদ্ধ।
এ নিয়ম মানতে গিয়ে প্রায় ১ লাখ
মানুষকে ৮ জুলাই বা ১৭ ডিসেম্বরের
জন্মদিন উদযাপন করতে হয় একদিন
পর, অর্থাৎ ৯ জুলাই এবং ১৮
ডিসেম্বরে।
সৌজন্যঃ
ট্রিকপ্রিয় ডট কম