Site icon Trickbd.com

মুসলিম ভাই/বোনেরা সুরায়ে ফাতেহার ফযিলত আপনাদের সামনে তুলে ধরলাম।

Unnamed

সূরা আল ফাতিহা কুরআনের একটি
বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ সূরা। প্রথমত, এই সূরা
দ্বারাই পবিত্র কুরআন শুরু হয়েছে এবং এই
সূরা দিয়েই আমাদের নামাজ শুরু করতে
হয়।
অবতীর্ণ হওয়ার দিক দিয়েও
পূর্ণাঙ্গরূপে এটিই প্রথম নাজিল হয়। সূরা
ইকরা, সূরা মুজাম্মিল ও সূরা
মুদাসসিরের কয়েকটি আয়াত অবশ্য সূরা
আল ফাতিহার আগে অবতীর্ণ হয়েছে।
কিন্তু পূর্ণ সূরারূপে ফাতিহাই সর্বপ্রথম।
অসংখ্য সাহাবি কর্তৃক বর্ণিত যে, এ
সূরাই সর্বপ্রথম অবতীর্ণ সূরা, আর এ
কারণেই এ সূরার নাম ফাতিহাতুল
কিতাব বা কুরআনের উপক্রমণিকা
রাখা হয়েছে। সূরাতুল ফাতিহা
মক্কায় অবতীর্ণ। এতে মোট সাতটি
আয়াত আছে। এই সূরার ফায়দা ও
উপকারিতা এবং বৈশিষ্ট্যের প্রতি ল
করে এর বিভিন্ন নামকরণ করা হয়েছে।
নিম্নে কিছু উল্লেখ করা হলো।

১. আল ফাতিহা : যেহেতু এ সূরা দিয়ে
কুরআন শুরু হয়েছে এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ
ইবাদত নামাজ এই সূরা দিয়ে শুরু হয়। তাই
সূরার নাম সূরাতুল ফাতিহা। ২. উম্মুল
কিতাব : পূর্ণ কুরআনের আলোচ্য বিষয়
তথা সারসংপে এই সূরার মাধ্যে
নিহিত বিধায় এই সূরার নাম উম্মুল কুরআন
রাখা হয়েছে। ৩। আস শাফিয়া :

যেহেতু এ সূরা দ্বারা সব রোগের
চিকিৎসা করা হয়, তাই এর একটি নাম
হলো সূরাতুস শাফিয়া। হাদিসে
বর্ণিত আছে, রাসূল সা: বলেছেন, সূরা
ফাতিহা সব রোগের ওষুধ।
এ ছাড়াও এই সূরার আরো কিছু নাম : আল
ওয়াফিয়া, আল কাফিয়া, আল আসাস,
আল হামদ, আদদুয়া। সূরা ফাতিহা এদিক
দিয়ে সমগ্র কুরআনের সারসংপে। এ
সূরায় সমগ্র কুরআনের সারমর্ম
সংপ্তিাকারে বলে দেয়া হয়েছে।
কুরআনের অন্য সূরাগুলোতে
প্রকারান্তরে সূরা ফাতিহারই বিস্তৃত
ব্যাখ্যা। কারণ সমগ্র কুরআন প্রধানত ঈমান
এবং নেক আমলের আলোচনাতেই
কেন্দ্রীভূত। আর এ দু’টি বিষয়েই সূরা
ফাতিহায় আলোচনা করা হয়েছে।
আর এই সূরা কুরআনুল কারিমের শুরুতে
আনার আরো একটি কারণ হলো, পবিত্র
কুরআন তেলাওয়াতকারী তার
অতীতের সব ভুল ধারণা থেকে মুক্ত হয়ে
প্রথমে মহান আল্লাহর সাথে কথা
বলবে। আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করবে
যে, তিনি যেন তাকে সিরাতুল
মুস্তাকিমের পথ দান করেন। সর্বপ্রকার
গোমরাহি ও ভ্রান্ত মতবাদ থেকে মুক্ত
করে তার প্রিয় বান্দাদের কাতারে
শামিল করেন এবং দুনিয়া ও
আখেরাতে সফলতা দান করেন, যা
একজন মানুষের জীবনের চরম ও পরম
চাওয়া। উবাই ইবনে কাব রা: তিনি
একবার রাসূল সা:-এর কাছে সূরা
ফাতিহা পড়লেন, যা শুনে রাসূল সা:
বললেন, ওই সত্তার কসম যাঁর হাতে
আমার প্রাণ, যে তাওরাত, ইনজিল,
জাবুর, এমনকি কুরআনেও এর মতো
মর্যাদাশীল সূরা নেই (মুসনাদে আহমদ)।
হজরত ইবনে আব্বাস রা: থেকে বর্ণিত,
তিনি বলেন, আসমান থেকে একজন
ফেরেশতা রাসূল সা:-এর কাছে এসে
বললেন, আপনি দু’টি নূরের সুসংবাদ গ্রহণ
করুন, যে দু’টি আপনাকে দেয়া হয়েছে,
যা আপনার আগে কোনো নবীকে
দেয়া হয়নি, সে দু’টি হলো, সূরা
ফাতিহা ও সূরা বাকারার শেষ তিন
আয়াত।

যার প্রতিটি হরফের বিনিময়ে অফুরন্ত
নেয়ামত ও নেকি দেয়া হয়। আবু
হুরায়রা রা: থেকে বর্ণিত, তিনি
বলেন, রাসূল সা: বলেছেন, সূরা
ফাতিহা প্রত্যেক রোগের ওষুধ বিশেষ।
মূলত সূরাতুল ফাতিহা হলো এমন এক
মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্যের অধিকারী সূরা,
যা শুধু উম্মতে মুহাম্মদির জন্যই দান করা
হয়েছে।

পোস্টটি সবাই শেয়ার করুন।