কোনো শরিয়ত সম্মত কারণ বা
প্রয়োজন ছাড়া পুরুষ লোকদের নিকট
কোনো মেয়ে বা নারীর (স্ত্রী,
ভাবি এবং কন্যা)র শারীরিক সৌন্দর্যের
বর্ণনা দেয়া নিষেধ। তবে বিয়ে-শাদি বা
এ জাতীয় কোনো প্রয়োজনে
শারীরিক গঠন-প্রকৃতির বর্ণনা দেয়া
জায়েজ।
হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা
থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
‘কোনো নারী যেন তার অনাবৃত
শরীর অন্য কোনো নারীর অনাবৃত
শরীরের সাথে না লাগায় এবং সে যেন
তার (অপর নারীর)
শারীরিক সৌন্দর্য নিজের স্বামীর নিকট
তাকে সচক্ষে দেখছে।’ [বুখারি ও
মুসলিম]
হাদিসে পরপুরুষের সামনে কোনো
নারীর সৌন্দর্য-রূপ-লাবণ্য ইত্যাদি বিষয়ে
আলোচনা করতে নিষেধ করা
হয়েছে। বিশেষ করে কোনো
স্ত্রী যেন তার স্বামীর কাছে সেই
আলোচনা না করে। কারণ হতে পারে
ওই স্বামীর অন্তরে রোগ (অন্যের
প্রতি অবৈধ আসক্তি) থাকলে তার হয়তো
নিজের স্ত্রীকে আর ভালো লাগবে
না। ধীরে ধীরে ওই নারীকে
পাওয়ার জন্য ব্যাকুল হয়ে ওঠবে। তাই
স্বামীর কাছে অন্য মেয়ের রূপ-
লাবণ্যের কথা বর্ণনা করা মানে নিজের
সর্বনাশ ডেকে আনা।
অপরদিকে কোনো পুরুষও তার স্ত্রী,
ভাবি অথবা কন্যার সৌন্দর্য-রূপ লাবণ্যের
কথা অন্য কোনো পুরুনের নিকট বর্ণনা
ভেতর একটি কামনা তৈরি হতে পারে
সেই নারীর প্রতি। আর এতে করে
পুরুষ লোকটি গুনাহগার হবেন। সুতরাং এমন
অবস্থায় করণীয় হবে উত্তর এড়িয়ে
যাওয়া। অথবা কোনো কৌশল অবলম্ভন
কারা।
লেখাটি ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করবেন। এতে পরবর্তীতে লিখতে উৎসাহ পাবো।