মানব ইতিহাসে অনেক প্রেমিক
যুগোল তাদের প্রেমের কারণে
ইতিহাসে নিজের নাম স্থায়ী করে
নিয়েছেন। কিন্তু ছেলে-মেয়েদের
এই প্রেম ভালবাসা কি জায়েজ? এই
ভালবাসা সম্পর্কে মানব জাতির
পূর্ণঙ্গ জীবন বিধান আল-কোরআনে
স্পষ্ট ব্যাখ্যা আছে। সেখানে বলা
আছে ইসলামে প্রেম করা জায়েজ।
কিন্তু সেই প্রেম হতে হবে বাবার
প্রতি সন্তানের যেই প্রেম থাকে,
প্রতিবেশির প্রতি প্রতিবেশির যে
প্রেম থাকে। যদি আপনার কোন
যুবতী মেয়ের প্রতি যৌন উত্তেজিত
প্রেম থাকে তাহলে সেই প্রেম
একেবারেই জায়েজ নয়।
বিবাহ পূর্ব প্রেম হারাম।
“স্বাধীনভাবে লালসা পূরণ অথবা
গোপনে লুকিয়ে প্রেমলীলা করবে
না” (সূরা আল মায়িদা: ৫)
এরপর সূরা নূর এর ৩০ নং আয়াতে বলা
হয়েছে পুরুষদের চোখ নীচু রাখতে
এবং লজ্জা স্থান হিফাজত করতে।
৩১ নং আয়াতে নারীদেরও বলা
হয়েছে আর নারীরা কাদের সাথে
সাক্ষাত করতে পারবে তাদের
একটা তালিকা দেওয়া হয়েছে।
সূরা আহযাবের ৫৯ নং আয়াতে পর্দা
করার নির্দেশ আরো পরিস্কার
ভাষায় বলা হয়েছে। যেখানে দৃষ্টি
নীচু ও সংযত রাখা, লজ্জা স্থানের
হিফাজত করার কথা এবং পর্দা করার
কথা বলা হয়েছে আর সূরা
মায়িদাতে গোপন প্রেমলীলাকে
নিষেধ করা হয়েছে সেখানে
বিবাহ পূর্ব প্রেম বৈধ কি করে হতে
পারে? এটা হারাম।
জিনা তথা অবৈধ শারীরীক সম্পর্ক
হারাম। (সূরা ইসরা আয়াতঃ ৩২) (সূরা
ফুরকানঃ ৬৮)জিনার নিকট যাওয়াই
নিষেধ অর্থাৎ যে সকল জিনিস
জিনার নিকটবর্তী করে দেয় তার
কাছে যাওয়াই নিষেধ। বিবাহ পূর্ব
প্রেম নর-নারীকে জিনার
নিকটবর্তী করে দেয় আর জিনা
মারাত্মক একটি কবিরা গুণাহ।
বিবাহপূর্ব প্রেম অনেক সময় মানুষকে
শিরকের নিকটবর্তী করে দেয়। কারণ
অনেক সময় তারা একে অপরকে
এতটাই ভালবাসা শুরু করে দেয় যে
প্রকার ভালবাসা পাওয়ার
বাকারাঃ১৬৫)
শয়তান তো চায়, মদ ও জুয়ার
মাধ্যমে তোমাদের পরস্পরের
মাঝে শুত্রুতা ও বিদ্বেষ সঞ্চারিত
করে দিতে এবং আল্লাহর স্মরণ ও
নামায থেকে তোমাদেরকে
বিরত রাখতে। অতএব, তোমরা এখন ও
কি নিবৃত্ত হবে? সূরা আল মায়েদাহ,
আয়াত নং ৯০ থেকে ৯১। আসলে
ইসলাম এমন একটি ধর্ম যা মানুষকে
গুনাহ থেকে বাঁচতে বিভিন্ন উপায়
বলে দেয়।প্রেম করলে শয়তান অবশ্যই
জিনা করতে প্রলুব্ধ করবে। ইসলামে
বিয়ের আগে প্রেম করা হারাম।