পবিত্রতা আর সাধনার সঙ্গে পালিত
হয় রোজা। রোজা শেষে ইফতারির
উৎসব মুখর পরিবেশে আয়োজন থাকে
হাজার পদের খাবার। স্বাস্থ্যের জন্য
ভালো-মন্দ বিচার না করেই খাওয়া
চলে ভাজা পোড়া মুখরোচক খাবার।
স্বাস্থ্য সম্মত খাবার হলেও অনেকে
আবার অতিরিক্ত খেয়ে ফেলেন।
এতো সব খাবারের ভিড়ে পানি ও
তরল জাতীয় খাবার খেতে ভুলে যায়।
তাই এসব খাবার আমাদের পেটে
গিয়ে সৃষ্টি করে নানা অনাসৃষ্টি।
হতে পারে হজমের সমস্যা, বুক
জ্বালাপোড়া এবং পানিশূন্যতা।
পরে দেখা যায় ইচ্ছা থাকলেও
রোজা রাখা সম্ভব হয় না। অথচ এই গরমে
কষ্ট এড়িয়ে সুস্থতার সঙ্গে রোজা
পালন করা সম্ভব। সেজন্য..
– রোজা রাখলে সারাদিন আপনাকে
সকল প্রকার পানাহার থেকে বিরত
থাকতে হয়। ইফতারির খাবারকে
মুখরোচক করতে টেস্টিং সল্ট বা
সাধারণ লবণের ব্যবহার বেশি চলে।
পানির তৃষ্ণা বাড়িয়ে দেয়। ফলে
রোজা রাখা আপনার জন্য কষ্টকর হয়ে
যায়। তাই খাবারের লবণ স্বাভাবিক
মাত্রায় রাখা ভালো।
– এই গরমে রোজার কষ্ট মূলত পানি
তৃষ্ণায়। সেই তৃষ্ণাকে একদমই ভুলিয়ে
দিতে খেতে পারেন ইসুপগুল-মিছরি
শরবত, আখের গুড়ের শরবত অথবা
ঘৃতকুমারির-তোকমারির শরবত।
সেহরিতে একগ্লাস শরবত আপনাকে
সারাদিনে পানি পিপাসার কথা
একবারও মনে করতে দেবে না
– ইফতারিতে অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত
খাবার বর্জন করা স্বাস্থ্যের জন্য
উপকার। সারাদিন অভুক্ত পেটে এসব
খারার গিয়ে হজমের সমস্যা করে।
তাই যতদুর সম্ভব তেলচর্বি ও
ভাজাপোড়া এড়িয়ে চলা ভালো।
হালকা মিষ্টি বা ঝাল জাতীয়
রান্না খাবার হতে পারে আপনার
আদর্শ ইফতারি।
– পানিশূন্যতা দুর করতে বেশি চিনির
শরবত অথবা সফট ড্রিঙ্কসের ওপর নির্ভর
না করাই ভালো। ঘরে তৈরি লেবু,
বেল অথবা অন্য কোনো শরবত খেতে
পারেন। আম, তরমুজ, শশা, আনারসের জুস
অ্যাসিডের পরিমাণ বেশি থাকায়
লেবুর শরবত একদম খালি পেটে খাওয়া
উচিৎ নয়। সামান্য কিছু খেয়ে তবেই
খেয়ে নিন প্রাণ চাঙা করা একগ্লাস
লেবুর শরবত।
– ইফতার এবং সেহরিতে যথেষ্ট ফল ও
শাক সবজি খেতে হবে। তাজা শাক-
সবজি, মাছ ও ফল আপনার স্বাভাবিক
হজমে দারুণভাবে সহায়তা করবে।
দেহের পানিশূন্যতা দূর করে
প্রয়োজনীয় পুষ্টির যোগান দেবে।
– ইফতারি বা সেহরিতে যতটা সম্ভব
মাংস এড়িয়ে চলা ভালো। মাংস
যদি খেতেই হয় তবে লাল মাংস বাদ
দেয়া উচিৎ।
fb photo verify khulte contact fb.com/princerouf787