Site icon Trickbd.com

হাদিসে রোজার প্রতিদান সম্পর্কে যা বলা হয়েছে !

Unnamed

হাদিসে কুদসিতে মহান আল্লাহ পাক
বলেন, ‘মানুষের প্রতিটি কাজ তার
নিজের জন্য। কিন্তু রোজা এর
ব্যতিক্রম। তা শুধু আমার জন্য, আমিই তার
(রোজার) প্রতিদান দেব।’ (মুসলিম)
এ হাদিস থেকে আমরা অনুধাবন করতে
পারি, রোজার গুরুত্ব আল্লাহর কাছে
কত বেশি। একবার সাহাবি আবু
হোরায়রা (রা.) বলেছিলেন, ‘ইয়া
রাসুলাল্লাহ! আমাকে অতি উত্তম
কোনো নেক আমলের নির্দেশ দিন।’
রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘তুমি রোজা
রাখো। কারণ, এর সমমর্যাদার আর
কোনো আমল নেই।’ (নাসায়ী)
রোজা এমন একটি আমল, যাতে
লোকদেখানো ভাব থাকে না। এটি
বান্দা ও আল্লাহ তায়ালার মধ্যকার
একটি অতি গোপন বিষয়। নামাজ, হজ,

জাকাতসহ অন্যান্য ইবাদত-বন্দেগি কে
করল তা দেখা যায়। পরিত্যাগ করলেও
বোঝা যায়। কিন্তু রোজার ক্ষেত্রে
লোকদেখানো বা শোনানোর সুযোগ
থাকে না। ফলে, রোজার মধ্যে
ইখলাস, আন্তরিকতা বা আল্লাহর প্রতি
একনিষ্ঠতা নির্ভেজাল হওয়ার
সম্ভাবনাই বেশি। যেমন আল্লাহ পাক
বলেন, ‘রোজাদার আমার জন্যই
পানাহার ও সহবাস পরিহার
করে।’ (মুসলিম)
অন্য হাদিসে বলা হয়েছে, আল্লাহ
পাক বলেন, ‘আমিই তার প্রতিদান দেব।’
তাই রোজাদার বিনা হিসাবে
প্রতিদান লাভ করে থাকে। কিন্তু
অন্যান্য ইবাদত-বন্দেগি ও সৎকর্মের
প্রতিদান বিনা হিসাবে দেয়া হয়
না। বরং প্রতিটি নেক আমলের
পরিবর্তে আমলকারীকে ১০ থেকে ৭০০
গুণ পর্যন্ত প্রতিদান দেয়ার কথা বলা
হয়েছে। জাহান্নাম থেকে বাঁচার
ঢাল হলো রোজা। যেমন- হাদিসে
আছে, রোজা হলো ঢাল ও
জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচার
মজবুত দুর্গ (মুসনাদে আহমাদ)।
অন্য হাদিসে এসেছে, যে ব্যক্তি
আল্লাহর জন্য এক দিন রোজা রাখবে,
আল্লাহ তার থেকে জাহান্নামকে এক
খরিফ (সত্তর বছরের) দূরত্বে সরিয়ে
দেবেন। (মুসলিম শরিফ)

ভাইয়া গরীবের ছোট্ট সাইটে এ ভিজিট করার আমন্ত্রণ রইলো।
দয়াকরে আসবেন PostMaza.CoM