মহানবী হযরত মুহম্মদ (সঃ) ১১ টি বিয়ে
করেছিলেন। ইসলামি শরীয়াহ সর্বোচ্চ
৪টি বিয়ের অনুমতি দিয়েছে। ডা:
জাকির নায়েকের কাছে মুসলিম ও
অমুসলিম অনেকেই উপরোক্ত প্রশ্নটি
করেছেন।
এই প্রশ্নের চমৎকার জবাব পবিত্র
কোরআনের মাধ্যমে দিয়েছেন ডাঃ
জাকির নায়েক। মুসলমানদের জন্য এই
বিষয়টি জেনে রাখা খুবই জরুরী।
ইসলামে যেখানে ১জন পুরুষের জন্য ৪জন
স্ত্রী রাখার অনুমতি আছে, সেখানে
মুহাম্মাদ (সঃ) কিভাবে ১১টা বিয়ে
করলেন? এই প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন
স্বয়ং আল্লাহ তায়ালাই।
ডা: জাকির নায়েক তুলে ধরেন পবিত্র
কোরআনের একটি আয়াত। এই আয়াতটির
বাংলা অর্থ- ‘হে নবী, আমি আপনার
জন্য বৈধ করেছি আপনার স্ত্রীদেরকে
যাদের আপনি দেনমোহর দিয়েছেন …
আর কোন ঈমানদার নারী নবীর কাছে
নিবেদন করলে আর নবী তাকে বিয়ে
করতে
বাকী মুমিনদের জন্য নয় ‘। [সূরা আহযাব
৩৩:৫০]
এই আয়াতের ব্যখ্যা দেয়া হয়েছে
একেবারেই পরিস্কারভাবে। এটি
জেনে রাখলে অমুসলমান ও মুসলিম
ধর্মের হয়েও যারা শরীয়াহ বিষয়ে
ভালো জ্ঞান রাখেন না তাদের
জবাব দেয়া যাবে হাদিসে বণির্ত
বিভিন্ন ব্যখ্যার মধ্যে দিয়ে-
রাসূলুল্লাহ (স:) এর জন্য শারিয়াহ
কিছুটা ভিন্ন ছিল নবীজির জন্য
ইসলামি আইন সাধারণ মুসলমানদের
চেয়ে অনেক কঠিন ছিল।
প্রতিরাতে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া
তাঁর জন্য ওয়াজিব ছিল, একবার যুদ্ধের
সরঞ্জাম পড়ে ফেলার পর যুদ্ধে না
যাওয়া তাঁর জন্য হারাম ছিল।
দান গ্রহণ ও মৃত্যুর সময় একটা পয়সা
পরিমাণ সম্পদ রেখে যাওয়া তাঁর জন্য
হারাম ছিল। তাঁর বংশধরদের কেউ খুব
দরিদ্র হলেও যাকাত নিতে পারবেন
না বলে কঠোর বিধান রয়েছে।
স্ত্রীদের ব্যাপারেও তার বিধান
আল্লাহ একটু অন্যরকম দিয়েছেন। এটি
আল্লাহর নির্দেশনাই বটে।
স্বাভাবিক যে ধারনা সেটি হলো
যৌবনের কারণে মানুষ বিয়ে করে।
সেখানে ৫০ বছর পর্যন্ত মাত্র একজন
স্ত্রীই ছিলো তার। এর পরে আয়াতের
বিষয় আমলে নিয়ে সন্মানার্থে
কয়েকজনকে তিনি স্ত্রীর মর্যাদা
দিয়ে ধন্য করেছেন।
ওই সময় আরবে বহু বিবাহ একটি রেওয়াজ
ছিলো। যৌবনে নবীজি ওই
রেওয়াজের পথেও হাঁটেননি।
কোরআন নাযিলের পরেও বিভিন্ন
দেশে দেখা গেছে কোনো কোনো
পুরুষ ১০০টি, কেউ ৮০টি বিয়ে করেছেন।
ভারতীয় উপমহাদেশেও এর উদাহরণ
রয়েছে। এটা ইসলাম সমর্থিত নয়।
পরকালে নাজাত প্রত্যাশীদের জন্য
সর্বোচ্চ ৪ স্ত্রীর বিধান মানার জন্য
কঠোর নির্দেশনা রয়েছে।
আপনিও অনলাইনে দিনে ২০০ থেকে ৩০০ থেকে ইনকাম করুন মোবাইল দিয়ে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন